Just In
প্রয়াত কিংবদন্তি সঙ্গীত পরিচালক খৈয়াম, রেখে গেলেন তাঁর অবিস্মরণীয় কিছু সুর
তাঁর সুরের মাধ্যমে মানুষ চিনেছিল তাঁকে। তিনি চলে গেলেন। কিন্তু, রেখে গেলেন তাঁর তৈরি করা অমর কিছু সুর। সোমবার রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে প্রয়াত হলেন কিংবদন্তী সঙ্গীত পরিচালক মহম্মদ জহুর খৈয়াম হাসমি। তিনি বিশেষভাবে সুপরিচিত "খৈয়াম" নামে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। 'কভি কভি', 'উমরাও জান'-এর মতো জনপ্রিয় ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন তিনি।
১৫ অগাস্ট ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন কিংবদন্তি সঙ্গীত পরিচালক খৈয়াম। সেখানে ICU-তে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তাঁর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক বলেই জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা । এরপর, গতরাতে হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। আজ তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বলিউড মহল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
প্রাথমিক জীবন :
১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯২৭ সালে পাঞ্জাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন খৈয়াম। খুব অল্প বয়স থেকেই সঙ্গীতের প্রতি তাঁর ঝোঁক ছিল। ছোটোবেলায় তিনি সঙ্গীত শেখার জন্যে দিল্লিতে মামার বাড়ি পালিয়ে যান। সেখানে তিনি সুরকার পণ্ডিত অমরনাথের অধীনে সঙ্গীতের প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন। এরপর, সঙ্গীত পরিচালক বাবা চিস্তির কাছেও প্রশিক্ষণ নেন।
কর্মজীবন :
১৭ বছর বয়সে তিনি সঙ্গীত পরিচালক বাবা চিস্তির সাথে সহকারি সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। 'কভি কভি' ও 'উমরাও জান'- এর মতো সিনেমায় তিনি তাঁর শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতের অবদান রেখেছেন। এছাড়াও, 'নুরি', 'রাজিয়া সুলতান', 'বাজার'-এর মতো ছবিতেও সুর দিয়েছেন তিনি। আরও অনেক ছবিতে তিনি সুর দিয়েছেন। চার দশক ধরে একের পর এক সুপারহিট গান উপহার দিয়েছেন তিনি। ছবির বাইরেও অনেক গান সমান জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
পুরস্কার :
২০০৭ সালে তিনি সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি কর্তৃক সৃজনশীল সঙ্গীতে অবদান রাখার জন্য পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও ভারতীয় জাতীয় সঙ্গীত অ্যাকাডেমি কর্তৃক নাচ এবং থিয়েটারে অবদান রাখার সুবাদে বিশেষভাবে সম্মানিত হন। ১৯৭৭ সালে 'কভি কভি'- ছবির জন্য ও ১৯৮২ সালে 'উমরাও জান'-ছবির জন্য সেরা সঙ্গীতের ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান তিনি। ২০১০ সালে লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার পান তিনি। মোট তিনবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। ২০১১ সালে ভারত সরকার কর্তৃক ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মানজনক পুরস্কার 'পদ্মভূষণ' লাভ করেন।