Just In
আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস ২০১৯ : জেনে নিন এর ইতিহাস ও তাৎপর্য
১৯৮১ সাল থেকে, প্রতি বছর ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্বজুড়ে 'আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস' পালিত হয়ে আসছে। প্রতিবছর এইদিনটি সমস্ত জাতি এবং জনগণ উভয়ের উদ্দেশেই শান্তির আদর্শকে শক্তিশালী করার জন্য পালিত হয়।
বিশ্ব শান্তি দিবস বা আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস জাতিসংঘ কর্তৃক প্রস্তাবিত একটি দিন যা এর সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত বিশ্বের সকল দেশ ও সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালিত করে থাকে। এবছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক শান্তির দিবসের থিমটি হল 'শান্তির জন্য জলবায়ু পদক্ষেপ'।
বিশ্ব শান্তি দিবসের ইতিহাস :
১. একটি যুদ্ধবিহীন বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৮১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের "তৃতীয় মঙ্গলবার" জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার দিনটিকে "আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস" হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২. পরবর্তীকালে, ২০০১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২০০২ সাল থেকে প্রতি বছর ২১ সেপ্টেম্বর "আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস" হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩. ১৯৮১ সালে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ শান্তির আদর্শকে স্মরণীয় ও শক্তিশালী করার জন্য আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসের একটি প্রস্তাব পাস করে।
৪. ১৯৮২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসটি প্রথম পালিত হয়েছিল।
৫. ১৯৮৩ সালে, জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল শান্তির সংস্কৃতি ঘোষণা করেন।
৬. ২০০১ সালে, জাতিসংঘের সেক্রেটারি-জেনারেল কোফি আনান ২১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস পালনকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি খসড়া তৈরি করেছিলেন।
৭. ২০০৫ সালে, কোফি আনান এই দিনটিকে অহিংসার দিন হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য বিশ্বব্যাপী ২২ ঘণ্টা যুদ্ধবিরতি পালনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
৮. ২০০৬ সালে, কোফি আনান তার দায়িত্ব পালনকালে শেষবারের মতো শান্তির ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন।
৯. ২০০৭ সালে, জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল বান কি মুন নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ২৪ ঘণ্টা হিংসা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বিশ্বব্যাপী এক মিনিট নীরবতা পালনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
১০. ২০০৯ সালে, সাদা পায়রা বিতরণের মাধ্যমে এই দিবসটি পালনের জন্য আন্তর্জাতিক পুনর্মিলনের বছর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
শান্তি ঘণ্টা বাজানো ও বিশেষ বাণী প্রদানের মাধ্যমে জাতিসংঘের মহাসচিব এইদিনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই দিনটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়।