Just In
- 1 hr ago প্রেম জীবনে উত্তেজনা মেষ-তুলার, সতর্ক থাকতে হবে ৩ রাশিকে, দেখুন আজকের রাশিফল
- 17 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 19 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 21 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
শনির সাড়ে সাতির খপ্পরে পড়তে চান না নিশ্চয়? তাহলে এই অজব নিয়মগুলি মানতে ভুলবেন না যেন!
শনির সাড়ে সাতির খপ্পরে অপনিও পরুন, এমনটা যদি না চান, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন! আসলে এই লেখায় এমন কিছু আজব নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা মেনে চললে শনি দেবের আশীর্বাদ লাভ করা যায়
শাস্ত্র বলে একবার কুষ্টিতে শনির বক্র দৃষ্টি পরা মাত্র খারাপ সময় শুরু হয়ে যায়। শুধু কি তাই, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিত সমস্যাও লেজুড় হয়। বাড়ে সামাজিক সম্মানহানীর আশঙ্কাও। এক কথায় নরকসম যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় সেই জাতককে, যার কুষ্টিতে শনি দেবের প্রবেশ ঘটে।
তাই তো বন্ধু, শনির সাড়ে সাতির খপ্পরে অপনিও পরুন, এমনটা যদি না চান, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন! আসলে এই লেখায় এমন কিছু আজব নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা মেনে চললে শনি দেবের আশীর্বাদ লাভ করা বেজায় সহজ হয়ে যায়। ফলে জীবনে কখনও কোনও কষ্ঠের সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।
প্রসঙ্গত, শনি দেব হলেন গ্রহদের মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী। তাই তো সূর্যপুত্রের পভাব থেকে বাঁচতে না পারলে কিন্তু বেজায় বিপদ। শাস্ত্র মতে শনিদেব কোনও কারণে যদি ক্ষুন্ন হন, তাহলে যে শুধু সাড়ে সাত বছর ধরে খারাপ সময় চলে, তা নয়। সেই সঙ্গে মহাদশার প্রকোপ শুরু হয়ে যায়, যার প্রভাবে দীর্ঘদিন শুভ কোনও ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা যায় কমে। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্র থেকে সমাজিক জীবন সব ক্ষেত্রেই এত মাত্রায় বাঁধা আসতে শুরু করে যে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না।
এখন প্রশ্ন হল শনি দেবের প্রকোপ থেকে বেঁচে থাকা যায় কীভাবে? এক্ষেত্রে যে যে নিয়ম মেনে চলতে হবে, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তবে তার আগে একটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হবে। কী প্রশ্ন?
গ্রহদের
মধ্যে
শনিদেবকে
সবথেকে
শক্তিশালী
কেন
বলা
হয়?
গ্রহদের
মধ্যে
শক্তিশালী
কে
এই
নিয়ে
একবার
শুরু
হয়
তুমুল
বিতর্ক।
সবাই
নিজেকে
সর্বত্তম
প্রমাণের
চেষ্টায়
লেগে
পরেন।
কিন্তু
তবুও
সমস্যার
সমাধান
মেলে
না।
অবেশেষ
সবাই
মিলে
ঠিক
করেন
যে,
সে
সময়কার
সবথেকে
শক্তিশালী
রাজা
বিক্রমাদিত্যের
কাছে
তারা
যাবেন
এবং
তিনিই
শেষ
সিদ্ধান্ত
নেবেন
যে
কে
সবথেকে
বেশি
শক্তিশালী।
সেই
মতো
একদিন
সব
গ্রহ
পৌঁছান
রাজা
বিক্রমাদিত্যের
সভায়
এবং
তাঁরা
তাদের
সমস্যার
কথা
খুলে
বলেন
রাজাকে।
সব
শোনার
পর
বিক্রামাদিত্য
তার
চাকরদের
সাত
ধরনের
ধাতু
দিয়ে
তৈরি
চিয়ার
নিয়ে
আসার
আদেশ
দেন।
চেয়ার
আসার
পর
রাজা,
প্রত্যেক
গ্রহকে
অনুরোধ
করেন
তারা
যেন
তাদের
পছন্দসই
চেয়ারে
আসন
গ্রহণ
করে।
সেই
মতো
সবাই
নিজেদের
পছন্দ
মতো
আসনে
একে
একে
বসতে
শুরু
করেন।
শনি
দেবের
যেহেতু
লোহা
খুব
পছন্দ,
তাই
তিনি
লোহার
আসনে
এসে
বসেন।
এর
ঠিক
পরপরই
রাজা
বিক্রমাদিত্য
জানান,
গ্রহরা
নিজেদের
মর্যাদা
অনুসারে
আসন
গ্রহন
করেছেন,
আর
শনিদেব
যেহেতু
লোহার
আসন
গ্রহন
করেছেন,
তাই
তাঁকে
কোনও
ভাবেই
সর্বশক্তিমাণের
উপাধি
দেওয়া
সম্ভব
নয়।
এই
নির্দেশ
শোনার
পর
শনি
দেব
এতটাই
রেগে
যান
যে
হুঙ্কার
ছেড়ে
বলেন,
"হে
বিক্রমাদিত্য
এ
কেমন
আদেশ।
এই
আদেশ
মানা
সম্ভব
নয়।
শুধু
তাই
নয়,
এমন
বিচার
করে
তুমি
আমার
সম্মানহানী
করেছে।
তাই
এবার
তুমি
বুঝবে
শনির
প্রকোপ
কাকে
বলে!"
