Just In
ফসল বাঁচাতে চাষের জমিতে নামল 'বাঘরুপী কুকুর'! জেনে নিন আসল ঘটনা
কাক-পক্ষীদের হাত থেকে শস্য বাঁচাতে চাষের ক্ষেতে কাকতাড়ুয়া দাঁড়িয়ে থাকতে আমরা সকলে দেখেছি। এটা আমাদের কাছে খুবই স্বাভাবিক ও সাধারণ। কিন্তু, ফসল বাঁচাতে 'বাঘরুপী' কুকুরকে চাষের ক্ষেতে দাঁড়াতে দেখেছেন কখনও! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি! এবার এমন ঘটনা দেখা গেল কর্ণাটকের একটি ছোট্ট গ্রামে। তাহলে, আসুন আসল ঘটনা জেনে নেওয়া যাক।
কর্ণাটকের তীর্থহালি তালুকের নালুরু গ্রামের বাসিন্দা শ্রীকান্ত গৌড়া। বহুদিন থেকেই বাঁদরের উৎপাতে থাকছিল না তাঁর ক্ষেতের ফসল, অতিষ্ট হয়ে উঠছিলেন তিনি। তাই বাঁদরের হাত থেকে ক্ষেতের ফসল বাঁচাতে নকল বাঘের ব্যবস্থা করেন তিনি। নিজের পোষ্য কুকুরের গায়ে বাঘের মতো হবহু হলুদ কালো ডোরাকাটা দাগ করে দেন তিনি। যাতে কুকুরকে দেখে 'বাঘ' ভেবে ভয় পায় বাঁদরের দল এবং তাঁর চাষের জমির ধারে কাছেও না ঘেঁষে তারা। আর, তাতে কাজও হয়েছে দিব্যি। কিন্তু, প্রশ্ন একটাই, এই বুদ্ধি শ্রীকান্ত-এর মাথায় এল কী করে?
আরও পড়ুন : অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ নাকি লাভ ম্যারেজ? আপনি কোনটাকে সমর্থন করেন
এর উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, চার বছর আগে, তিনি উত্তর কর্ণাটকের ভাটকলের এক কৃষকের কথা শুনেছিলেন, যিনি তার জমিতে ফসল রক্ষার জন্য বাঘের মতো দেখতে একটি খেলনা ব্যবহার করেছিলেন। এই শুনে শ্রীকান্ত গৌড়া-ও ক্ষেতের মাঝখানে বাঘের মতো দেখতে একটি পুতুল রেখেছিলেন এবং তাতে কাজও হয়েছিল। বাঘের মতো খেলনা দেখে ভয় পেয়ে বাঁদররা আর তাঁর ক্ষেতে প্রবেশ করত না। এই কৌশল তিনি অন্য ক্ষেতেও ব্যবহার করেছিলেন, সেখানেও আর বাঁদররা যেত না।
কিন্তু, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে এই কৌশলটি বেশিদিন কাজ করবে না, স্থায়ী কিছু ভাবতে হবে। তাই, এবার নিজের পোষ্য কুকুরকেই বাঘ সাজিয়ে দিলেন। চুল রঙ করার জিনিস অর্থাত্ হেয়ার ডাই দিয়ে পোষ্য কুকুরের গায়ে ডোরাকাটা দাগ এঁকে দেন শ্রীকান্ত। এই কৌশল ভালই কাজ দেয়। বাঘরুপী কুকুরটি খেতের চার দিকে ঘুরে বেড়ায় এবং ভয়ে বাঁদররা আর ফসলের কাছে আসে না। কুকুরের গায়ের রঙ ফিকে হলেই ফের কাজে লেগে পড়েন শ্রীকান্ত। বহুদিন ধরে এভাবেই নিজের ক্ষেতের ফসল বাঁচিয়ে আসছে শ্রীকান্ত।