Just In
- 1 hr ago প্রেম জীবনে উত্তেজনা মেষ-তুলার, সতর্ক থাকতে হবে ৩ রাশিকে, দেখুন আজকের রাশিফল
- 18 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 19 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 21 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে প্রতি শুক্রবার রাশি ভেদে এই লক্ষ্মী মন্ত্রগুলি পাঠ করা মাস্ট!
কথায় বলে গরীব হয়ে জন্মানোটা পাপ নয়। বরং গরীব হয়ে মারা যাওয়াটা পাপ। তাই তো বলবো বন্ধু, পকেটে টাকা না থাকলে দুঃখ পাবে না। বরং কীভাবে খালি ময়দানকে ভরিয়ে তুলতে হয়, সেদিকে নজর ফেরাতে হবে। আর এমনটা করতে গেলে নির্দিষ্টি দিশায় পরিশ্রম করা যেমন জরুরি, তেমনি আরও একটি জিনিস নিয়ম করে করতে হবে। কী জিনিস জানেন?
হিন্দু ধর্মের উপর লেখা একাধিক প্রচীন বইয়ে বিশেষ কিছু লক্ষ্মী মন্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। সেই মন্ত্রগুলির মধ্যে যেটির সঙ্গে আপনার রাশির মিল রয়েছে, সেটি যদি প্রতি শুক্রবার পাঠ করতে পারেন, তাহলে খালি পকেট, অনেক অনেক টাকায় ভরে উঠতে দেখবেন সময় লাগবে না।
আর যদি প্রশ্ন করেন মন্ত্র কীভাবে বড়লোক বানাতে পারে? তাহলে উত্তরে বলবো বন্ধু, মন্ত্র হল সেই শক্তি, যা আমাদের আমাদের মন এবং মস্তিষ্ককে চাঙ্গা করে তোলার পাশাপাশি আশেপাশে উপস্থিত পজেটিভ শক্তির মাত্রাকে এতটাই বাড়িয়ে তোলে যে তার প্রভাবে নানাবিধ উপকার মিলতে শুরু করে। এই যেমন নানাবিধ লক্ষ্মী মন্ত্রের কথাই ধরুন না। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রগুলি পাঠ করা শুরু করলে গৃহস্থে শুভ শক্তির মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে মা লক্ষ্মীর আগমণ ঘটে। সেই সঙ্গে পিছু পিছু মায়ের পাশে আসন পাতেন ধন দেবতা কুবেরও। ফলে মা লক্ষ্মী এবং কুবের দেবের আশীর্বাদে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি কোনও ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে। তাই বলি বন্ধু, ৩০ পেরতে না পরতেই যদি মোটা অঙ্কের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সের মালিক হয়ে উঠতে চান, তাহলে তিনটে কাজ করতে হবে। প্রথমে নিজের রাশিটা জানতে হবে। দ্বিতীয়, রাশি অনুযায়ী এই প্রবন্ধে আলোচিত লক্ষ্মী মন্ত্রটি জপ করা শুরু করতে হবে এবং তৃতীয় হল মনোযোগ সহকারে পরিশ্রম করতে হবে। এই তিনটি কাজ যদি একসঙ্গে চালিয়ে যেতে পারেন, তাহলে উপকার যে পাবেই পাবেন, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই!
প্রসঙ্গত, চটজলদি বড়লোক হয়ে উঠতে রাশি অনুসারে যে যে মন্ত্রগুলি পাঠ করা জরুরি, সেগুলি হল...
১. মেষরাশি:
এই রাশির উপর মঙ্গলের প্রভাব খুব বেশি থাকে। তাই তো এরা যেমন শক্ত মনের অধিকারী হন, তেমনি নিজেকে উন্নতির সিঁড়িতে আরও উপরে কীভাবে তুলে নিয়ে যেতে হয়, সেই চিন্তাতেই সারাক্ষণ মশগুল থাকেন। তাই তো এমন মানসিকতার মানুষদের প্রতি শুক্রবার "শ্রিম" শব্দটি উচ্চারণ করা মাস্ট!কারণ নিয়ম করে যদি এই শব্দটি ১০০০৮ বার উচ্চারণ করা যায়, তাহলে দারুন সব উপকার মেলে। বিশেষত অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরম হতে সময় লাগে না।
২. বৃষরাশি:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি নিয়ম করে "ওম সর্ব বাঁধা বির্নিরমুক্ত, ধন ধান্যে সুতানভিতা, মনুষ্য মৎপ্রাসাদাধন ভবিষ্যতি নম সনচায়া ওম", এই মন্ত্রটি পাঠ করেন, তাহলে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝামেলা তো মিটে যায়ই। সেই সঙ্গে আরও নানাবিধ উপকার মিলার পথও প্রশস্ত হয়।
৩. মিথুনরাশি:
নিমেষে টাকার সমস্যা মিটুক, এমনটা চান নাকি? তাহলে "ওম শ্রিং শ্রায়া নমহ", এই মন্ত্রটি প্রতি শুক্রবার পাঠ করতে ভুলবেন না যেন! এক্ষেত্রে সকাল সকাল উঠে স্নান সেরে মা লক্ষ্মীর ছবি বা মূর্তির সামনে বসে একটা প্রদীপ জ্বালিয়ে এই মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে। এমনভাবে কয়েক মাস মন্ত্রটি জপ করলেই দেখবেন উপকার মিলতে শুরু করেছে।
৪. কর্কটরাশি:
এরা খুব মুডি। মন যখন চায় তখন এরা অপ্রতিরোধ্য। কিন্তু যেদিন মন খারাপ, সেদিন এদের দ্বারা কোনও কাজই হয় না। কিন্তু এমনটা হলে কিন্তু চলবে না। কারণ অনেক টাকা কামানোর স্বপ্ন দেখাটা সোজা। কিন্তু সেই সেই স্বপ্ন পূরণ করতে গেলে কিন্তু মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়। তাই প্রতিদিন পরিশ্রম করা মাস্ট! সেই সঙ্গে যে মন্ত্রটি পাঠ করা জরুরি, সেটা হল- "ওম শ্রী মহা লক্ষ্মী চে ভিদমাহে বিষ্ণু পত্নী চ ধিমাহে তানো লক্ষ্মী প্রাচোদায়াত ওম"। প্রসঙ্গত, এই মন্ত্রটি নিয়মিত পাঠ করা শুরু করলে দেখবেন উপকার পাবেই পাবেন!
