Just In
- 14 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 16 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 18 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 20 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
Don't Miss
বিশ্ব টেলিভিশন দিবস ২০১৯ : ইতিহাস ও তাৎপর্য
মন ভাল করার, একাকীত্ব দূর করার, পুরো পরিবারকে একত্রিত করার এবং পছন্দের সিনেমা-সিরিয়াল দেখার সঙ্গী হল টেলিভিশন। খুব কম মানুষই আছেন যারা টিভি দেখতে পছন্দ করে না। যত ব্যস্তই থাকি না কেন, দিনে অন্তত একবার আমরা টিভির সামনে বসি। আমদের দেশ-দুনিয়ার খবর জানাতে এবং আমাদের বিনোদন দিতে টেলিভিশন-এর জুড়ি মেলা ভার। টেলিভিশন দৃশ্যশ্রাব্য( ছবি দেখা যায় এবং শব্দও শোনা যায়) মাধ্যম হওয়ায় খুব কম দিনেই এটি আমাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গ্রিক শব্দ 'টেলি'- এর অর্থ 'দূরত্ব', আর ল্যাটিন শব্দ 'ভিশন'- এর অর্থ 'দেখা'। তাই, বাংলা ভাষায় টেলিভিশনকে 'দূরদর্শন' বলা হয়।
আজ, ২১ নভেম্বর 'বিশ্ব টেলিভিশন দিবস', বিশ্বব্যাপী পালিত হয় এই দিন। কিন্তু, এই ইন্টারনেটের যুগে সবাই মোবাইল, ল্যাপটপে ব্যস্ত থাকায় টেলিভিশন কী আমাদের কাছে আগের মতো গুরুত্ব পাচ্ছে? এই প্রশ্ন তো থেকেই যায়। তবে, একটি গবেষণা বলছে, 'বিশ্বজুড়ে টিভি পরিবারের সংখ্যা ২০১৭ সালের ১.৬৩ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ২০২৩ সালের মধ্যে ১.৭৪ বিলিয়ন হয়ে যাবে'। সমস্ত সম্প্রচার মাধ্যমগুলির মধ্যে বর্তমানে টেলিভিশন সবথেকে শক্তিশালী প্রচার মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
বিশ্ব টেলিভিশন দিবসের ইতিহাস
১৯২৬ সালে প্রথম টেলিভিশন আবিষ্কার করেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন লগি বেয়ার্ড। তখন তিনি, সাদা কালো ছবি দূরে বৈদ্যুতিক সম্প্রচারে পাঠাতে সক্ষম হন। এরপর রুশ বংশোদ্ভুত প্রকৌশলী আইজাক শোয়েনবার্গের কৃতিত্বে ১৯৩৬ সালে বিবিসি প্রথম টিভি সম্প্রচার চালু করে। টেলিভিশন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চালু হয় ১৯৪০ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর টেলিভিশন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সূচিত হয়। গত শতাব্দীর ৫০ এর দশকে টেলিভিশন গণমাধ্যমের ভূমিকায় উঠে আসে।
১৯৯৬ সালে জাতিসংঘ আয়োজিত একটি ফোরামে ২১ নভেম্বরকে বিশ্ব টেলিভিশন দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।। যোগাযোগ ও বিশ্বায়নে টেলিভিশন যে ভূমিকা পালন করে সে সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এইদিনটি স্থানীয় এবং বিশ্ব স্তরে পালিত হয়।
কীভাবে পালন করা হয়?
প্রিন্ট মিডিয়া, রেডিও এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে টেলিভিশনের ভূমিকা সম্পর্কিত বিভিন্ন মতামত চারিদিকে পৌঁছে দেওয়া হয় এবং বিভিন্ন সাংবাদিক, লেখক, ব্লগার একত্রিত হয়ে টেলিভিশন দিবস সম্পর্কিত তথ্য প্রচার করেন। স্কুল-কলেজগুলিতে, টেলিভিশন কীভাবে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য তুলে ধরে এবং কীভাবে এটি গণতন্ত্র এবং টেলিভিশনের মধ্যে যোগসূত্র সরবরাহ করে, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উন্নতিতে টেলিভিশনের ভূমিকা ইত্যাদি বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়। গণতন্ত্র, শান্তি ও বিশ্বে টেলিভিশনের গুরুত্ব নির্ধারণের জন্য, বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সম্মেলন এবং বক্তৃতাও অনুষ্ঠিত হয়।