Just In
- 14 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 15 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 17 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 21 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
Don't Miss
নানাবিধ গ্রহ দোষের কারণে কী কী রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে জানা আছে?
নানাবিধ গ্রহ-নক্ষত্রের মধ্যে কোনওটার অবস্থান যদি দুর্বল হয়ে পরে, তাহলে নানাবিধ সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
শুনতে আজব লাগলেও বৈদিক অ্যাস্ট্রোলজির উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে আমাদের জন্ম কুষ্টিতে উপস্থিত নানাবিধ গ্রহ-নক্ষত্রের মধ্যে কোনওটার অবস্থান যদি দুর্বল হয়ে পরে, তাহলে নানাবিধ সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। সেই সঙ্গে লেজুড় হতে পারে একাদিক জটিল রোগও। তাই তো এমন কোনও ঘটনা ঘটার আগেই গ্রহ দোষ কাটানো যায় কীভাবে এবং কোন গ্রহ দুর্বল হয়ে পরলে কী কী রোগ ঘাড়ে চেপে বসতে পারে, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা একান্ত প্রয়োজন। আর ঠিক এই কারণেই প্রত্যেকেরই এই লেখাটি পড়া মাস্ট!
এই প্রবন্ধে প্রতিটি গ্রহ এবং নক্ষত্রের প্রভাবে কেমন ধরনের শারীরিক সমস্যা মাথা চাড়া উঠতে পারে, সে সম্পর্কে যেমন বিস্তারিত আলোচনা করা হবে, তেমনি গ্রহ দোষ কাটাতে কেমন ধরনের স্টোন পরা জরুরি, সেই বিষয়টির উপরও আলোকপাত করার চেষ্টা করা হবে। তাই তো বলি বন্ধু, বাকি জীবনটা যদি সুস্থভাবে বাঁচতে চান, তাহলে আর সময় নষ্ট না করে এই লেখাটি একবার পেড়ে ফেলুন। দেখবেন উপকার পাবেই পাবেন!
তাহলে আর অপেক্ষা কেন! চলুন গ্রহ দোষ এবং তার প্রভাব সম্পর্কে জেনে ফেলা যাক।
১. চাঁদ:
জন্ম কুষ্টিতে চাঁদের অবস্থান দুর্বল হয়ে পরলে ফুসফুস সংক্রান্ত নানা সমস্যা যেমন মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে, তেমনি নার্ভাস ডিজঅর্ডার, ডিপ্রেশন, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, দিনের পর দিন খারাপ স্বপ্ন আসার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে চাঁদের কুপ্রভাব কাটাতে মুক্ত ধারণ করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই! তবে কত রতির মুক্ত নিতে হবে বা মুক্তর প্রকৃতিই বা কেমন হবে, তা একজন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞের থেকে জেনে নিতে ভুলবেন না যেন।
২. মঙ্গল দোষ:
এই গ্রহটি যদি বিগড়ে যায়, তাহলে কিন্তু বেশ বিপদ! কারণ সেক্ষেত্রে হঠাৎ করে কোনও অ্যাক্সিডেন্টে ঘটার আশঙ্কা যেমন থাকে, তেমনি ব্লাড ডিজঅর্ডার, অ্যাসিডিটি,ব্রণ, আলসার এবং রাগের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে যে স্টোনটি পরলে বেশ উপকার মেলে, সেটি হল রক্তিম প্রবাল।
৩. বুধ:
এই গ্রহটি দুর্বল হয়ে পরলে আমাদের মস্তিষ্ক এবং নার্ভাস সিস্টেমের উপর মারাত্মক খারাপ প্রভাব পরে। ফলে নার্ভাস সিস্টেম দুর্বল হয়ে পরার পাশপাশি নানাবিধ স্কিন প্রবলেমও মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে লেজুড় হতে পারে অ্যালার্জি, মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পরার মতো সমস্যাও। তাই তো বলি বন্ধু, যদি দেখেন জন্ম কুষ্টিতে বুধের অবস্থান দুর্বল হয়ে পরেছে, তাহলে যত শীঘ্র সম্ভব পান্না ধারণ করতে ভুলবেন না যেন! এতে বুধের খারাপ প্রভাব কেটে যেতে সময় লাগে না।
৪. বৃহস্পতি:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই গ্রহটির প্রভাব দুর্বল হয়ে পরলে ওজন বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে চুল পড়ার হার বেড়ে যাওয়া, লিভারের সমস্যা, ডায়াবেটিস, টিউমার এবং মনোযোগ ক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতি গ্রহের খারাপ প্রভাবের কারণে কিন্তু মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। তাই সাবধান বন্ধু সাবধান! প্রসঙ্গত, এই বিশেষ গ্রহটির খারাপ প্রভাব কমাতে হলুদ নীলকান্তমণি কিন্তু দারুন কাজে আসে।
৫. শুক্র:
কোনও কারণে যদি এই গ্রহটির খারাপ প্রভাব পরে আপনার উপর, তাহলে কিডনি সম্পর্কিত নানাবিধ রোগ মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে কিন্তু! সেই সঙ্গে লেজুড় হতে পারে বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যাও। তাই তো বলি বন্ধু, জন্ম কুষ্টিতে যদি শুক্র গ্রহ দুর্বল হয়ে পরার যোগ থাকে, তাহলে হিরের একটা আংটি পড়তে দেরি করবেন না যেন!
৬. শনি গ্রহ:
কারও উপর শনি গ্রহের খারাপ প্রভাব পরলে কিন্তু ভিষণ বিপদ! কারণ সেক্ষেত্রে হাজারো রকমের সমস্যা যেমন মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে আর্থ্রাইটিস, নার্ভাস ডিজঅর্ডার, হাড়ের রোগ এবং ডিপ্রেশনের মতো ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ও থাকে। এক্ষেত্রে এমন সব শারীরিক সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে নীলা পরার প্রয়োজন রয়েছে।
৭. রাহু এবং কেতু:
জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে কারও কুষ্টিতে এদের অবস্থান যদি বিগড়ে যায়, তাহলে একদিকে যেমন হঠাৎ করে অ্যাক্সিডেন্টের খপ্পরে পরার আশঙ্কা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি ব্লাড ডিজিজ, আলসার, নার্ভের রোগ এবং নানাবিধ হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে। তাই তো রাহু-কেতু দুর্বল হয়ে পরলে সময় নষ্ট না করে গোমেত এবং ক্যাটস আই, এই দুটি স্টোন ধারণ করা উচিত।
৮. সূর্য:
কারও উপর যদি সূর্যের খারাপ প্রভাব বাড়তে থাকে, তাহলে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, হার্টের রোগ, বারে বারে জ্বরে আক্রান্ত হওয়া, পেটের রোগ এবং নানাবিধ মস্তিষ্ক ঘটিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে। তাই তো এক্ষেত্রে সময় নষ্ট না করে যত শীঘ্র সম্ভব রুবি পরা উচিত। কারণ এই স্টোনটি নিলে সূর্যের খারাপ প্রভাব কেটে যেতে সময় লাগে না।