Just In
জানেন কি বেদে লেখা কোন কোন ভবিষ্যতবাণী আজ সত্যি হতে শুরু করেছে?
আজ থেকে প্রায় ৫০০০ বছর আগে বেশ কিছু ভবিষ্যতবাণী করা হয়েছিল, যার উল্লেখ পাওয়া যায় বেদে। আর আশ্চর্যের বিষয় কি জানেন সেই সব ভবিষ্যতবাণী আজ সত্যি হতে শুরু করেছে।
আজ থেকে প্রায় ৫০০০ বছর আগে বেশ কিছু ভবিষ্যতবাণী করা হয়েছিল, যার উল্লেখ পাওয়া যায় বেদে। আর আশ্চর্যের বিষয় কি জানেন সেই সব ভবিষ্যতবাণী আজ সত্যি হতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, ঠিক যেমন যেমনটা বলা হয়েছিল, ঠিক তেমন তমনটাই হচ্ছে। এমনকি কিছু ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটবে কলি যুগে, এমনও দাবি করা হয়েছিল সেই পাচীন পুঁথিতে। আর ভয়ের বিষয় সেই সব ঘটনাগুলিও একের পর এক ঘটতে শুরু করেছে। তাই আমাদের সবারই সাবধান হওয়া উচিত। না হলে ধ্বংসের ছোঁয়া যে আমাদের শরীরেও লাগবে, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে!
তবে সাবধান হতে গেলে কোন কোন ভবিষ্যতবাণী বাস্তবের রূপ নিচ্ছে, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা একান্ত প্রয়োজন। কারণ বিপদ কোন দিক থেকে আসছে সেটা জানলেই না বাঁচা সম্ভব! তাই তো বলি বন্ধু আর অপেক্ষা নয়, বরং চটজলদি পড়ে ফেলুন এই প্রবন্ধটি। কারণ এই লেখাটিতেই বেদান্ত থেকে তুলে এনে বিশ্লেষণ করা হয়েছে সেই সব ভবিষ্যতবাণীগুলিকে। তাই বাঁচতে গেলে যে পাঁচ মিনিট খরচ করে লেখাটা পড়তেই হবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই...!
১. ধর্ম,বিশ্বাস, ধৈর্য এবং ক্ষমার কোনও মূল্য থাকবে না:
হাজার হাজার বছর আগে বলে যাওয়া এই কথাটা দেখুন আজ সত্যি হচ্ছে। খেয়াল করে দেখবেন আজ কারও বিশ্বাস নেই ধর্মে। সবাই অধুনিকতার অজুহাত দেখিয়ে ভুলতে বসেছে আমাদের সংস্কৃতিকে, এমনকি স্পরিচুয়ালিটিকেও। সেই সঙ্গে লেজুড় হয়েছে ধৈর্যের অভাব। যে কারণে আজ সবার মনই অশান্তিতে ভারে গেছে। আর কেন হবে নাই বা বলুন! মনকে শান্ত রাখতে যে যে গুণের প্রয়োজন পরে, সে সবের তো আজ দেখা মেলা ভার। তাই তো বলি বন্ধু, এমন খারাপ সময়ে খুশি মনে যদি বাঁচতে চান, তাহলে ক্ষমাবান এবং ধৈর্যবান হন। মনকে শান্তি রাখুন। ধর্মের পথ নিন। দেখবেন জীবনের ছবিটাই বদলে যাবে।
২. কলিযুগে টাকাকেই ভগবান মেনে নেওয়া হবে:
আজকের দিনে আমরা টাটা-বিড়লা-আম্বানিদের ভাগ্যবান বলি। আর যারা নিজ স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে অন্যের সাহায্য করে থাকেন, তারা হলেন বোকা। কারণ আজকের সমাজে যার পকেটে টাকা সেই শক্তিশালী। এ যুগে তাই ভাল মানুষের কোনও দাম নেই, সে তো "খোটা সিক্কা"। আর এমন উলট পুরানের কারণেই তো আমরা ধ্বংসের পথে চলেছি। তাই এখনই যদি আমরা নিজেদের স্বভাবকে বদলে ফেলতে না পরি, টাকার আগে যদি জায়গা করে দিতে না পারি ভাল মানুষিকে, তাহলে কিন্তু খুব বিপদ বন্ধু!
