Just In
- 14 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 15 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 18 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 20 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
এই রাশির জাতক-জাতিকারা বেজায় স্বার্থপর প্রকৃতির হন, তাই তো এদের থেকে দূরে থাকাটাই ভাল!
আজকের দুনিয়ায় স্বার্থপর মানুষদের সংখ্যা যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
আজকের দুনিয়ায় স্বার্থপর মানুষদের সংখ্যা যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু ভয়টা যেখানে, সেটা হল এমন মানুষদের ফাঁদে পরলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কিন্তু কোন মানুষটা স্বার্থপর, আর কোন জন সোনার মনের, তা তো আর খালি চোখে দেখে বোঝা সম্ভব নয়, তাহলে উপায়?
এই প্রশ্নের উত্তর দিতেই তো এই প্রবন্ধটি লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া। আসলে কে কেমন মানুষ তা এক ঝলক দেখা বোঝা সম্ভব নয় ঠিকই, কিন্তু আরেকটি গোপন পদ্ধতি আছে, যা মনের অন্দরের খোঁজ দিতে পারে একেবারে নির্ভুল ভাবে। কী সেই পদ্ধতি? তাকে সহজ কথায় জ্যোতিষশাস্ত্র বলা হয়ে থাকে। আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কোনও মানুষের রাশি দেখে অনেকাংশেই বুঝে যাওয়া সম্ভব তার চরিত্র সম্পর্কে। যেমন কর্কট রাশির কথাই ধরুন না। এই রাশির জাতক-জাতিকারা বেজায় ইমোশমাল প্রকৃতির হয়ে থাকেন। একথায় মনের মানুষ বলতে যাকে বোঝায়, এরা একেবারে তেমনই হয়ে থাকেন। অন্যদিকে কুম্ভরাশির জাতক-জাতিকারা হন বেজায় স্বার্থপর গোছের। তাই তো এদের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এখানেই শেষ নয়, এই প্রবন্ধে সেই সব রাশির উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করা হল, যারা স্বার্থপর এবং নিজের কথা ছাড়া কারও কথাই ভাবেন না। যার মধ্যে কুম্ভ রাশির জাকতকেরা যেমন রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন...
১. কুম্ভ রাশি (অ্যাকোয়ারিয়াস):
নিজের কথার বাইরে এই রাশির জাতিক-জাতিকারা আর কারও কথা শুনতে চান না। নিজে যেটা ভাল মনে করেন, সেটাই করেন। শুধু তাই নয়, কারও মতামত তার সামনেই উপেক্ষা করে চলে যাওয়ার আর্ট এরা জন্ম মুহূর্তে থেকে শিখে নেন। তাই তো বাকিদের সঙ্গে কুম্ভ রাশির জাকতদের খুব একটা মিলমিশ হয় না। বলতে পারেন অনেকটা এই উপেক্ষা করার মানসিতকতার করণেই এরা ভিড় এড়িয়ে চলেন। সহজ কথায় যদি বলতে হয়, তাহলে এরা বেজায় একালসেরে। নিজের জগতে, নিজের মতো করে থাকতেই এমন মানুষেরা বেশি পছন্দ করে থাকেন। তাই তো বলি বন্ধুরা, আপনার চেনা সার্কেলে যদি কুম্ভ রাশির কেউ থাকেন, তাহলে তাকে ভুলেও কখনও কোনও উপদেশ দিতে যাবেন না যেন!
২. ধনু রাশি (স্যাজিটেরিয়াস):
বেজায় "খতরনাক" গোছের হয় এই রাশির জাতক-জাতিকারা। কেন এমন কথা বলছি তাই ভাবছেন নিশ্চয়? আসলে এদের ইগো খুব বেশি মাত্রায় থাকে। এরাই সেরা, বাকি দুনিয়া কিছুই জানে না, এমন গোছের ভাবনা-চিন্তাকে প্রাধান্য দিতে এদের জুড়ি মেলা ভার। তাই তো নিজের ইচ্ছা পূরণের জন্য এমন মানুষেরা যে কাউকে অসম্মান, এমনকি মারাত্মক ক্ষতি করতেও পিছপা হন না। শুধু তাই নয়, এরা যা ভাবেন, তাই ঠিক, এমন গোছের মানসিকতাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন ধনু রাশির অধিকারিকা। তবে এখানেই শেষ নয়, এমন মানুষেরা বেজয় স্বাধীনচেতা গোছের হন। কেউ এদের নিয়ন্ত্রণ করবে, এমনটা এরা একেবারেই পছন্দ করেন না। তাই তো আপনার জীবনসঙ্গী যদি ধনু রাশির হয়ে থাকেন, তাহলে কিন্তু একটু সমলে চলবেন বন্ধু!
