Just In
- 32 min ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 43 min ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 15 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
- 19 hrs ago কোন ডাবে বেশি জল, বাইরে থেকে দেখে বুঝবেন কী ভাবে?
বিছানার ঠিক উপরে ড্রিম ক্যাচার ঝোলালে কী কী উপকার পাওয়া যায় জানা আছে?
উইন্ড চিমসের মতো দেখতে এই শোপিসটি বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেই সঙ্গে আরও নানা উপকারে লেগে থাকে, যে সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেনই।
"ড্রিম ক্যাচার", সে আবার কি! এমনটা যারা ভাবচেন, তাদের জানিয়ে রাখি আজকাল যে কোনও শোপিসের দোকানেই এটা পাওয়া যায়। গোল চাকতির মাঝে নানা রঙের উল দিয়ে জাল তৈরি করা হয়, আর তার নিচের দিকে উলের দড়িতে পুঁথি বা রং-বে-রঙের পালক লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এক কথায় উইন্ড চিমসের মতো দেখতে এই শোপিসটি বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেই সঙ্গে আরও নানা উপকারে লেগে থাকে, যে সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেনই। তাই তো বলি বন্ধু, পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে যদি খারাপ শক্তির প্রভাব থেকে বাঁচাতে হয় এবং একই সঙ্গে বেড রুমের সৌন্দর্য বাড়ানোর ইচ্ছা থাকে, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
ইতিহাসের পাতা ওল্টালে জানা যায় যে উত্তর আমেরিকার ওজিবস নামে একটি জনগোষ্টি প্রথম ড্রিম ক্যাচারের মতো যন্ত্র বানায়। তাদের বিশ্বাস ছিল এই শোপিসটি বিছানার উপরে লাগালে খারাপ স্বপ্ন দেখার সম্ভাবনা কমে, সেই সঙ্গে ঘুমনোর সময় খারাপ শক্তির প্রভাবে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে। শুধু তাই নয়, মেলে আরও অনেক উপকার। প্রসঙ্গত, যখন বাকি দুনিয়া ড্রিম ক্যাচারের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে শুরু করলে, তখন পশ্চিমী দেশের বাকি অংশে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে নি। শুধু তাই নয়, ড্রিম ক্যাচার সম্পর্কে এশিয়া মহাদেশেও জানার আগ্রহ বাড়তে শুরু করে, যার ছোঁয়া লাগে এদেশেও। তাই তো এই প্রবন্ধটি লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া।
এখন প্রশ্ন হল শোওয়ার ঘরে ড্রিম ক্যাচার রাখলে কী কী উপকার পাওয়া যায়?
১. খারাপ শক্তির হাত থেকে রাক্ষা মেলে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বিছানার আশেপাশে ড্রিম ক্যাচার রাখলে ঘুমনোর সময় নেগেটিভ এনার্জির প্রভাবে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। সেই সঙ্গে "ইভিল স্পিরিট" এর খপ্পরে পরার সম্ভাবনাও যায় কমে। শুধু তাই নয়, কালো যাদুর কারণে যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তাও সুনিশ্চিত হয়। প্রসঙ্গত, আজকের দুনিয়ায় যেখানে প্রায় সবাই আপনার উন্নতিতে ইর্ষান্বিত, সেখানে এমন ধরনের একটা জিনিস বাড়িতে এনে রাখা যে বেজায় জরুরি, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই!
২. বাজে স্বপ্ন আসা বন্ধ হয়:
প্রতিদিন ঘুমনোর সময় কি খারাপ স্বপ্ন দেখেন? তাহলে বন্ধু আজই একটা ড্রিম ক্যাচার কিনে এনে শোওয়ার ঘরে রাখুন। দেখবেন বাজে স্বপ্ন আসা বন্ধ হয়ে যাবে। পরিবর্তে মনের মতো স্বপ্ন আসতে শুরু করবে। আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ড্রিম ক্যাচারের জালে খারাপ স্বপ্ন আটকে যায়। তাই তো শুধু ভাল ভাল স্বপ্ন আসতে থাকে ঘুমনোর সময়।
৩. গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বেড রুমে ড্রিম ক্যাচার রাখলে গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শুভ শক্তির মাত্রা বাড়তে থাকে। আর এমনটা যখন হয়, তখন গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে উঠতে সময় লাগে না। ফলে চরম সফলতার স্বাদ তো পাওয়া যায়ই, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতি লাভের পথও প্রশস্ত হয়। ফলে জীবন অনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না।
৪. ভূতের খপ্পর থেকে বেঁচে থাকা যায়:
ভূত বা আত্মারা আদৌ আমাদের উপর নজর রেখে চলেছে কিনা সে বিষয়ে কোনও প্রমাণ পাওয়া না গেলেও একটা কথা মেনে নিতে হবেই যে আমাদের চারিপাশে পজেটিভ শক্তি যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে নেগেটিভ শক্তিও, যাকে অনেকে ভূত বা আত্মা বলে বিবেচিত করে থাকেন। আর অনেকে এমনটা বিশ্বাস করেন যে বাড়িতে ড্রিম ক্যাচার এনে রাখলে এই সব ভূতেরা ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। তাই তো বলি বন্ধু ভূত-প্রেতে যদি বিশ্বাস থাকে, তাহলে ড্রিম ক্যাচারকে সঙ্গী বানাতে ভুলবেন না যেন!
৫. বাস্তু দোষ কেটে যায়:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়িতে ড্রিম ক্যাচার থাকলে একদিকে যেমন অশুভ শক্তির মাত্রা কমতে শুরু করে, তেমনি কোনও ধরনের বাস্তু দোষ থাকলে তাও কাটতে শুরু করে। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, কোনও বাড়িতে যদি বাস্তু দোষ থাকে, তাহলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা যেমন থাকে, তেমনি পরিবারে অশান্তি এবং কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাকেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাহলে বন্ধু এবার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন ড্রিম ক্যাচার বাড়িতে এনে রাখার প্রয়োজন কতটা!