Just In
- 26 min ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 1 hr ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 2 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 16 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
Don't Miss
আপনার রাশির উপর কোনও ঠাকুরের প্রভাব রয়েছে এবং তাঁকে সন্তুষ্ট করবেন কীভাবে জেনে নিন!
অগ্নি পুরাণ অনুসারে প্রতি রাশির উপর যেমন কোনও না কোনও গ্রহ বা নক্ষত্রের প্রভাব রয়েছে। তেমনি প্রতিটি দেব-দেবীই কোনও না কোনও রাশির ভাগ্যকে প্রভাবিত করে থাকে।
অগ্নি পুরাণ অনুসারে প্রতি রাশির উপর যেমন কোনও না কোনও গ্রহ বা নক্ষত্রের প্রভাব রয়েছে। তেমনি প্রতিটি দেব-দেবীই কোনও না কোনও রাশির ভাগ্যকে প্রভাবিত করে থাকে। আর যেভাবে আমাদের ভাগ্য মোর নেয়, সেই মতো আমাদের জীবন কখনও অনন্দে ভরে ওঠে, তো কখনও-সখনও দুঃখের অন্ধকারে ঢেকে যায়। তবে আপনার রাশির উপরে যে দেব বা দেবীর প্রভাব বেশি রয়েছে, তাঁকে সন্তুষ্ট করতে এই প্রবন্ধে আলোচিত মন্ত্রগুলি যদি জপ করতে পারেন, তাহলে সর্বশক্তিমান তো প্রসন্ন হনই, সেই সঙ্গে ভগবানের আশীর্বাদে আরও আর কোনও দিন দুঃখের সম্মুখিন হওয়ার সম্ভাবনাও যায় কমে। তবে এখানেই শেষ নয়, মেলে আরও অনেক উপকার।
প্রসঙ্গত, এমনও বিশ্বাস রয়েছে যে রাশি অনুসারে যদি ঠিক ঠিক মন্ত্র জপ করে দেব-দেবীর অরাধনা করা যায়, তাহলে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি অফুরন্ত সুখ-শান্তির সন্ধান মিলে চোকের পলকে। তাই তো বলি বন্ধু, বাকি যেটুকু জীবন পরে রয়েছে, সেই সময়টাকে যদি আনন্দে ভরিয়ে তুলতে হয়, তাহলে নিজের রাশিটা জেনে নিয়ে এই লেখায় একবার চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন! তবে তার আগে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া একান্ত প্রয়োজন, তা হল কারও যদি নিজ রাশি সম্পর্কে কোনও ধারণা না থাকে, তাহলে তিনি প্রতি বৃহস্পতিবার এক মনে লর্ড ভেঙ্কাটেশ্বরা বা তরুপতি মহারাজের পুজো করতে পারেন। কারণ পুরাণ অনুসারে ভগবান বিষ্ণুর এই অবতার হলেন কলি যুগের নিয়ন্ত্রক। তাই তো এক মনে দেবের অরাধনা করলে নানাবিধ উপকার মিলতে সময় লাগে না।
এখন প্রশ্ন হল কোন রাশির রুলিং দেব-দেবী কে এবং তাঁকে প্রসন্ন করতে কী কী মন্ত্রই বা পাঠ করার প্রয়োজন রয়েছে?
১. কন্যা এবং মিথুনরাশি:
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে এই দুই রাশির রুলিং প্ল্যানেট হল বুধ এবং এদের উপর ভগবান বিষ্ণুর প্রভাবও খুব বেশি মাত্রায় থাকে। তাই তো প্রতি বৃহস্পতিবার দেবের বিশেষ পুজোর আয়োজন করতে ভুলবেন না যেন! সেই সঙ্গে বুধ গ্রহ এবং ভগবান বিষ্ণুকে প্রসন্ন করতে দুটি মন্ত্র নিয়মিত পাঠ করা জুরুরি। প্রথম মন্ত্রচি হল-"প্রিয়নগোকুলিকা শ্যামাম...রূপিনে প্রথিমাম বুধম...সৌমায়ম সৎভা গুণপিথাম...থাম বুধাম প্রানাম্যানিহাম।" দ্বিতীয় মন্ত্রটি হল-"ওম নামো ভেঙ্কাটেশয়া কামিতার্থা প্রাদ্ধান্যাম প্রনথ ক্লেসা নসয়া গোবিন্দায় নামো নমহ।"
২. মেষ এবং বৃশ্চিকরাশি:
এই দুই রাশির রুলিং প্ল্যানেট হল মঙ্গল এবং এদের উপর ভগবান শিবের প্রভাবও বেশি মাত্রায় থাকে। তাই তো সোমবার তো বটেই, সেই সঙ্গে যদি সম্ভব হয়, তাহলে সপ্তাহের প্রতিটি দিন যদি দেবাদিদেবর অরাধনা করতে পারেন, তাহলে মনের সব ইচ্ছা পূরণ তো হয়ই, সেই সঙ্গে কোনও বিপদ ঘটার সম্ভাবনাও যায় কমে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতিও ঘটে চোখে পরার মতো। এখন প্রশ্ন হল নীলকষ্ঠকে প্রসন্ন করতে কোন মন্ত্রটি জপ করতে হবে? এক্ষেত্রে প্রতিদিন "ওম নম শিবায়", এই মন্ত্রটি যদি ১০৮ বার পাঠ করতে পারেন, তাহলে নানাবিধ উপকার মিলতে দেখবেন সময় লাগবে না। আর মঙ্গল গ্রহকে শান্ত করতে প্রতিদিন "ধরনি গর্ভা সাম্ভোথাম। ভিদুত কান্তি সম প্রাভা। কুমারন শক্তি হস্তম...থাম মঙ্গলাম প্রনামামিহাম।"
৩. মকর এবং কুম্ভরাশি:
এদের উপর শনি গ্রহের প্রভাব খুব বেশি মাত্রায় থাকে। তাই তো শনি দেবকে প্রসন্ন করতে প্রতিদিন "নিলাঞ্জনা সম ভাসম। রবি পুত্রাম ইমাগ্রাজম। ছায়া মার্থান্ডা সমভুতাম তাম নমামি শনিচরম", এই মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে। সেই সঙ্গে এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি মিয়ম করে ভগবান শিবের অরাধনা করতে পারেন, তাহলে জীবনে আনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে দেবের আশীর্বাদে আরও নানা উপকারও মেলে চোখের পলকে। প্রসঙ্গত, ভগবান শিবের অরাধনা করার সময় "ওম নম শিবায়", মন্ত্রটি জপ করতে হবে। তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে!