এই ঘটনার পরে কয়েক বছর সব ঠিকই চলেছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই খারাপ সময় শুরু হয় রাজার। তিনি তার রাজ্য হারান। হারান বাসস্থানও। জঙ্গল জঙ্গলে ঘুরে কোনও মতে নানা কাজ করে জীবন অতিবাহিত করতে থাকেন বিক্রমাদিত্য। এই সময় এক দুর্ঘটনায় তাঁর একটা হাতও কাটা পরে। তবে লড়াই থামান না রাজা। এই করতে করতে সাড়ে সাত বছর কেটে যায়। এই খুশিতে একদিন রাজা নিজের কাজ করতে করতে গান গাইছিলেন। সেই গান শুনে এক রাজ্যের রানি এতটাই খুশি হন যে বিক্রমাদিত্যকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। এর পর থেকেই বদলে যেতে শুরু করে রাজার জীবন। এই ঘটনার পরই সবাই বুঝে যান শনি দেব হলেন গ্রহদের মধ্যে বাস্তবিকই সবথেকে শক্তিশালী। তাই তো এমন শক্তিশালী গ্রহের প্রকোপ আপনার উপর যাতে না পরে, তা সুনিশ্চিত করতে যে যে নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে, সেগুলি হল...
১. প্রতি শনিবার শনি মন্ত্র জপ করা জরুরি:
"ওম নীলাঞ্জন সমভাহাসাম রাবি পুত্রাম ইয়ামাগরাজান চায়া মার্তান্ডা-সামভুতাম তাম নমামি শানিশভারাম", এই মন্ত্রটি যদি নিয়মিত পাঠ করতে পারেন, তাহলে শনিদেব এতটাই প্রসন্ন হবেন যে কোনও দিন শনির মহাদশার প্রকোপ সইতে হবে না।
২. দান করতে হবে:
শনি দেব হলেন কর্মের দেবতা। তাই তাঁর প্রকোপ থেকে যদি বাঁচতে চান, তাহলে মন খুলে লোকের সেবা করুন। সেই সঙ্গে ক্ষমতা অনুসারে দান-ধ্যানও খরুন। এমনটা করলে শনি দেব তো প্রসন্ন হবেনই, সেই সঙ্গে সুকর্মের প্রভাবে জীবন সুন্দর হয়ে উঠতে দেখবেন সময় লাগবে না।
২. অশ্বত্থ গাছের পুজো করতে হবে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত অশ্বত্থ গাছের পুজো করলে জীবনে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে শনি দেবও খুব খুশি হন। ফলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে।
৩. প্রতি শনিবার খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটতে হবে:
যখন ঝড় আসে, তখন বড় বড় গাছেরা ভেঙে পরলেও কিন্তু দুর্বল ঘাসেদের কিছু হয় না। কারণ তারা হাওয়ার পথ অনুসরণ করে নিজেদের শরীরকে দুলিয়ে নেয়। ফলে ঝড় কেটে গেলে তারা আবার নতুন ভাবে বেড়ে উঠতে শুরু করে। জীবনের চলার পথে আসা নানা কষ্ট অনেকটা এই ঝড়ের মতোই। তাই তো ঘাসের মতো নিজেকে কিছু সময়ের জন্য নিচু করে নিতে শিখতে হবে। দেখবেন কষ্ট যখন কমে যাবে, তখন জীবন আগের থেকে আরও বেশি সুন্দর হয়ে উঠবে। এই কারণেই তো প্রতি শনিবার খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটতে বলে। কারণ এমনটা করলে খুব কাছ থেকে ঘাসেদের চরিত্র বুঝতে পারা যায়। তাই তো শনির প্রকোপে কোনও সময় যদি দুঃখের ঝড় ওঠে বা, তবু দেখবেন জীবনকে ঠিক দিশায় নিয়ে যেতে কোনও কষ্টই হবে না।
৪. শ্রী হনুমানের পুজো করতে হবে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে হনুমানজির পুজো করলে সাড়ে সাতির প্রকোপ কাটতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় যে সুখ-শান্তির ঝাঁপিও কখনও খালি হয় না।