Just In
এক বালতি জলে এক কাপ নুন ফেলে সবারই প্রতিদিন ঘর মোছা উচিত, কেন জানেন?
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদের আশেপাশে উপস্থিত নেগেটিভ এনার্জির মাত্রাকে কমাতে নুনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। বিশেষত নুন জল দিয়ে ঘর মুছলে খারাপ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।
বিশ্বাস করুন বা না করুন, একথা মানতেই হবে যে আমাদের আশেপাশে পজেটিভ শক্তি যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে নেগেটিভ শক্তিও, আর যাদের প্রভাব সারাক্ষণ আমাদের উপর পরে থাকে। শুধু তাই নয়, বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে গৃহস্থের চার দেওয়ালের মধ্যে খারাপ শক্তির প্রভাব বাড়তে থাকলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। বিশেষত ছোট-বড়় নানা রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন থাকে, তেমনি পরিবারে নানাবিধ অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ক্ষতিও লেজুড় হতে পারে। আর সবথেকে ভয়ের বিষয় হল আশেপাশে নেগেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়ছে না কমছে, তা খালি চোখে বুঝে ওঠা সম্ভব নয়। তাই তো বলি বন্ধু, নেগেটিভ শক্তির মারে জীবন জর্জরিত হয়ে উঠুক, এমনটা যদি না চান, তাহলে এই প্রবন্ধটি পড়ে ফেলতে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদের আশেপাশে উপস্থিত নেগেটিভ এনার্জির মাত্রাকে কমাতে নুনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। বিশেষত নুন জল দিয়ে ঘর মুছলে খারাপ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। শুধু তাই নয়, মেলে আরও অনেক উপকার। তবে নেগেটিভ এনার্জির প্রকোপ কমাতে আরও নানাভাবে নুনকে কাজে লাগাতে পারেন। যেমন ধরুন...
১. নুন জল দিয়ে স্নান করলে:
বিশেষজ্ঞদের মতে স্নান করার সময় এক বালতি জলে পরিমাণ মতো রক সল্ট অথবা সাধারণ নুন মিশিয়ে সেই জল দিয়ে স্নান করলে নেগেটিভ এনার্জির প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, সারাদিন অফিসের পর এই ঠোটকাটিকে কাজে লাগালে শরীর যেমন চাঙ্গা হযে ওঠে, তেমনি ক্লান্তিও দূর হয়। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরেকভাবেও নুনকে কাজে লাগানে যেতে পারে। কীভাবে জানেন? আধ বালতি জলে পরিমাণ মতো নুন মিশিয়ে তাতে কিছু সময় পা চুবিয়ে রাখুন। এমনটা করলেও দেখবেন সমান উপকার পাবেন।
২. নুন জল দিয়ে ঘর মুছলে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ঘর মোছার সময় সেই জলে পরিমাণ মতো সন্ধক লবন বা সাধারণ নুন ফেলে দিলে একদিকে যেমন নেগেটিভ এনার্জির মাত্রা কমে যায়, তেমনি ঘরের অন্দরে উপস্থিত ক্ষতিকর জীবাণুরাও মারা পরে। ফলে শারীরিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি মন-মেজাজ চাঙ্গা হয়ে ওঠার কারণে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ দূরে পালাতেও সময় লাগে না।
৩. একটা ছোট বাটিতে নুন জল:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির প্রতিটি কোণাতে মূলত নেগেটিভ এনার্জি এসে বাসা বাঁধে। তাই তো যে কোনও ধরনের বিপদ থেকে বাঁচতে ঘরের প্রতিটি কোণায় একবাটি জলে রেখে দিন, আর তাতে অল্প পরিমাণে নুন মেশাতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, এক ঘন্টা বাটাটা রেখে দেওয়ার পর জলটা বেসিনে ফেলে দিন। প্রতিদিন এই ঘরোয়া টোটকাটিকে কাজে লাগালে দেখবেন নেগেটিভ এনার্জি আপনার সদর দরজা পেরতে পারবে না। কারণ নুন হল এমন একটি উপদান, যা খারাপ শক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে শোষণ করে নেয়। ফলে গৃহস্থে পজেটিভ শক্তির মাত্রা যায় বেড়ে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে একটি বিষয় কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, না হলে কিন্তু তেমন কোনও উপকারই পাবেন না। কী সেই বিষয়? নুন জলটা যখন ফেলবেন, তখন ভুলেও কিন্তু নুনটা ছোঁবেন না। আর যদি ভুল করে ছুঁয়েও ফেলেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে হাতটা ধুয়ে নেবেন। না হলে কিন্তু নেগেটিভ এনার্জির খপ্পর থেকে ছাড়া পেতে পারবেন না।
৪. কোনও সি বিচ থেকে ঘুরে আসুন:
শুনতে আজব লাগলেও কাথাটার মধ্যে কোনও ভুল নেই কিন্তু! আসলে বিশেষজ্ঞদের মতে ৩-৪ মাসে একবার যদি কাছে-পিঠের কোনও সমুদ্র অঞ্চল থেকে ঘুরে আসা যায়, তাহলে কিন্তু নেগেটিভ এনার্জি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। আসলে সমুদ্রে উপস্থিত নুন এক্ষেত্রে নেগেটিভ এনার্জিকে কুপোকাত করে শরীর এবং মনকে চাঙ্গা করে তোলে।
প্রসঙ্গত, নেগেটিভ এনার্জির প্রকোপ কামতে আরও বেশ কিছু উপায় আছে, যেমন ধরুন...
