Just In
- 15 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 16 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 20 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 21 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
রাশি অনুযায়ী কেমন ধরনের গনেশ মূর্তির পুজো করলে বেশি সুফল মেলে সে সম্পর্কে জানা আছে কি?
বৈদিক অ্যাস্ট্রোলজি অনুসারে কোন রাশির, কেমন ধরনের গনেশ ঠাকুরের মূর্তির পুজো করতে হবে, সে সম্পর্কে জানা আছে?
হাজার বছর আগে জন্ম নেওয়া বৈদিক অ্যাস্ট্রোলজি হল এমন এক তথ্য় ভান্ডার, যাকে কাজে লাগিয়ে যে কানও মানুষের যে কোনও সমস্যা নিটিয়ে ফেলা সম্ভাব। শুধু তাই নয়, জেনে ফেলা সম্ভব সফলতার সিঁড়ি ওঠা যায় কী ভাবে, সে সম্পর্কিত আরও অনেক কিছু। যেমন ধরুন গনেশ ঠাকুরের পুজো করলে অনেক উপকার মেলে সে কথা তো সবাই জানা আছে, কিন্তু কোন রাশির, কেমন ধরনের গনেশ ঠাকুরের মূর্তির আরাধনা করা উচিত, সে সম্পর্কে আনেকেই জেনেন না। ফলে বেশিরভাগই পছন্দের কোনও গনেশ মূর্তি কিনে এনে শুরু করে দেন পুজো। কিন্তু এমনটা করাতে শুধু সময় নষ্ট হয়, ফল মেলে না কিছুই। তাই তো এই প্রবন্ধে এই আজানা বিষয়টির উপর আলোকপাত করার উপর চেষ্টা করা হবে।
বৈদিক অ্যাস্ট্রোলজির উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে গনেশ দেব শুধুমাত্র অপার শক্তির আধার বা ভগবান নয়, আরও অনেক কিছু। তাঁর শরীরের প্রতিটি অঙ্গ আমাদের কিছু না কিছু শেখায়। কীভাবে তাই ভাবছেন তো? খেয়াল করুন গনেশ ঠাকুরের মাথা আর পাঁচ জনের থেকে অনেক বড়। অর্থাৎ তিনি বোঝাতে চাইছেন প্রতিটি মানুষেরই সমস্ত পদক্ষেপ ভেবে চিন্তে নেওয়া উচিত। সবক্ষেত্রেই কাজে লাগানো উচিত মস্তিষ্ককে। শুধু তাই নয়, মস্তিষ্কের ক্ষমতাও যে বাড়নো উচিত, সে সম্পর্কেও নির্দেশ দিচ্ছেন। একইভাবে ছোট ছোট চোখ একাগ্রতার প্রতীক, বড় কানের অর্থ হল ভাল করে সব কথা শোনা এবং জ্ঞান অর্জন করা, ছোট মুখ অর্থাৎ সুখে থাকতে কম কথা বলা অভ্যাস করা বাঞ্ছনীয়, ছোট দাঁত মানে ভালকে রাখা আর খারাপকে বিসর্জন দাও, হাতে থাকা মোদকের অর্থ হল ফল। অর্থাৎ সঠিক কাজ করলে তার ফল মিলবেই মিলবে। বিশালাকায় পেট মানে জীবন পথে চলতে চলতে খারাপ-ভাল যা আসবে তা ঠিক মতো হজম করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে, শুঁড় হল মানিয়ে নেওয়ার প্রতীক। অর্থাৎ যে কোনও পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার মতো মানসিক ক্ষমতার অধিকারী হতে হবে। আর ডান হাতে আশীর্বাদ করছেন দেব। অর্থাৎ সারা জীবন ধর্মের পথে চলতে হবে এবং অধর্মের বিরোধ করতে হবে। এবার বুঝেছেন তো হিন্দু ধর্ম বা বৈদিক অ্যাস্ট্রোলজি শুধুমাত্র পুজো-পাঠ বা উপোসের কথা বলে না, এর গভীরতা এতটাই যে যত ভিতরে যাবেন, তত জীবন বদলাতে শুরু করবে। যেমন ধরুন এমনটা বিশ্বাস করা হয় বুধবার হল গনেশ ঠাকুরের দিন। এদিন মোদক, ফুল এবং সিঁদুর দিয়ে দেবের আরাধনা করলে কর্মক্ষেত্রে পদন্নতির পথ প্রশস্ত হয়, সেই সঙ্গে পরিবারে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে, কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা কমে, শরীর এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, দেহের সার্বিক ক্ষমতা বাড়ে এবং স্ট্রেস আর অ্যাংজাইটির প্রকোপ কমতেও সময় লাগে না। কিন্তু এই সবই উপকার মেলে তখনই, যখন রাশি অনুযায়ী সঠিক দেবের মূর্তির আরাধনা করা হয়!