৪. সিংহরাশি:
এই রাশিরও রুলিং গড হলেন ভগবান শিব। তাই তো বলি বন্ধু, আপনি যদি এই রাশির জাতক-জাতিকা হয়ে থাকেন, তাহলে ভগবান শিবের অরাধনা করতে ভুলবেন না যেন! সেই সঙ্গে সূর্য দেবের পুজো করাও জরুরি। কারণ সিংহরাশির রুলিং প্ল্যানেট হল সূর্য। তাই তো দেবকে প্রসন্ন করতে না পারলে কিন্তু বিপদ! এখন কীভাবে করতে হবে সূর্য দেবের পুজো? এক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে উঠে সূর্য দেবকে জল দান তো করতে হবেই, সেই সঙ্গে "জপ কুসুম শঙ্কাসম, কসয়াপিয়াম মহাধ্যুতাম, থামোরিম সর্ব পাপঘ্নাম প্রানাথোসমি দিবাকারাম", এই মন্ত্রটি পাঠ করাও জরুরি।
৫. কর্কটরাশি:
এই রাশির উপর চাঁদের প্রভাব খুব বেশি মাত্রায় থাকে। তাই তো চন্দ্র দেবকে প্রসন্ন করতে প্রতিদিন "ধাহি শঙ্ক তুশারাভাম, কেশরো ধর্নাভা সামভাম, নমামি শশিনাম সমম, সাম্ভোর মুক্তা ভুষানাম", এই মন্ত্রটি জপ করতে হবে। আর শাস্ত্র মতে কর্করাশির জাতক-জাতিকাদের উপর যেহেতু মা দুর্গার আশীর্বাদ রয়েছে, তাই প্রতি শুক্রবার যদি নিয়ম করে এরা মা দুর্গা বা মা কালীর অরাধনা করতে পারেন, তাহলে নানা উপকার মেলে! প্রসঙ্গত, মায়ের পুজো করার সময় "অন্নপূর্না সদা পূর্না, শঙ্কর পূর্ণা বল্লভে, গনান বৈরাগ্য সিদ্ধার্থাম, বিকাশম দেহিচে পার্বতী", এই মন্ত্রটি পাঠ করতে ভুলবেন না যেন!
৬. তুলা এবং বৃষরাশি:
এই দুই রাশির উপর শুক্র গ্রেহের প্রভাব খুব বেশি মাত্রায় থাকে। তাই শুক্র গ্রহকে যদি প্রসন্ন করতে পারেন, তাহলে জীবনের ছবিটা বদলে যেতে সময় লাগে না। আর এমনটা করবেন কীভাবে? এক্ষেত্রে প্রতি শুক্রবার এক মনে শুক্র মন্ত্র জপ করতে হবে। তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে! মন্ত্রটি হল- "হিমকুন্দ মৃণালাভাম, দৈতানাম পারানাম গৌরম, সর্ব শাস্ত্র প্রভক্তরাম, ভার্গাভাম প্রাণামামধিয়াম।" প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই রাশির অধিকারীরা নিয়মিত লক্ষ্মী বিজ মন্ত্র পাঠ করতে করতে যদি মায়ের অরাধনা করতে পারেন, তাহলে নাকি নানাবিধ উপকার পাওয়া সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৭. ধনু এবং মীনরাশি:
এদের রুলিং প্ল্যানেট হল বৃহস্পতি। তো তো জন্ম কুষ্টিতে এই গ্রহটির অবস্থানকে শক্তপোক্ত করতে এদের নিয়ম করে "দিবানচয়া রুশিনাচাম গুরু কাঞ্চনা সনিভাম, বুদ্ধি মান্থাম ত্রিলোকেশম, থাম নমামি বৃহস্পথিম", এই মন্ত্রটি জপ করতে হবে। এমনটা করলে লর্ড বৃহস্পতি এতটাই প্রসন্ন হবেন যে জীবনে আনন্দে ভরে উঠতে দেখবেন সময় লাগবে না। তবে এক্ষেত্রে এই দুই রাশির জাতক-জাতিকাদের আরেকটি বিষয় জেনে রাখাও জরুরি। তা হল ধনু এবং মীনরাশির উপর ভগবান শিবের প্রভাব খুব বেশি মাত্রায় থাকে। তাই তো দেবকে প্রসন্ন করতে এদের নিয়ম করে দেবাদিদেবের অরাধনা করা উচিত।