Just In
- 1 hr ago কোন ডাবে বেশি জল, বাইরে থেকে দেখে বুঝবেন কী ভাবে?
- 3 hrs ago গাধার দুধের আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা, জানলে চমকে উঠবেন আপনিও
- 6 hrs ago রুক্ষ-শুষ্ক চুল নিয়ে চিন্তা? জেনে নিন চুলের যত্নে গ্লিসারিনের অবিশ্বাস্য় ভূমিকা
- 8 hrs ago মেষ রাশিতে অস্ত যাবে বুধ, কাজে বাধা-অসাফল্য়, কোন কোন রাশির জন্য বিপদ?
বালা, হার এবং কানের দুল না পরলে কী কী ক্ষতি হতে পারে জানা আছে?
এদেশে ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সবাই নানা মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি হার, বালা বা অংটি পরে থাকেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, কেন পরেন সবাই এমন জুয়েলারি?
এদেশে ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সবাই নানা মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি হার, বালা বা অংটি পরে থাকেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, কেন পরেন সবাই এমন জুয়েলারি?
এই প্রশ্নটি দশ জনকে করলে তাদের আট জনই হয়তো বলবেন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রকাশ ঘটাতে এমন সব জুয়েলারি পরা হয়ে থাকে। কেউ কেউ হয়তো এমনও বলতে পারেন যে ধর্মের সঙ্গে যোগ রয়েছে বলেই হয়তো অনেকে এমন সব গয়না পরতে ভালবাসেন। কিন্তু যদি বলি ধর্ম এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কথা ভুলে যদি শরীরের কথা ভেবে বালা, হার বা দুল পরতে পারেন, তাহলে কিন্তু বেশি উপকার পাওয়া যায়।
মানে! শরীরের উপকারের সঙ্গে এই সব জুয়েলারির কি সম্পর্ক? একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নানাবিধ ধাতু দিয়ে তৈরি এই সব জুয়েলারি পরলে আমাদের শরীরের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে একাধিক রোগ দূরে পালাতে শুরু করে, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই তো বলি বন্ধু, দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করা নানা জুয়েলারি কীভাবে আমাদের শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে, সে সম্পর্কে যদি জানতে চান, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, সোনা, রুপো, তামা এবং অন্যান্য ধাতু দিয়ে তৈরি জুয়েলারি পরলে সাধারণত যে যে উপকারগুলি পাওয়া যায়, সেগুলি হল...
১. তামার জুয়েলারি:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে তামা দিয়ে তৈরি বালা বা আংটি পরলে শরীরের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। প্রসঙ্গত, স্ট্রেস লেভেল কমাতেও তামা দিয়ে তৈরি জুয়েলারি কিন্তু বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো বলি বন্ধু, সুখে-শান্তি এবং সুস্থভাবে থাকতে যদি চান, তাহলে তামার বালা বা আংটি পরতে ভুলবেন না যেন!
২. নেগেটিভ শক্তি দূরে থাকে:
শাস্ত্র মতে সোনা দিয়ে তৈরি কোনও জুয়েলারি, শরীরের সংস্পর্শে আসা মাত্র পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে নেগেটিভ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। বিশেষত অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আর থাকে না বললেই চলে। প্রসঙ্গত, বৈদিক অ্যাস্ট্রোলজি অনুসারে সোনার গয়না পরলে বৃহষ্পতি গ্রহের অবস্থান শক্তিশালী হতে থাকে। ফলে সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতে সময় লাগে না।
৩. মনের জোর বৃদ্ধি পায়:
রূপো দিয়ে তৈরি গয়না পরা মাত্র শুধু শরীরের নয়, মস্তিষ্কের ক্ষমতাও বাড়তে শুরু করে। ফলে মনের জোর তো বাড়েই। সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের ভয় দূর হতেও সময় লাগে না। তাই তো যারা সব সময় নানা কারণে ভয়ে ভয়ে থাকেন, তাদের রূপোর গয়না পরা মাস্ট!
৪. কালো যাদুর প্রভাব কমে:
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে সোনা এবং তামা দিয়ে তৈরি গয়না পরা মাত্র পজেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে খারাপ শক্তির কারণে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, আজকের দিনে যেখানে সবাই, সামনের জনকে পিষে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় রয়েছে, সেখানে ক্ষতি করার নেশায় কালো যাদুর ব্যবহার যে বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই! তাই তো বলি বন্ধু, সুখে-শান্তিতে এবং নিরাপদে থাকতে এই ধাতুগুলি দিয়ে তৈরি গয়না পরতে ভুলবেন না যেন!
৫. স্টোনের গুণাগুন:
বৈদিক অ্যাস্ট্রোলজি অনুসারে সোনা,রূপো এবং তামার মতো ধাতু যেমন আমাদের নানা উপকারে লাগে, তেমনি হিরে, রুবি এবং পলার মতো স্টোনও নানাভাবে আমাদের ভাগ্যকে প্রভাবিত করে থাকে। যেমন ধরুন পলা লাগানো আংটি পরলে জীবন পথে সামনে আসা যে কোনও বাঁধা সরে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে শরীরও চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
৬. রাগী মানুষকে ঠান্ডা করে:
তামা বা মুক্ত দিয়ে তৈরি আংটি পরলে দেহের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে রাগের মাত্রা কমতে সময় লাগে না। আর যেমনটা অপনাদের সকলেরই জানা আছে যে রাগ হল সেই আগুন, যা যে কানও মানুষকে ধ্বংসের গোড়ায় এনে দাঁড় করাতে পারে। তাই তো বলি বন্ধু, আপনি যদি বেজায় রাগী প্রকৃতির মানুষ হন, তাহলে তামা অথবা মুক্ত দিয়ে তৈরি আংটি পরতে ভুলবেন না যেন!
৭. দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে:
একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে তামা দিয়ে তৈরি কোনও জুয়েলারি পরলে দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে। ফলে কোনও ধরনের রোগের খপ্পরে পরার আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরে গরমের সময় আমাদের রাজ্যে যে হারে তাপমাত্রা বাড়ছে, তাতে দেহের অন্দরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার মধ্যে দিয়ে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে তামার আংটি পরার প্রয়োজন যে বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই!