Just In
Republic Day 2024: দেখে নিন প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড সম্পর্কিত কিছু তথ্য
ভারতীয় সংবিধান হল, ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয় ভারতীয় সংবিধান, তবে তা কার্যকর হয় ১৯৫০ এর ২৬ জানুয়ারি। সেই থেকেই প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি ভারতে 'প্রজাতন্ত্র দিবস' পালন করা হয়।
ভারতে সাধারণতন্ত্র দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয় ভারত শাসনের জন্য ১৯৩৫ সালের ভারত সরকার আইনের পরিবর্তে ভারতীয় সংবিধান কার্যকরী হওয়ার ঘটনাকে স্মরণ করে। এটি ভারতের একটি জাতীয় দিবস। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতীয় গণপরিষদ সংবিধান কার্যকরী হলে ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
প্রতি বছরের মতো এই বছরেও গোটা ভারতজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে ২৬ জানুয়ারি। এ বছরও প্রজাতন্ত্র দিবসের অন্যতম আকর্ষণ এবং সর্বাধিক প্রতীক্ষিত কুচকাওয়াজ থাকবে। আজ আমরা প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ সম্পর্কিত কিছু তথ্য আপনাদের জানাব, যা হয়তো অনেকেই জানেন না।
১) আমরা সকলেই জানি যে, প্রতি বছর নয়া দিল্লির রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু, হয়তো অনেকেই জানেন না, প্রথম দিকে এটি কুচকাওয়াজের আসল স্থান ছিল না। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত, আরউইন স্টেডিয়াম (জাতীয় স্টেডিয়াম), কিংস্ওয়ে, লাল কেল্লা এবং রামলীলা ময়দান, প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের স্থান ছিল।
২) প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে, ভারতের রাষ্ট্রপতি আগমনের পর কুচকাওয়াজ শুরু হয়। রাষ্ট্রপতির আগমনের পরে, দেহরক্ষীরা জাতীয় পতাকাকে স্যালুট জানায় এবং তারপরে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। এছাড়াও, রাষ্ট্রপতিকে ২১টি বন্দুকের মাধ্যমে স্যালুট জানানো হয়।
৩) ২১টি বন্দুক দিয়ে স্যালুট জানানোর সময়, বন্দুকের পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৭টি ক্যাননও ব্যবহার করা হয়। জাতীয় সঙ্গীত শুরুর আগে প্রথম গুলি চালানো হয় এবং জাতীয় সঙ্গীতের শেষে সর্বশেষ গুলিটি চালানো হয়।
৪) ১৯৫০ সাল থেকে ভারত প্রতিবছর এই দিনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়ে আসছে। রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক স্বার্থের উপর নির্ভর করে অতিথিকে বেছে নেওয়া হয়।
৫) ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি ড. সুকর্ণ-কে প্রথম প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এরপর ১৯৫৫ সালে, রাজপথে যখন প্রথমবার প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেই সময় পাকিস্তানের গভর্নর-জেনারেল মালিক গোলাম মুহাম্মদ-কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
৬) প্রতিবছর জুলাই মাস থেকে প্যারেডের প্রস্তুতি শুরু হয়। অংশগ্রহণকারীদের মহড়া শুরু করতে বলা হয়। ডিসেম্বর মাসে যখন অংশগ্রহণকারীরা নয়া দিল্লিতে একত্রিত হয় তখন তারা তাদের প্রস্তুতি দেখায়।
৭) উদযাপনের সময় জাতির জনক মহাত্মা গান্ধির সম্মানে 'অ্যাবাইড বাই মি' গানটি বাজানো হয়। এটি মহাত্মা গান্ধীর অন্যতম প্রিয় গান ছিল।
৮) প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের জন্য ট্যাঙ্ক এবং কামান প্রস্তুত রাখতে, ইন্ডিয়া গেটের কাছে একটি বিশেষ শিবির স্থাপন করা হয়েছে। ট্যাঙ্কগুলি সময়মতো পরিষ্কারও করা হয়। প্রতিবছর ২৬ জানুয়ারি ভারতের সামরিক শক্তি প্রদর্শনের জন্য ট্যাঙ্ক ও কামানগুলি ব্যবহার করা হয়।
৯) যারা প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন এবং কুচকাওয়াজে অংশ নেয় তারা ২৬ জানুয়ারি গভীর রাত ২টো থেকে প্রস্তুত হওয়া শুরু করে। অনুষ্ঠানে কোনওরকম বিলম্ব এড়াতে তারা ভোরবেলাতেই নির্দিষ্ট জায়গায় জড়ো হওয়া শুরু করে।
১০) প্যারেডে স্টান্ট পালনকারী সেনা কর্মীদের চারটি বিভিন্ন স্তরের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। অনুষ্ঠান শুরুর ঠিক আগে, তারা কোনও বুলেট বা নিষিদ্ধ কোনও জিনিস বহন করছে কি না তা পরীক্ষা করার জন্য সেনা কর্মীদের কড়া পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
১১) কুচকাওয়াজের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হল 'ফ্লাইপাস্ট', এতে অংশগ্রহণকারী হিসেবে ৪১টি বিমান থাকে। এই সবকটি বিমান বিভিন্ন বিমান বাহিনী স্টেশন থেকে ছাড়ে এবং একই পূর্বনির্ধারিত সময়ে রাজপথে পৌঁছায়।