Just In
- 1 hr ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 4 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 6 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 6 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
বিজনেস কার্ড দিয়ে ভাইরাল পুণের গীতা কালে, আসছে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাজের অফার
পরিচারিকার আবার বিজনেস কার্ড? শুনতে খানিকটা অবাক লাগছে তাই তো? হ্যাঁ, অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। তিনি এখন নেট দুনিয়ার সেলিব্রেটি। পুণের গীতা কালে। দেশজুড়ে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাজের অফার এখন তাঁর কাছে।
এ যেন মিরাক্কেল! নিতান্ত এক অঘটন। কাজের লোক বলে পাত্তা দেবেন না তা কি আর হয়। একেবারে বিজনেস কার্ড তৈরি করে কাজের বাজারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন পরিচারিকা। কিভাবে ঘটল এই মিরাক্কেল, চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক।
পুণের বাভধন এলাকায় এবং পার্শ্ববর্তী জায়গায় গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করতেন গীতা কালে। হঠাৎই, একটি বাড়িতে তিনি কাজ হারিয়ে ফেলে তিনি দুঃখ ও হতাশায় পড়ে যান। কারণ, সেখানে মাসে ৪ হাজার টাকা বেতন পেতেন তিনি। এভাবে রোজগার করা টাকা দিয়েই চলত তাঁর সংসার। গীতা কালের আর এক কাজের জায়গার গৃহকর্ত্রী ধনশ্রী শিন্ডে গীতার হতাশা পূর্ণ কথা শুনে এক অবিশ্বাস্য সিদ্ধান্ত নেন।
ধনশ্রী তাঁর ব্র্যান্ডিং স্কিলকে কাজে লাগিয়ে গৃহপরিচারিকার জন্যে একটি অত্যাধুনিক বিজনেস কার্ড বানিয়ে দেন। ১০০টি কার্ডও ছাপিয়ে আনেন ধনশ্রী। এরপরেই আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীর সহায়তায় পুণের ভাবধন এলাকায় ছড়িয়ে দেন সেই বিজনেস কার্ড। সম্প্রতি এই ঘটনার কথা ছবি-সহ নিজের ফেসবুক পোস্টে শেয়ার করেন অস্মিতা জাভড়েকর নামের এক মহিলা। ব্যাস এখানেই তো খেলা শুরু।
পোষ্টটি দু-দিনের মাথায় ভাইরাল হয়ে যায় নেট দুনিয়ায়। সম্প্রতি গীতা কালে তাঁর বিজনেস কার্ড দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজের সন্ধান শুরু করেন। কার্ড ছড়িয়ে পড়ে নেটিজেনদের মধ্যে। হুড়মুড়িয়ে একের পর এক কাজের অফার আসতে থাকে তাঁর কাছে। জানা যায়, এই বিজনেস কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর থেকে বেজেই চলেছে 'গীতা মউশি'-র মোবাইল ফোন। যা দেখে আনন্দে ও গৃহকর্ত্রী ধনশ্রী শিন্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতায় চোখে জল থামছেনা পরিচারিকার। তবে ফোন গুলির সঠিক পরিচালনা করতে গীতা ফোন তুলে দিয়েছেন ধনশ্রীর হাতে।
বিজ্ঞাপনে, নিজের পরিচয় দিয়েছেন গীতা কালে। ঘরের কাজ করার মউশি। পাশাপাশি কোন কাজের জন্যে কত টাকা পারিশ্রমিক তাও লেখা আছে। যেমন, ঝাড়ু-পোছা, কাপড়ে ধোনার মতো কাজে জন্য প্রতি মাসে ৮০০ টাকা এবং রুটি তৈরির জন্যে পারিশ্রমিক প্রতি মাসে ১০০০ টাকা। পাশাপাশি, বাড়ির অন্য কাজের জন্যে আলাদা পারিশ্রমিক লাগবে সে কথাও উল্লেখ আছে। শুধু এখানেই শেষ না, মউশি গীতা কালের নাম ও পরিচয় যে আধার কার্ড অনুযায়ী যাচাই করা সেই কথাও উল্লেখ করা রয়েছে।
গৃহপরিচারিকা গীতা কালে এখন নেট দুনিয়ার সেন্সেশন। তবে গৃহপরিচারিকার জন্যে সহৃদয় সাহায্যের জন্য এবং এই অভিনব পদ্ধতি প্রয়োগ করার জন্য নেটিজেন থেকে ভারতবর্ষের আপামর জনগণ ধনশ্রী শিন্ডেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।