৩. মেষরাশি (অ্যারিস):
ভেড়ার স্বাভাব ঠিক যেমন হয়, এই রাশির জাতক-জাতিকাদের মধ্যেও সেই একই লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। এরা নিজেরা যা ঠিক বোঝেন, তাই করেন, পাছে ক্ষতি হয়ে যাক, তাও অন্যের কথা শুনতে এরা চান না। তাই তো এদের জীবনসঙ্গীদের বেজায় কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তবে একটা ভাল জিনিস এদের মধ্যে লক্ষ করা যায়। তা হল, যতই কঠিন সময় আসুক না কেন, এরা সহজে ভেঙে পরেন না। নিজের বিশ্বাসকে পুঁজি বানিয়ে সামনে এগিয়ে চলেন। তাই তো হাজারো কঠিন পরিস্থিতির পরেও সফলতা একদিন না একদিন এদের সঙ্গী হয়ই।
৪. মিথুনরাশি (জেমিনি):
এরা শুধুই নিজের জন্য বাঁচেন। কিভাবে নিজেকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, সে বিষয়ে এদের স্বষ্ট ধারণা থাকে। তাই তো এরা না ভাল বন্ধু হন, না ভাল জীবনসঙ্গী হতে পারেন। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে এদের জুড়ি মেলা ভার। আর এমনটা কেন হবে নাই বা বলুন। যারা সারাক্ষণ নিজের কথা ভেবে চলেছেন, তারা পারিবারিক জীবনে না হলেও কর্মজীবনে যে সফলতার শৃঙ্গ চরবেন, সে বিষয়ে তো কোনও সন্দেহ থাকার কথা নয়। তাই তো বলি বন্ধু মিথুন রাশির জাতক-জাতিকাদের থেকে যদি কাজ হাসিল করতে হয়, তাহলে এদের বোঝাতে হবে যে আপনার সঙ্গে থাকলে এদের ফায়দা আছে। তবেই কিন্তু এরা আপনার সঙ্গ দেবেন, নচেৎ কিন্তু ফিরেও তাকাবে না। প্রসঙ্গত, এদের সম্পর্কে অরেকটা জিনিস জেনে রাখা প্রয়োজন। তা হল মিছুন রাশির অধিকারিরা বেজায় বুদ্ধিমান হন, তাই ভুলেও কিন্তু এদের বোকা বানাতে যাবেন না যেন!
৫. মকর রাশি (ক্যাপ্রিকর্ন):
না এরা বাকিদের মতো স্বার্থপর হন না ঠিকই! তবে এই রাশির জাতক-জাতিকারা সব সময় নিজের কাজ নিয়ে থাকতে পছন্দ করেন। যা স্বপ্ন দেখেন তা পূরণ করা যায় কীভাবে সেই নিয়েই সারাক্ষণ মজে থাকেন। তাই তো বাকি দুনিয়ার সঙ্গে কখন যে এদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় যায়, সে সম্পর্কে এরা জেনেও উঠতে পারে না। তবে একটা কথা বলতেই হয় যে জীবনসঙ্গী হিসেবে এরা কিন্তু দারুন হন। কারণ একবার যাদের এরা ভালবেসে ফেলেন, তাদের উন্নতির জন্য যে কোনও পর্যায়ে যেতে রাজি থাকেন এই রাশির জাতক-জাতিকারা। তাই তো মকর রাশির অধিকারিদের স্বার্থপর বলা ভুল হবে। বরং এরা বেজায় একালসেরে, এমনটা বলা যেতেই পারে।
৬.কন্যা রাশি (ভার্গো):
এরা বেজায় স্বাধীনচেতা হন। কেউ এদের নিয়ন্ত্রণ করবে, এমনটা এরা একেবারেই পছন্দ করেন না। তাই তো ভিড়ের থেকে দূরে থাকতেই এমন মানুষেরা বেশি পছন্দ করে থাকেন। আরেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য এদের চরিত্রে পরিলক্ষিত হয়, তা হল এরা কাউকেই নিজের মনের কথা জানাতে চান না। তাই তো এদের বন্ধু সংখ্যা যেমন কম হয়, তেমনি কাউকে ভালবাসার আগেও এরা হাজার বার সে সম্পর্কে ভেবে থাকেন। শুধু তাই নয়, কন্যা রাশির জাতক-জাতিকারা সারাক্ষণ নিজেকে নিয়ে মজে থাকেন, তাই তো অন্যের কথা ভাবার সময় এদের হাতে থাকে না বললেই চলে!