Just In
বাড়ি-ঘর সাজাতে ফার্নিচার তো সবাই কেনেন, কিন্তু কোন জায়গায় কোন আসবাবটি রাখতে হবে তা জানেন কি?
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়িতে যদি পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়াতে হয়, তাহলে ফার্নিচার কেনার সময় যেমন কতগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তেমনি কোন আসবাবটি কোথায় রাখবেন, সে বিষয়েও জেনে নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদের আশেপাশে থাকা প্রতিটি জড় বস্তুই হয় পজেটিভ এনার্জির জন্ম দেয়, নয়তো নেগেটিভ শক্তির, যা কোনও না কোনও ভাবে আমাদের জীবনের উপর প্রভাব ফেলে থাকে। যেমন ধরুন, গৃহস্থের অন্দরে যদি পজেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়তে থাকে, তাহলে জীবন সুন্দর হয়ে উঠতে সময় লাগে না। আর যদি উল্টো ঘটনা ঘটে, তাহলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটতে শুরু করে। তাই তো বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বাড়ির জন্য যে কোনও কিছু কেনার আগে সেই বস্তুটি পজেটিভ শক্তির জন্ম দেবে না নেগেটিভ শক্তির, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। একই যুক্তি খাটে আসবাব পত্রের ক্ষেত্রেও।
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়িতে যদি পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়াতে হয়, তাহলে ফার্নিচার কেনার সময় যেমন কতগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তেমনি কোন আসবাবটি কোথায় রাখবেন, সে বিষয়েও জেনে নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে এই প্রবন্ধটি। তাই তো বলি বন্ধু, বাড়ির প্রতিটি কোণায় শুভ শক্তির প্রভাব বাড়িয়ে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে যদি আনন্দে ভরিয়ে তুলতে চান, তাহলে এই লেখায় একবার চোখ রাখতে ভুলবেন না।
প্রসঙ্গত, আসবাব পত্র রাখার সময় যে যে নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে, সেগুলি হল...
১. আসবাব রাখতে ঘরের কোন দিকে?
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে গৃহস্থের অন্দরে যদি পজেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়াতে হয়, তাহলে সব সময় আসবাব রাখতে হবে হয় পশ্চিম দিকে, নয়তো দক্ষিণ দিকে। আসলে বাড়ির এই নির্দিষ্ট দিকে ফার্নিচার রাখলে এনার্জির প্রবাহ ঠিক মতো হতে শুরু করে। ফলে খারাপ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।
২. দেওয়াল থেকে দূরে রাখতে হবে:
দেওয়াল থেকে কম করে ৩ ইঞ্চি ছেড়ে যদি আসবাবপত্র রাখা যায়, তাহলে পজেটিভ শক্তি, বাড়ির প্রতিটি কোণায় পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ পায়। ফলে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে পরিবারের উপর খারাপ শক্তির প্রভাব পরার সম্ভাবনাও কমে।
৩. ফার্নিচারের অবয়ব:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে ভুলেও ডিম্বাকৃতি অথবা গোলাকার ফার্নিচার কেনা উচিত নয়। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে এই ধরনের আসবাবপত্র বাড়িতে রাখলে খারাপ শক্তির দাপাদাপি বেড়ে যায়। আর এমনটা হলে হঠাৎ করে কোনও দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন বাড়ে, তেমনি কর্মক্ষেত্র থেকে সামাজিক জীবন, সবক্ষেত্রেই নানাবিধ সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে থাকে। ফলে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না। তাহলে প্রশ্ন হল, পজেটিভ শক্তিকে সঙ্গী বানাতে কেমন ধরনের ফার্নিচার কেন উচিত? বিশেষজ্ঞদের মতে সব সময় চৌকো অথবা আয়তক্ষেত্রাকার আসবাব কেনা উচিত। কারণ এমনটা করলে বাড়িতে খারাপ শক্তির প্রবেশ আটকে যায়। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার সম্ভাবনা কমে।
৪. বেডের আবস্থান:
শোওয়ার ঘরের কোন স্থানে রাখতে হবে বেডকে? এই প্রশ্নের উত্তর যারা খুঁজছেন, তারা জেনে রাখুন বেডরুমে খাটের অবস্থান হতে হবে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে। কারণ এমনটা করলে তবেই কিন্তু পজেটিভ শক্তির প্রভাবে সুফল পাওয়ার সম্ভবনা বাড়ে।
৫. ডাইনিং টেবিলের অবস্থান:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে গৃহস্থের অন্দরে শুভ এবং অশুভ শক্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে ডাইনিং টেবিল রাখতে হবে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে। আর স্টাডি টেবিল রাখতে হবে হয় পূর্ব দিকে, নয়তো উত্তর দিকে।
৬. কোন দিন আসবাব পত্র কেনা উচিত নয়?
শুনতে আজব লাগলেও বাস্তুশাস্ত্রে কোন কোন দিন ফার্নিচার কেনা উচিত নয়, সে বিষয়েও উল্লেখ পাওয়া যায়। যেমন ধরুন মঙ্গল এবং শনিবার আসবাব কিনতে মানা করা হয়েছে এই শাস্ত্রে। তবে এখানেই শেষ নয়, বেশ কয়েকজন বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বছরের শেষ দিনেও নাকি ফার্নিচার কেনা উচিত নয়। কারণ এমনটা করলেও খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে।
৭. কাঠের আসবাব:
বিশেষজ্ঞদের মতে শাল, সেগুন, চন্দন, অশোক, অর্জুন এবং নিম গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি আবসাবপত্র বাড়িতে রাখা বেজায় শুভ। তাই এবার থেকে ফার্নিচার কেনার আগে এই বিষয়টি মাথায় রাখতে ভুলবেন না যেন!
৮. কাঠের ফার্নিচার কোথায় রাখতে হবে?
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কাঠের আসবাবপত্র ভুলেও বাড়ির উত্তর, পূর্ব অথবা উত্তর-পূর্ব দিকে রাখা উচিত নয়। কারণ এমনটা না করলে অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত আরও নানাবিধ সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনাও দেখা দেয়।
৯. স্টিল ফার্নিচার:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে অফিসে স্টিলের ফার্নিচার ব্যবহার করলে পজেটিভ এনার্জির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। আর এমনটা করলে পদন্নতির পথ যে প্রশস্ত হয়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।