Just In
আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস ২০১৯ : থিম ও ইতিহাস
মাদার্স ডে, ফাদার্স ডে, নারী দিবস, এরকম আরও অনেক দিবসই আমরা ধুমধাম করে পালন করি। কিন্তু, আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না,আজ 'বিশ্ব পুরুষ দিবস'। প্রতিবছর, ১৯ নভেম্বর বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস পালিত হয়। পুরুষদের মধ্যে লিঙ্গ ভিত্তিক সমতা,ইতিবাচক ভাবমূর্তি ও পুরুষদের স্বাস্থ্য সচেতনতার লক্ষ্যে এই দিবসটি উদযাপিত হয়।
প্রতিবছর বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশ এই দিবসটি পালন করে। এর মধ্যে রয়েছে আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইউক্রেন, ভারত, চীন, পাকিস্তান, ডেনমার্ক, ক্রোয়েশিয়া, জ্যামাইকা, কিউবা, স্কটল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মাল্টা, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, ইত্যাদি। ভারতে ২০০৭ সালে প্রথম পালিত হয় আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস। বিশ্ব পুরুষ দিবসের এবছরের থিম হল 'পুরুষ ও নাবালকের পার্থক্য'।
আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসের প্রথম সূচনা হয় ১৯৯২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু তা নিয়ে কোনওরকম হইচই ছিল না। এরপর, ২৩ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস পালনের কথা হলেও, তা ধার্য হয়নি। অবশেষে, ১৯৯৯ সালের ১৯ নভেম্বর ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে প্রথম আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস উদযাপিত হয়। ড.জেরোম তিলক সিং -এর বাবার জন্মদিনে প্রথম বিশ্ব পুরুষ দিবস উদযাপিত হয়। এভাবেই, ১৯ নভেম্বর পুরুষদের জন্য দিবস গড়ে ওঠে।
লক্ষ্য
গবেষণায় দেখা গেছে যে, নারীদের চেয়ে তিনগুণ বেশি আত্মহত্যা করে পুরুষরা। কারণ, বেশিরভাগ পুরুষই তাদের আবেগ সহজে প্রকাশ করতে পারে না। তাই এই দিবস উদযাপনে মূল লক্ষ্যগুলি হল -
১) পুরুষ ও বালকদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি
২) পুরুষদের নিয়ে বিভিন্ন কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা
৩) পুরুষদের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরা
৪) লিঙ্গ সাম্যতার প্রচার
৫) পুরুষদের নিরাপত্তা
৬) সমাজ ও পরিবারের ক্ষেত্রে পুরুষ এবং বালকদের অবদানকে তুলে ধরা