তাই এখন প্রশ্ন হল, বৈদিক অ্যাস্ট্রোলজি অনুসারে কোন রাশির কেমন ধরনের গনেশ ঠাকুরের মূর্তির পুজো করতে হবে?
১. কোরাল গনেশ:
বৈদিক অ্যাস্ট্রোলজি নিয়ে যারা গবেষণা করেন, তাদের মতে মেষ এবং বৃশ্চিকরাশির জাতক-জাতিকারা যদি নিয়মিত কোরাল দিয়ে তৈরি গনেশ ঠাকুরের পুজো করেন, তাহলে দারুন সব উপকার পাওয়া যায়। বিশেষত, পরিবারের অন্দরে কোনও ধরনের কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
২. কাঁচের মূর্তি:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বৃষ এবং তুলারাশির জাতক-জাতিকাদের প্রতি বুধবার কাঁচ দিয়ে তৈরি গনেশ ঠাকুরের মূর্তির পুজো করা উচিত। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে এমনটা করলে কর্মক্ষেত্রে যেমন সম্মান বৃদ্ধি পায়, তেমনি গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে ছোট থেকে ছোটতর মনের ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না।
৩. মিথুন এবং কন্যারাশি:
এই দুই রাশির অধিকারীরা যে কোনও ধরনের গনেশ ঠাকুরের ছবি বা মূর্তির আরাধনা করতে পারেন। শুধুমাত্র একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, তা হল গনেশ ঠাকুর বসে রয়েছেন এবং তাঁর হাতে মোদক এবং পায়ের কাছে তাঁর বাহন রয়েছে, এমন ছবি বা মূর্তি বাড়িতে প্রতিষ্টিত করা উচিত। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, তা হল দেবের শুঁড় বাঁদিকে বেঁকে রয়েছে, এমন মূর্তি সব সময় বাড়িতে এনে রাখা উচিত।
৪. পার্থিব গনেশ:
বিশেষজ্ঞদের মতে কর্কট এবং সিংহরাশির জাতক-জাতিকারা যদি পার্থিব গনেশ, অর্থাৎ মাটি দিয়ে তৈরি দেবের মূর্তির আরাধনা করেন, তাহলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তাই তো বলি বন্ধু, বাকি জীবনটা যদি সুখ-শান্তিতে কাটাতে হয়, তাহলে আজ থেকেই বাপ্পার পুজো শুরু করুন, দেখবেন জীবনের ক্যানভাস, নানা রঙে ভরে উঠবে।
৫. হারিদ্রা গনপতি:
বৈদিক অ্যাস্ট্রোলজি অনুসারে ধনু এবং মীনরাশির অধিকারীরা যদি নিয়মিত বাপ্পার হরিদ্র রুপের আরাধনা করেন, তাহলে সবথেকে বেশি সুফল মেলে। প্রসঙ্গত, হারিদ্র গনপতি হল দেবের সেই রুপ, যেখানে সর্বশক্তিমানের গায়ের রং হলুদ এবং দেব হলুদ রঙের ধুতি পরে রয়েছেন।
৬. মকররাশি:
আপাত দৃষ্টিতে শান্ত স্বভাবের এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি কোনও ধাতু দিয়ে তৈরি গনেশ ঠাকুরের মূর্তির পুজো করতে পারেন, তাহলে দেবের আশীর্বাদ লাভ করতে সময় লাগে না। আর এমনটা যখন হয়, তখন দুঃখ-কষ্টের রেশ কাটতে যে সময় লাগে না, তা কি আর বলে দিতে হবে!