Just In
প্লাস্টিক সার্জারি করানোর সময় যে বিষয়গুলি বিবেচনা করা উচিৎ
প্লাস্টিক সার্জারি করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনাকে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এমন কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলির প্লাস্টিক সার্জারি করানোর আগে আপনার যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে নেওয়া একটা সহজগ্রাহ্য ব্যাপার না, বরং এর মধ্যে অনেক পরিকল্পনার সাথে সাথে বিবেচনাও থাকে।
এখন মার্কেটে মম্মি মেকওভারস (mommy makeovers)-এর খুব ঝোঁক চলছে, কিন্তু এমন অনেক ব্যাপার রয়েছে, যা প্লাস্টিক সার্জারি করতে যাওয়ার আগে বিবেচনা করে দেখে নেওয়া উচিৎ।
দেখে নিন সেই বিষয়গুলি যেগুলি প্লাস্টিক সার্জারি করানোর সময় বিবেচনা করা উচিৎ।
১.
বাস্তবকে
মেনে
নিনঃ
আপনাকে
প্রথমেই
এই
তথ্য
ও
বাস্তবকে
মেনে
নিতে
হবে
যে
রাতারাতি
পরিবর্তন
সম্ভব
না।
সার্জারির
ঠিক
পরের
দিনই
কেউ
দেখতে
সুন্দর
হয়ে
যেতে
পারে
না।
কিছু
সার্জারি
সফল
হতে
পারে
আবার
কিছু
নাও
হতে
পারে;
আর
এই
কারণেই
বাস্তবকে
বিবেচনা
করা
ও
একে
সঙ্গে
নিয়ে
এগোনো
খুবই
গুরুত্বপূর্ণ।
এমন অনেক সার্জারি আছে যা আপনার মুখে পরিবর্তন আনতে অনেক সময় নেয়। উদাহরণ স্বরূপ, ঠোঁটের ওপারেশনের এক থেকে দুই মাস পর আপনি কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন। সার্জারি করাতে যাওয়ার আগে আপনাকে এই সত্য ও তথ্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
২.
তথ্যগুলি
সম্পর্কে
জেনে
নিতে
লজ্জা
পাবেন
নাঃ
আপনি
যখন
একটি
প্লাস্টিক
সার্জারি
করাতে
যাচ্ছেন,
তখন
বিশেষজ্ঞ
সম্পর্কে
কিছু
প্রয়োজনীয়
তথ্য
জেনে
নেওয়া
খুবই
গুরুত্বপূর্ণ।
আপনাকে
শল্যচিকিৎসক
অর্থাৎ
সার্জন
সম্পর্কে
খোঁজ
খবর
নিতে
হবে
এবং
তাকে
তার
সার্টিফিকেশন
ও
অভিজ্ঞতা
সম্পর্কে
জিজ্ঞাসা
করতে
লজ্জা
পাবেন
না।
সুনিশ্চিত করে নেবেন যে আপনি একজন সার্টিফায়েড সার্জন কাছে যাচ্ছেন, যার একটি সার্টিফায়েড ক্লিনিক রয়েছে। আপনার সার্জনের সম্পর্কে সব তথ্য জেনে নেওয়া আপনার অধিকার এবং এটি করতে আপনার কখনোই লজ্জা পেতে হবে না।
৩.
মূল্যঃ
প্লাস্টিক
সার্জারি
করানোর
সময়
মূল্য
একটা
গুরুত্বপূর্ণ
ফ্যাক্টর।
বিশেষজ্ঞ
আপনাকে
কত
মূল্য
ধার্য
করছে
সেই
সম্পর্কে
আপনার
খোলাখুলি
ধারনা
থাকা
প্রয়োজন
এবং
পরিষ্কার
হয়ে
নিন
সেই
ধার্য
মূল্যের
মধ্যে
ট্যাক্স
ও
অন্যান্য
মূল্য
অন্তর্ভূক্ত
রয়েছে
কিনা।
আপনাকে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে যে আপনি খুব কম খরচের একটি অস্ত্রপ্রচারের জন্য একটা বিশাল মূল্য খরচ না করে ফেলেন। মার্কেট সম্বন্ধে নিজের হোমওয়ার্ক, রিসার্চ করে নিন আর তারপর সার্জারির জন্য এগোন।
৪.
সুবিধাগুলি
বের
করে
নিনঃ
আপনাকে
বিবেচনা
করে
নিতে
হবে,
আপনার
ক্লিনিক
ও
বিশেষজ্ঞ
যেন
আপনার
বাড়ির
কাছেই
হয়,
যাতে
আপনি
সহজেই
সেখানে
পৌঁছে
যেতে
পারেন।
আপনাকে
এমন
একটি
ক্লিনিক
খুঁজে
নিতে
হবে
যা
শুধু
সার্টিফায়েড
এবং
সরকারের
থেকে
অনুমোদিতই
নয়,
বরং
সেই
ক্লিনিকটি
যেন
সার্জারির
জন্য
প্রয়োজনীয়
আধুনিক
সরঞ্জাম
ও
উপকরণে
সজ্জিত
হয়।
৫.
খুব
বেশি
কিছু
করবেন
নাঃ
প্লাস্টিক
সার্জারি
করানোর
সময়
একটা
সাধারণ
ভুল
যেটা
সবাই
করে
থাকেন
সেটা
হল,
একই
সাথে
একাধিক
সার্জারি
করাতে
চাওয়া।
ঠোঁটের
সার্জারি
ও
স্তনের
প্রবর্ধণ
(breast
augmentation)
কখনোই
একসাথে
করানো
উচিৎ
না;
বরং
একে
একে
করানো
উচিৎ।
একসাথে সবকটি সার্জারি করানোর চেয়ে, একটা সময়ে একটা সার্জারি করানোই যথেষ্ট। অনেক সময় নাকের থেকে শুধু একটা গাঁট সরিয়ে নেওয়াও অনেক রকম তফাৎ সৃষ্টি করতে পারে।
৬.
তুলনাঃ
আপনাকে
অন্য
কারোর
মতো
বানিয়ে
দেওয়ার
জন্য,
কখনোই
আপনার
সার্জনকে
অনুরোধ
করবেন
না।
এখন
আপনি
যদি
অ্যাঞ্জেলিনা
জোলির
মতো
ঠোঁট
ও
দীপিকা
পাডুকোনের
মতো
দেহের
স্বপ্ন
দেখে
থাকেন,
তবে
সেই
লক্ষ্যে
পৌঁছানো
সম্ভব
না।
কখনোই অনেক কিছু চেয়ে বসবেন না কারণ কখনো কখনো সাধারণ থাকাও যথেষ্ট ভাল হতে পারে। আপনি ফেশিয়াল ফিল্টারস (facial filters) বা বোটক্স (Botox) বেঁছে নিতে পারেন, যা কিনা মুখের বলিরেখার জন্য একটি চমৎকার বিকল্প।