Just In
এই ছবিগুলি আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই যাবে!
এই ছবিগুলি দেখামাত্র দেখবেন আপনিও ওই মুহূর্তে চলে গেছেন। আর তার যা হবে আপনার সঙ্গে তা আপনি কোনও দিনও ভুলতে পারবেন না।
হয়তো অনেকই মানবেন না। কিন্তু একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে আমাদের শরীরের বয়স যতই বেড়ে যাক না কেন, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত আমাদের মনের কোনও এক মণিকোঠায় একটা বাচ্চা যেন সারাজীবন বেঁচে থাকে। তাই তো কারণ-অকারণে আমরা ভাবুক হয়ে পরি। চোখের কণা জলে ভিজে যায়। এমনটা হলে কেউ বলে বাচ্চামো গেল না, কেউ বলে ইমোশনাল ফুল! তবু অস্বীকার করতে পারেন কি মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সেই বাচ্চাটাকে?
আপনি কী উত্তর দেবেন জানি না। কিন্তু আজ এই প্রবন্ধের মাধ্যমে যে ছবিগুলি আপনাদের সামনে পরিবেশন করব, তা দেখে সেই বাচ্চাটা ফুঁপিয়ে উঠবেই। আর তার প্রকাশ দেখতে পাবে আপনার চোখ। কী এমন থাকবে এই প্রবন্ধে? ছবি, বুঝলেন কিছু ছবি! বলতে পারেন এক একটা মুহূর্ত, যা ভাষায় প্রকাশ করা হয়তো খুব কঠিন। তবু চেষ্টা করলাম।
এই ছবিগুলি দেখামাত্র দেখবেন আপনিও ওই মুহূর্তে চলে গেছেন। আর তার যা হবে আপনার সঙ্গে তা আপনি কোনও দিনও ভুলতে পারবেন না। তাহলে আর অপেক্ষা কেন, চলুন বেরিয়ে পরা যাক, ছবির সরণি বেয়ে পৌঁছে যাওয়া যাক বিশেষ কিছু মুহূর্তে।
আমি...আমি আজ মা:
"প্রথম যখন ওকে কোলে নিলাম তখন মনে হল সময় যেন থেমে গেছে।" সত্যিই যে তখন সময় থেমে গিয়েছিল, তা মায়ের অভিব্যক্তি দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, তাই না! সমস্ত ব্যথা উর্ধে উঠে যেন অপরূপ তৃপ্তির স্বাদ পাচ্ছে মা...এক কথার অসাধারণ!
ভালবাসার বন্ধন!
বাড়ি হারিয়েছে। শেষ সম্বল বলতে তার এই পোষ্যটি। তাই দেখুন কীভাবে জড়িয়ে ধরে আছে দুজন দুজনে। এমন সম্পর্ক সত্যিই বিরল। তাই না! ভালবাসার এমন মুহূর্তের সাক্ষী আমরা কেন হই না। কেন আমরা সব সম্পর্ক ভুলে যন্ত্র মানব হয়ে যাচ্ছি। কেন... কেন? হে ভগবান আমি এই মানুষটার মতো হতে চাই। আমি আর পাঁচ জনের মতো যন্ত্র হতে চাই না! এমন ভাবনা কি আপনার মনেও আসছে বন্ধুরা?
মৃত্যুর অত জোর কোথায়:
মানুষ মরে যায়, সম্পর্ক থেকে যায়। এই ছবিটি যেন এই কথাটাই বলছে। দেখুন, সৈনিক তার শেষ জাহাজে উঠে পরেছে। তবু তাঁর প্রতি ভালবাসায় একটু ভাটা পরেনি। স্ত্রী আজও তার সঙ্গীকে চরমভাবে পেতে চাইছে। কিন্তু পাচ্ছে কই! মৃত্যুর তরোয়াল যে সব কেটে ছারখার করে দিয়েছে।
লড়াই বন্ধু, লড়াই...
পা নেই। চোখ তো আছে। তাই সে স্বপ্ন দেখেছিল। দেখুন সেই স্বপ্ন পূরণের আনন্দটা একটি বার দেখুন। বুঝবেন, মনের শক্তির থেকে বড় শক্তি এই পৃথিবীতে আর কিছু নেই। তাই তো বলি বন্ধুরা যতই বাঁধা আসুক না কেন, দাঁত কামড়ে পরে থাকুন। আর মনে মনে শুধু বলতে থাকুন, লড়াই বন্ধু লড়াই! দেখবেন একদিন অপনিও ঠিক ফিনিশিং লাইন পার করে ফেলতে পারবেন। কথায় আছে না, " ইচ্ছা থাকলে ঠিক উপায় হয়।"
কান্না বাঁধ ভেঙেছে!
যুদ্ধ বন্ধুকে কেরে নিয়েছে। খুচরো পয়সার মতো পরে রয়েছে শুধু স্মৃতিগুলি। তাই সই, বন্ধু আমি তোমায় ভুলবো না। একদিন তোমার পিছু পিছু আমিও আসবে। সেদিন তোমার সঙ্গে সব হিসেব হবে। কেন বন্ধু.. কেন আমায় ছেড়ে গেলে এমনভাবে! কান্নার স্রোত যেন এই কথাগুলিই ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কিছু ধরা পরেছে শুধু এই ছবিতে।
ওঠো, উড়ে যাও দিগন্ত পারে:
বাচ্চাটা প্রথম হাঁটতে শিখছে। গুটি গুটি পায়ে এগচ্ছে দেখুন। পাছে পরে না যায়। তাই হাতে স্ট্যান্ডটা ধরিয়ে দিয়েছে বাবা-মা। আচ্ছা বেলুনগুলো কেন বাঁধা আছে বলুন তো? কে জানে...!!!
ভালবাসা বুড়ো হয় না:
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে হাসির মধ্যে নাকি অনেক শক্তি আছে। হয়তো এই বৃদ্ধ তার সঙ্গীকে এই ভাবেই সুস্থ করে তুলতে চাইছে। হাতটা যেন ছাড়ার ইচ্ছাই নেই দুজনের। এমন ভালবাসাকে হারাতে পারে এমন শক্তি কার আছে। কারও নেই...হাসুন আপনার হাসুন। এই সময়টা আপনাদের। শুধুই আপনাদের!
স্যালুট বন্ধু স্যালুট!
আমি গ্রেট আলেকজান্ডারকে দেখিনি। সম্রাট অশোক বা চেঙ্গিস খানকেও দেখার সুযোগ হয়নি। কিন্তু আমি এই মানুষটিকে দেখেছি। পা নেই। তবু দেখুন কেমনভাবে নিজের শরীরকে জয় করেছে। এই যোদ্ধাটি চেঙ্গিস খান বা অশোকের থেকে কোনও অংশ কম নাকি! না...একেবারেই না!
মনুষ্যত্ব মানবিকতাকে হারায়নি!
হাতে হাতে মিলেই তো মানবিকতার শক্তির বিকাশ ঘটে। হে বন্ধু আমি আর তুমি তো সমান, কিন্তু আমি পারি তোমার পাশে দাঁড়াতে। তাই আজ তোমার হাত ধরছি, একদিন তুমি এইভাবেই অন্য কারও হাত ধরো। এরা যদি পারে, তাহলে আমরা পারি না কেন?
তুমি নেই...আমি আছি:
এই ছবিটি দেখার পর কথা হারিয়ে ফেলেছিলাম। প্রভু মারা গেছে। তবু যেন তার সঙ্গ ছাড়তে নারাজ কুকুরটি। একেই হয়তো ভালবাসা বলে, তাই না!