Just In
ড্রয়িং রুমে অ্যাকুরিয়াম রাখলে কী হতে পারে জানেন?
আজকাল অনেক বাঙালিই বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াতে অ্যাকুরিয়াম রেখে থাকেন। কেউ কেউ তো এত বড় ফিশ ট্যাঙ্ক রাখেন যে অতিথিদের চক্ষু চরকগাছ হয়ে যেতে সময় লাগে না। কিন্তু বাড়িতে অ্যাকুরিয়াম রাখা কি আদৌ উচিত?
আজকাল অনেক বাঙালিই বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াতে অ্যাকুরিয়াম রেখে থাকেন। কেউ কেউ তো এত বড় ফিশ ট্যাঙ্ক রাখেন যে অতিথিদের চক্ষু চরকগাছ হয়ে যেতে সময় লাগে না। কিন্তু বাড়িতে অ্যাকুরিয়াম রাখা কি আদৌ উচিত?
বাস্তুশাস্ত্র এবং ফেংশুইশাস্ত্র অনুসারে বাড়িতে, বিশেষত ড্রয়িং রুমে অ্যাকুরিয়াম রাখলে গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, মেলে অরও অনেক উপকার। তাই তো যাদের বাড়িতে ফিশ ট্যাঙ্ক রয়েছে বা যারা অ্যাকুরিয়াম কেনার কথা ভাবছেন, তাদের একবার এই প্রবন্ধটি পড়া মাস্ট!
প্রসঙ্গত, অ্যাকুরিয়াম বাড়িতে রাখলে সাধারণত যে যে উপকারগুলি পাওয়া যায়, সেগুলি হল...
১. পজেটিভ এনার্জির মাত্রা বাড়তে শুরু করে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ড্রয়িং রুমে ফিশ ট্যাঙ্ক রাখলে গৃহস্থের প্রতিটি কোনে জায়গা করে নেওয়া নেগেটিভ এনার্জি দূরে পালাতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে পজেটিভ শক্তির মাত্রা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি জীবন সুখ-শান্তিতে ভরে উঠতে সময় লাগে না।
২. কোনও মাছ মারা গেলে জানেন কি হয়?
ফেংশুই বিশেষজ্ঞদের মতে অ্যাকুরিয়ামে দাপাদাপি করতে থাকা কোনও মাছ যদি হঠাৎ করে মারা যায়, তাহলে বুঝতে হবে মারাত্মক খারাপ কিছু ঘটতে চলেছিল আপনার সঙ্গে, যা সেই মাছটি নিয়ে চলে গেল। অর্থাৎ সহজ কথায় বললে মৃত মাছেরা ব্যাড লাকের প্রভাব কমায়। ফলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। তাই তো খারাপ ঘটনার প্রকোপ থেকে দূরে থাকতে প্রতিটি বাড়িতে অ্যাকুরিয়াম থাকা মাস্ট!
৩. অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়িতে থাকা অ্যাকুরিয়ামে যদি গোল্ড ফিশের মতো ছটফটে মাছ রাখা যায়, তাহলে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটার সম্ভাবনা তো বাড়েই, সেই সঙ্গে রোগ-ব্যাধির খপ্পরে পরার আশঙ্কাও কমে। শুধু তাই নয়, কর্মক্ষেত্রে চরম উন্নতি লাভের পথও প্রশস্ত হয়। এবার বুঝেছেন তো বন্ধু বাড়িতে অ্যাকুরিয়াম থাকাটা কতটা জরুরি।
৪. পাপের শাস্তির হাত থেকে রক্ষা মেলে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে রাখা মাছেদের যদি নিয়মিত খাবার খাওয়ানো যায়, তাহলে এ জীবনে করে ফেলা পাপ কাজের জন্য শাস্তি পাওয়া সম্ভাবনা যায় কমে। সেই সঙ্গে পূর্ণের ঘড়া ভরতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকবাবেই জীবন সুখে-শান্তিতে ভরে ওঠে।
৫. স্ট্রেসের মাত্রা কমে:
সারা বিশ্বজুড়ে হওয়া একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরে কয়েক মিনিট মাছেদের দিকে তাকিয়ে থাকলে মস্তিষ্কের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে স্ট্রেস লেভেল কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মানসিক অবসাদও দূরে পালায়। প্রসঙ্গত, সরকারি এবং বেসরকারি ডেটা অনুসারে গত কয়েক বছরে এদেশের কম বয়সিদের মধ্য়ে আত্মহত্যার প্রবণতা চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে, যার পিছনে মূল কারণ হল মানসিক অবসাদ এবং স্ট্রেস। তাই তো বলি বন্ধু, স্ট্রেস লেভেলকে কমিয়ে ফেলে শরীরকে সুস্থ রাখতে বাড়িতে অ্যাকুরিয়াম ইনস্টল করতে দেরি করবেন না যেন!
৬. কর্মজীবনে উন্নতি ঘটে:
অল্প সময়ে কি পদন্নতি পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। তাহলে বন্ধু, বাড়ির উত্তর দিকে একটা অ্যাকুরিয়াম এনে রাখতে ভুলবেন না! কারণ এমনটা করলে কম সময়ে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোনে যদি ফিশ ট্যাঙ্ক রাখা যায়, তাহলে অর্থনৈতিক উন্নতিও ঘটে চোখে পরার মতো। তবে বাড়িতে অ্যাকুরিয়াম রাখলে আরও কতগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তা হল...
১. মাছের সংখ্যা:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ফিশ ট্যাঙ্কে কম করে ৯ টি মাছ রাখলে তবেই কিন্তু এইসব উপকার পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, তা হল ৯ টি মাছের মধ্যে ৮ টি হতে হবে গোল্ড ফিশ, আর তার সঙ্গে রাখতে হবে একটা কালো রঙের মাছ। তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে!
২. বাড়ির উত্তর দিক:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে ড্রয়িং রুম বা লিভিং রুমের পূর্ব দিকে অ্যাকুরিয়াম রাখলে জটিল কোনও শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে, সেই সঙ্গে শারীরিক ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।
৩. কোনও কোনে রাখবেন:
অ্যাকুরিয়াম সব সময় কোনও একটি কোনে রাখা উচিত। কারণ এমনটা করলে ধাক্কা লেগে ফিস ট্যাঙ্ক ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে কালো যাদুর প্রভাবও কেটে যায়। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।