১. সাদা ভিনিগার:
ছোট-ছোট পাত্রে সাদা ভিনিগার নিয়ে বাড়ির প্রতিটি কোণায় রেখে দিন। এমনটা করলে দেখবেন নেগেটিভ এনার্জির প্রকোপ কমতে সময় লাগবে না। শুধু তাই নয়, পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যাবে যে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যাবে কমে।
২. জানলা-দরজা খুলে রাখতে হবে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে সারা দিন ধরে বাড়ির অন্দরে আলো-বাতাস খেলতে থাকলে নেগেটিভ এনার্জি জায়গা করে নেওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। আর নেগেটিভ এনার্জির মাত্রা যখন কমে, তখন তার জায়গা নেয় পজেটিভ শক্তি। ফলে জীবনে চলার পথে নানাবিধ বাঁধার সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, ঘরের অন্দরে সূর্যালোক প্রবেশ করলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াও মারা পরে। ফলে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে।
৩. গাছ রাখতে ভুলবেন না:
নেগেটিভ এনার্জিকে বাইরে বের করতে বিশেষ কিছু গাছের ভূমিকাকে কোনও ভাবেই অস্বীকার করা সম্ভব নয়। যেমন ধরুন বাড়িতে বাঁশ গাছ, মানি প্লান্ট, তুলসি গাছ, অ্যালো ভেরা এবং অর্কিড গাছ রাখলে নেগেটিভ এনার্জি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। শুধু তাই নয়, কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের সম্ভাবনা যেমন বাড়ে, তেমনি অর্থনৈতিক উন্নতিও ঘটে চোখে পরার মতো!
৪. বাড়ি-ঘর সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে:
নিয়মিত বাড়ির প্রতিটি কোনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করলে দেখবেন নেগেটিভ এনার্জি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না। কারণ অফিস থেকে ক্লান্ত মনে ফেরার পর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ঘর যখন আপনার অপেক্ষায় থাকে, তখন মন নিমেষে আনন্দে ভরে ওঠে। আর হাসি মুখ এবং খুশি মনের অবস্থান যেখানে, সেখানে নেগেটিভ এনার্জি নিজের খেল দেখাতে পারে না। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হল ঘর-দোর পরিষ্কার করার পাশাপাশি জানলা-দরজা ঝাড়াপোছা করতেও ভুলবেন না যেন!
৫. হাততালি দিতে ভুলবেন না :
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির চারিদিকে ঘুরতে ঘুরতে হাততালি দিতে থাকলে সেই শব্দে খারাপ শক্তি বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যেতে শুরু করে। আর খারাপ শক্তি যখন গৃহস্থের বাইরে জায়গা নেয়, তখন খারাপ কিছু ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, হাততালি দেওয়ার পাশাপাশি সন্ধাবেলা, অফিস থেকে ফিরে যদি ঘন্টা বাজাতে পারেন, তাহলেও দারুন উপকার মেলে। একই ঘটনা ঘটে যখন বাড়িতে উইন্ডচেমস লাগানো হয় তখনও।
৬. নিয়মিত ধূপ-ধুনো দেওয়া মাস্ট:
একাধিক প্রাচীন গ্রন্থে একথার উল্লেখ পাওয়া যায় যে নিয়মিত সন্ধা পুজোর পর যদি সারা বাড়িতে ধুনো দেওয়া যায়, তাহলে নেগেটিভ এনার্জির প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা যায় কমে। ফলে না কমে হাসির মাত্রা, না খালি হয় খুশির ঝাঁপি। সেই সঙ্গে পজেটিভ শক্তির মাত্রাও বাড়ে। আর গৃহস্থের অন্দরে যখন পজেটিভ এনার্জির শক্তি বাড়ে, তখন খারাপ কিছু ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, ধুনো দেওয়ার আগে ভাল করে ঘর পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর পুজো দিয়ে দিতে হবে ধুনো। এমনটা নিয়মিত করলেই দেখবেন ফল মিলতে শুরু করেছে।