৩. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্কের কোনও দাম থাকবে না:
বহু হাজার বছর আগে বলে যাওয়া কথাটা দেখুন আজ কেমন মিলে যাচ্ছে। সে সময় বলা হয়েছিল কলিযুগ নামে এক সময় আসবে, যখন পুরুষ এবং মহিলা একে-অপরকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেবে কেবল স্বার্থসিদ্ধির কথা মাথায় রেখে। সেখানে ভাসবাসার কোনও মূল্য থাকবে না। দেনা-পাওনা মিটে গেলেই শুকিয়ে যাবে সম্পর্ক। আর খেয়াল করে দেখুন আজকের দিনে ঠিক এমনটাই হচ্ছে। তাই না এদেশে ডির্ভোস রেট এতটা বেড়ে গেছে।
৪. ভন্ডামি সেরা গুণ হিসেবে বিবেচিত হবে:
খেয়াল করে দেখবেন বাড়ি থেকে বেরনোর পর থেকে পুনারায় বাড়ি ফিরে আসা পর্যন্ত প্রতিটি মানুষ আমাদের ঠকাতে চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, কোনও না কোনও ভাবে আমাদের ভুল বুঝিয়ে সবাই নিজের স্বার্থসিদ্ধি করতে চাইছে। যেখানে ঠকানোর সুযোগ নেই, সেখানে কারও মারাত্মক ক্ষতি করে আরেক মানুষ নিজের পকেট ভরাচ্ছে। এমন সমাজ তো নিরাপদ হতে পারে না! আর যা খারাপ, তার তো একদিন ধ্বংস হবেই হবে। আর ঠিক এই কারণেই আমরাও ধ্বংসের দিকে ছুটছি। তাই তো বলি বন্ধু, সেই ধ্বংসের ছোঁয়া আপনার শরীরেও লাগুক, এমনটা যদি না চান, তাহলে নিজেকে বদলান। সেই সঙ্গে ভুলেও কারও ক্ষতি করার কথা ভাববেন না যেন! দেখবেন দিনের শেষে আপনার ভালই হবে।
৫. যে "করাপটেড" সেই শক্তিশালী:
টেবিলের তলা দিয়ে টাকা না দিলে কোনও কাজই আজকের দিনে হয় না। আর এমনটাই যে একদিন হবে, তা প্রায় ৫০০০ বছর আগে লিখে গিয়েছিলেন জ্ঞানী মানুষেরা। তারা বলেছিলেন এমন একটা সময় আসবে, যখন করাপটেড মানুষেরাই সমাজের সম্মানীয় ব্যক্তি হয়ে উঠবেন। আর তাদের হাতেই থাকবে সামাজিক এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা। দেখুন কেমন মিলে গেছে ভবিষ্যতবাণী...!
৬. ধ্বংস হবেই হবে:
বেদের দিকে নজর ফেরালে জানা যায়, সেখানে এমন লেখা রয়েছে, যে দিন খারাপ-ভালোর ভারসাম্য বিগড়ে যাবে সেদিন থেকে মানুষ খরা, বন্যা এবং ভমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যেমন মারা পরবে, তেমনি ঝগড়া-ঝাটি, খাবারের অভাব, রোগ-ব্যাধি এবং দুশ্চিন্তাও ধীরে ধীরে মেরে ফলবে মানুষকে। আর আজ দেখুন ঠিক এমনটাই তো ঘটছে, কি তাই না?
৭. আয়ু কমবে চোখে পরার মতো:
আজ খেয়াল করে দেখুন মানুষের গড় আয়ু ৫০-৬০ বছর এসে দাঁড়িয়েছে। আর এমনটা যে হবে তা প্রায় ৫০০০ বছর আগেই ভবিষ্যতবাণী করা হয়েছিল। আসলে পাপের মাত্রা যত বাড়ছে, তত তার প্রভাব পরছে আমাদের শরীরে। আর ঠিক এই কারণেই তো আয়ু কমছে তরতরিয়ে। তাই তো বলি বন্ধু, দীর্ঘ দিন যদি সুস্থভাবে, খুশি মনে জীবন কাটাতে চান, তাহলে ভাল মানুষ হন। অপরকে সাহায্য করুন। দেখবেন অনন্দ আপনার রোজের সঙ্গী হয়ে উঠবে।
৮. বাবা-মাকে দুঃখ দেবে তার সন্তানেরা:
আজ বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা বাড়ছে ক্রমাগত। আর এমনটা যে হবে তা হাজার হাজার বছর আগে ভবিষ্যতবাণী করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল এমন সময় আসবে যখন সন্তানেরা তার বাবা-মায়েদের খেয়াল রাখবেন না। তাদের কথায় কাথায় দুঃখ দেবেন। আর বাবা-মায়েদের চোখের জলই হবে তাদের সাফল্যের ট্রফি। আজকের দিনে দেখুন ছেলে-মেয়ারা তাদের বাবা-মাকে ছেড়ে আলদা ঘর বানাচ্ছে। আর এদিকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা চোখের জলে পান করে দিন কাটাচ্ছেন। তাই তো বলি এমন খারাপ, ভয়ঙ্কর সমানজের ঠিকে থাকাটা উচিত নয়। আমাদের সবার মরে যাওয়া উচিত, ধ্বংস হয়ে যাওয়া উচিত। তবেই নতুন করে জন্ম নেবে এক সুন্দর সমাজ।