Just In
মিকি মাউস-এর ৯১তম জন্মদিন, রইল কিছু তথ্য
বিশ্ব বিখ্যাত কার্টুন চরিত্র 'মিকি মাউস'-এর নাম আমরা সকলেই শুনেছি। বিশেষত, বিশ্বের প্রত্যেক শিশুর মনে মিকি মাউসের প্রভাব অত্যন্ত গভীর। কারণ, বেশিরভাগ শিশুরই বাল্যকাল কাটে মিকি মাউসের সঙ্গে বন্ধুত্ব হতে হতে। এমন কোনও শিশুই নেই, যে টেলিভিশন দেখে কিন্তু, মিকি মাউস দেখেনি। ছোট শিশুরা বাল্য, কৈশোর, যৌবন পার করে বার্ধক্যে পৌঁছয়, কিন্তু, মিকি মাউস আজন্মকাল সেই ছোট্ট-টিই থেকে যায়। এইভাবে, প্রত্যেক প্রজন্মকে আনন্দ দিয়ে চলেছে জনপ্রিয় এই কার্টুন চরিত্র। আজ ১৮ নভেম্বর, 'মিকি মাউস'-এর জন্মদিন। তাই, প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় অত্যন্ত আনন্দের সহিত এই দিনটি পালিত হয়।
আজ মিকি মাউসের জন্মবার্ষিকীতে আমরা কিছু অজানা তথ্য নিম্নে তালিকাভুক্ত করেছি -
১) মিকি মাউস আদতে একটা ছোট ইঁদুর। তার আবির্ভাব ঘটে 'স্টিমবোট উইলি' নামের একটি শর্টে, একটি শর্ট অ্যানিমেটেড ফিল্ম। এটি একটি সাদা-কালো চলচ্চিত্র এবং প্রথম সিঙ্ক্রোনাইজড সাউন্ডট্র্যাক অ্যানিমেটেড ফিল্ম। ছবিটি মুক্তির তারিখ ছিল ১৮ নভেম্বর ১৯২৮। এরপর থেকেই বদলে যায় কার্টুন দুনিয়া।
২) মিকি মাউস ১৫ মে ১৯২৮ সালে প্রথমবার একটি কার্টুন শো-তে হাজির হয়েছিল। তবে, সেখানে, মিকি শ্রোতাদের মুগ্ধ করতে পারেনি এবং এতে সমালোচিতও হতে হয়েছিল। এটি ঘটেছিল কারণ, ওয়াল্ট ডিজনি কোনও ডিস্ট্রিবিউটর-কে খুঁজে পাননি।
৩) মিকির ব্যর্থতায় ওয়াল্ট ডিজনি বেশ হতাশ হলেও তিনি 'দ্য গ্যালোপিন গাউচো' নামে মিকির আরেকটি শট তৈরি করেছিলেন। এখানেও ডিস্ট্রিবিউটরের অভাবে, এই চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেওয়া যায়নি।
৪) স্টিমবোট উইলি মিকিকে নিয়ে ওয়াল্ট ডিজনির তৃতীয় প্রচেষ্টা ছিল। কিন্তু, এবার সিঙ্ক্রোনাইজড সাউন্ডট্র্যাকের মাধ্যমে, চলচ্চিত্রটি বিশাল সাফল্য লাভ করেছিল। এটি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত এবং গ্রহণযোগ্যতাও পেয়েছিল।
৫) প্রথমদিকে, মিকি মাউস 'মর্টিমার মাউস' নামে পরিচিত ছিল। তবে, ওয়াল্টের স্ত্রী লিলিয়ানই পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, 'মর্টিমার'-কে 'মিকি'-তে বদলাতে, যা মজার পরিচয় দেয়।
৬) ১৯৭৮ সালে মিকি মাউসের ৫০তম জন্মবার্ষিকীতে এই চরিত্রটি হলিউডের ওয়াক অফ ফেম- এর সম্মান পায়।
৭) ১৯২৯ সালে যখন ওয়াল্ট ডিজনি স্কুলের কিছু জিনিসপত্রে মিকি মাউসকে ছাপানোর জন্য একটি স্টেশনারি সংস্থার সাথে চুক্তি গ্রহণ করেছিলেন তখন থেকে ডিজনির পণ্য লাইসেন্সিং ব্যবসা শুরু হয়েছিল।
৮) ১৯৩৫ সালে মিকি 'দ্য ব্যান্ড কনসার্ট'-এ প্রদর্শিত হয়েছিল, যেখানে মিকি-কে প্রথম রঙিন দেখানো হয়।
৯) ১৯৫৫ সালে টেলিভিশনে 'দ্য মিকি মাউস ক্লাব' শো-এর মাধ্যমে মিকি মাউসের ডেবিউ হয়েছিল। এই শো-টি বিশাল সাফল্য লাভ করেছিল।
১০) ২০১৩ সালে, মিকি মাউস 'গেট আ হর্স' সিনেমার মাধ্যমে সিনে জগতে হাজির হয়। পরে এটি অস্কার অ্যাকাডেমি পুরষ্কারে মনোনিত হয়েছিল।