৫. সিংহরাশি:
এরা কিছুতেই ভয় পান না। একবার যদি কোনও স্বপ্ন দেখে থাকেন, তাহলে সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে কোনও খামতিই রাখেন না। তবে পরিশ্রম করার পাশাপাশি যদি আপনারা "ওম শ্রিম মহা লক্ষ্মী নমহ", এই মন্ত্রটি জপ করতে পারেন, তাহলে দ্রুত ফল মেলার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। তাই তো বলি বন্ধু, বুদ্ধি, পরিশ্রম এবং মন্ত্রের শক্তিকে এক সঙ্গে কাজে লাগান। দেখবেন উপকার মিলবেই মিলবে...!
৬. কন্যারাশি:
এরা সৎ এবং কর্মঠ। কিন্তু শুধু মাথা গুঁজে কাজ করে গেলে যে বড়লোক হয়ে ওঠা সম্ভব নয়, তা তো আর বলার আপেক্ষা রাখে না। তাই তো বলি বন্ধু, মন লাগিয়ে কাজ করে যাওয়ার পাশাপাশি প্রতি শুক্রবার যদি "ওম হ্রিম শ্রিম ক্লিম মহা লক্ষ্মী নমহ", এই মন্ত্রটি জপ করতে পারেন, তাহলে অনেক অনেক টাকার মালির হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতে দেখবেন সময় লাগবে না।
৭. তুলারাশি:
টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝামেলা মিটে যাক। সেই সঙ্গে পকেট ভরে উঠুক অনেক অনেক টাকায়। এমনটা চান নাকি? তাহলে বন্ধু নিয়ম করে "ওম শ্রিম শ্রী নমহ", মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন!
৮. বৃশ্চিকরাশি:
অল্প সময়ে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সকে বাড়িয়ে তুলতে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের প্রতি শুক্রবার করে দেবী লক্ষ্মী এবং কুবের দেবের অরাধনা করতে হবে এবং সেই সঙ্গে পাঠ করতে হবে "ওম হ্রিম শ্রিম লক্ষ্মীভয়া নমহ", মন্ত্রটি। তাহলেই দেখবেন ফল পাবেন একেবারে হাতে-নাতে! তবে এক্ষেত্রে একটি জিনিস জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজন। তা হল ২৮ বছরের আগে বৃশ্চিকরাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত তেমন একটা সাফল্যের স্বাদ পান না। কিন্তু ২৮ পেরতে না পেরতেই এরা রকেটের গতিতে সামনে উন্নতির রাস্তায় এগিয়ে যেতে শুরু করেন।
৯. ধনুরাশি:
এদের উপর দেব গুরু বৃহস্পতির প্রভাব বেশি থাকার কারণে এরা বেশ জনপ্রিয় হন। সেই সঙ্গে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত ক্ষেত্রেও এরা বেশ উন্নতি করেন। তবে অল্প সময় যদি তুমুল সফলতার স্বাদ পেতে হয়, তাহলে আপনাদের নিয়ম করে "ওম শ্রিম হ্রিম শ্রিম কমলা কমলালিল্য প্রাসিদ প্রাসিদ ওম শ্রিম হ্রিম শ্রিম মহা লক্ষ্মী নমহ", এই মন্ত্রটি জপ করতে হবে। এমনটা যদি করতে পারেন, তাহলে জীবনে আর কখনও পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না!
১০. মকররাশি:
চরম অর্থনৈতিক উন্নতির স্বাদ পেতে আপনাদের যে লক্ষ্মী মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে, সেটি হল- "ওম শ্রিং হ্রিং ক্লিং ইং সাউং ওম হ্রিং কা এ কে তা হ্রিং হা স কা হা লা হ্রিং সাউং আং ক্লিং হ্রিং শ্রিম ওম"।
১১. কুম্ভরাশি:
এরা খুব জেদি হন। তাই তো কোনও কাজ শুরু করার পর যতক্ষণ না তা শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ এক মনে সেই কাজটা করে যান। তাই তো একদিন না একদিন সফলতা এদের রোজের সঙ্গী হয়ে ওটেই। কিন্তু চটজলদি যদি সফলতার স্বাদ পেতে চান, তাহলে "আইম হ্রিম শ্রিম অষ্টলক্ষ্মী হ্রিম রিম সিদ্ধ মাম গ্রিহে অগচ নমহ সোয়াহা", এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন!
১২. মীনরাশি:
এরা যদি প্রতি শুক্রবার মা লক্ষ্মীর পুজো করার পাশাপাশি "ওম শ্রিম হ্রিম শ্রিম কমল কমলাল্য প্রাসিদ প্রাসিদ, ওম শ্রিম হ্রিম শ্রিম মহালক্ষ্মী নমহ", এই মন্ত্রটি জপ করেন, তাহলে জীবন পথে সামনে আসা যে কোনও সমস্যা মিটে যেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝামেলাও মিটে যায় চোখের পলকে।