Just In
দাঁড়ানো অবস্থায় রয়েছে এমন কোনও ঠাকুরের মূর্তি বাড়িতে রাখা উচিত নয় কেন জানেন?
ঠাকুর ঘরে দাঁড়ানো অবস্থায় রয়েছে এমন কোনও ঠাকুরের ছবি বা মূর্তি রাখা উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে খারাপ কিছু ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে বাড়ে দূর্ভাগ্যের ঘেরাটোপে জড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও।
বেশ কিছু ছোট ছোট বিষয় রয়েছে যেগুলির দিকে আমরা খুব একটা নজর না দিলেও আমাদের ভাল-মন্দের সঙ্গে সেইসব বিষয়গুলির সরাসরি যোগ রয়েছে কিন্তু! এই যেমন ধরুন ঠাকুর ঘরে দাঁড়ানো অবস্থায় রয়েছে এমন কোনও ঠাকুরের ছবি বা মূর্তি রাখা উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে খারাপ কিছু ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে বাড়ে দূর্ভাগ্যের ঘেরাটোপে জড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও। তাই সাবধান!
একাধিক প্রাচীন গ্রন্থ অনুসারে বেশ কিছু দেব-দেবী রয়েছেন, যাদের দাঁড়ান অবস্থায় থাকা মূর্তি বা ছবি রাখা উচিত নয়। যেমন ধরুন...
১. গণেশ এবং লক্ষী দেবী:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই দুই দেব-দেবীর দাঁড়ানো অবস্থায় থাকা কোনও মূর্তি বা ছবি বাড়িতে রাখলে খারাপ কিছু ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। সেই সঙ্গে বাড়ে খারাপ ভাগ্যের জাঁতাকলে আটকে যাওয়ার আশঙ্কাও। তাই এখনই একবার দেখে নিন আপনার ঠাকুর ঘরে এমন কোনও ছবি বা মূর্তি আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে এখনই তা সরিয়ে ফেলুন।
২. গণেশ এবং লক্ষী ঠাকুরের মূর্তির মধ্যের দূরত্ব ঠিক থাকা জরুরি:
হিন্দ ধর্মের উপর লেখা একাধিক বইয়ে এমন উল্লেখ পাওয়া যায় যে লক্ষী দেবী এবং গণেশ ঠাকুরের মূর্তির মধ্যেকার দূরত্ব ১০ ইঞ্চির বেশি থাকা উচিত নয়। এমনটা যদি থাকে, তাহলে তা একেবারেই শুভ নয়। পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে এই বিষয়টি মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন!
৩. শ্রী কৃষ্ণের মূর্তি:
বাড়িতে সব সময় বাল গোপালের মূর্তি বা ছবি রাখা উচিত। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কৃষ্ণ ঠাকুরের ছোট বেলার ছবি রাখলে দীর্ঘ সময় শ্রী কৃষ্ণ আমাদের সঙ্গে থাকেন। কারণ পূর্ণ বয়সের কৃষ্ণ বড়ই চঞ্চল। তিনি এক জায়গায় থাকতে চান না। তাই তো শ্রী কৃষ্ণের এমন কোনও মূর্তি বাড়িতে রাখলে তার আশীর্বাদ সারা জীবন আমাদের উপর থাকার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। তা হল বাল গোপাল বসে আছেন বা বসে বসে মাখন খাচ্ছেন এমন মূর্তি বা ছবি রাখতে হবে।
৪. মৃত মানুষের ছবি ঠাকুর ঘরে রাখা চলবে না:
বিশেষজ্ঞদের মতে মৃত মানুষদের ছবি ঠাকুর ঘরে রাখলে গুড লাক বদলে যায় ব্যাড লাকে। সেই সঙ্গে খারাপ কিছু হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, কিছু কিছু বইয়ে এমনও লেখা আছে যে এমনটা করলে পরিবারের কোনও সদস্যের সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই এই বিষয়টি কখনও ভুলে যাবেন না যেন!
৫. শোয়ার ঘরে ঠাকুর ঘর নয়:
স্বামী-স্ত্রী যে ঘরে শোন সেখানে ঠাকুর ঘর রাখা একেবারেই উচিত নয়। বরং টয়লেট থেকে দূরে একটা আলাদা জায়গায় ঠাকুর ঘর তৈরি করতে হবে। আর খেয়াল রাখতে হবে ঠাকুর ঘর যেন সব সময় পূর্বদিকে মুখ করে তৈরি করা হয়। কারণ এমনটা করলে পরিবারে সুখ এবং সমৃদ্ধি বজায় থাকে।
৬. রান্না ঘরের উল্টোদিকে ঠাকুর ঘর নয়:
অনেকেই রান্না ঘরে ডাস্টবিন রাখেন। এই কারণেই কখনই রান্না ঘরের একেবারে উল্টোদিকে ঠাকুর ঘর তৈরি করা উচিত নয়। মনে রাখতে হবে ঠাকুর হল ঘরের সবথেকে পবিত্রতম জায়গা। তাই সব ধরনের নোংড়া কিছু থেকে ঠাকুর ঘরকে দূরে রাখাই শ্রেয়।
৭. মন্দিরের দরজা কখনও বন্ধ করবেন না:
অনেকেই রাত্রিরে শুতে যাওয়ার আগে বা বাড়ি থেকে বাইরে বেরনোর আগে ঠাকুর ঘর বন্ধ করে দেন। এমনটা করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ এতে পরিবারের মধ্যে খারাপ কিছু ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।