Just In
- 3 hrs ago প্রেম জীবনে উত্তেজনা মেষ-তুলার, সতর্ক থাকতে হবে ৩ রাশিকে, দেখুন আজকের রাশিফল
- 19 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 20 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 22 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
এ বছর কালী পুজোর সময় রাশি অনুসারে এই নিয়মগুলি মেনে চললে দেখবেন হরেক উপকার পাবেই পাবেন!
এই প্রবন্ধে এমন কিছু অ্যাস্ট্রোলজিকাল উপায়ের উপর আলোকপাত করা হয়েছে, যেগুলি রাশি অনুসারে মেনে চললে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান যাই হোক না কেন, আপনাদের কোনও ক্ষতিই হবে না।
প্রায় প্রতিটি বাঙালির কাছেই কালী পুজোর গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ রং-আলোয় ভেসে বাজি ফাটানোর মজাই তো আলাদা। সেই সঙ্গে মাতৃশক্তির আরাধনা। অর্থাৎ আনন্দ এবং ভক্তির এমন মাহেন্দ্রক্ষণ বছরের আর কোনও সময় আসে বলে তো মনে হয় না। তাই তো এমন বিশেষ মুহূর্তকে স্পেশাল বানাতে কে না চায় বলুন। কিন্তু প্রশ্ন হল কীভাবে?
জ্যোতিষশাস্ত্র নিয়ে যারা চর্চা করেন, তাদের মতে কালী পুজোর সময় গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানে যে পরিবর্তন আসে, তার প্রভাবে কোনও কোনও রাশির জাতক-জাতিকার জীবন অনন্দে ভরে ওঠে, আর কারও কারও জীবনে নেমে আসে অমাবস্যার কালো ছায়া। কিন্তু তাই বলে ভয় পেয়ে যাওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ এই প্রবন্ধে এমন কিছু অ্যাস্ট্রোলজিকাল উপায়ের উপর আলোকপাত করা হয়েছে, যেগুলি রাশি অনুসারে মেনে চললে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান যাই হোক না কেন, আপনাদের কোনও ক্ষতিই হবে না। বরং মা কালী, লক্ষ্মী, কুবের দেব এবং গণেশ ঠাকুরের আশীর্বাদে জীবন তো অনন্দে ভরে উঠবেই, সেই সঙ্গে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতেও দেখবেন সময় লাগবে না।
প্রসঙ্গত, নানাবিধ বিপদ এড়াতে বছরের এই বিশেষ সময়ে যে যে নিয়মগুলি মেনে চলা জরুরি, সেগুলি হল...
১. মেষরাশি:
জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি একটা সাদা কাপড়ে অল্প পরিমাণে জাফরান, সঙ্গে চন্দন কাঠ রেখে কাপড়টা লকারে রেখে দিতে পারেন, দেখবেন কালী পুজো তো আনন্দে কাটবেই, সেই সঙ্গে এই ঘরোয়া টোটকাটির প্রভাবে আপনাদের আশেপাশে খারাপ শক্তির প্রভাব কেটে যাওয়ার কারণে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে উঠবে। ফলে অফুরন্ত সুখ-সমৃদ্ধির সন্ধান তো পাবেনই, সেই সঙ্গে বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতেও দেখবেন সময় লাগবে না।
২. বৃষরাশি:
এমন বিশ্বাস রয়েছে যে এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি কালী পুজোর দিন দুটি প্রদীপে গরুর দুধ থেকে তৈরি ঘি রেখে তাতে পলতে লাগিয়ে একসঙ্গে জ্বালান, তাহলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে মায়ের আশীর্বাদে যে কোনও সমস্যা মিটে যেতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হল প্রদীপ দুটো এক সঙ্গে জ্বালানোর আগে আলাদা আলাদা রাখবেন। জ্বালানোর সময় যা চান, তা মনে মনে বলে প্রদীপ দুটো জ্বালাবেন। এমনটা করলে দেখবেন সুফল পাবেই পাবেন...!
৩. মিথুনরাশি:
আপনাদের মনের মণিকোঠায় সাজানো ছোট-বড় সব স্বপ্ন পূরণ হোক, এমনটা যদি চান, তাহলে কালী পুজোর দিন একটা নারকেল, মা লক্ষ্মীর ছবি বা মূর্তির সামনে নিবেদন করে এক মনে মায়ের কাছে নিজের মনের সব কথা জানান, সেই সঙ্গে ১০৮ বার মা লক্ষ্মীর যে কোনও মন্ত্র জপ করুন। এরপর নারকেলটা একটা লাল কাপড়ে মুড়িয়ে পরিষ্কার একটা জায়গায় রেখে দিন। যখন দেখবেন মনের ইচ্ছা পূরণ হতে শুরু করেছে, তখন নারকেলটা যে কোনও মা লক্ষ্মীর মন্দিরে গিয়ে দান করে দিতে হবে।
৪. কর্কটরাশি:
এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি হলুদ রঙের ত্রিভুজ আকারের একটা পতাকা বিষ্ণু মন্দিরের চূড়ায় লাগান এবং এক বছর পর্যন্ত সেটা সেখানেই রাখেন, তাহলে খারাপ সময় কেটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ভাগ্যের সাহায্য পাওয়ায় কর্মক্ষেত্রে থেকে সামাজিক জীবন, সবক্ষেত্রেই যেমন সম্মান বৃদ্ধি পাবে, তেমনি অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতেও সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত, যাদের পক্ষে বিষ্ণু মন্দিরে এমন পতাকা ওড়ানো সম্ভব নয়, তারা দেবের পায়ের সামনে রেখে দিন পতাকাটা। তবে খেয়াল রাখবেন এক বছর যেন কেউ সেই পতাকাটা না সরিয়ে নেন।
৫. সিংহরাশি:
জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি কালী পুজোর দিন বাড়ির সদর দরজার সামনে ঘিয়ের একটা প্রদীপ জ্বালান এবং সারা রাত যদি সেটাকে জ্বলতে দেন, তাহলে মা কালী এবং লক্ষ্মীর আশীর্বাদে অনেক অনেক টাকায় পকেট ভরে উঠতে দেখবেন সময় লাগবে না। সেই সঙ্গে পরিবারে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগবে। ফলে গৃহস্থের অন্দরে কোনও ধরনের কলহ বা ঝামেলা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও যাবে কমে।
৬. কন্যারাশি:
হাজারও চেষ্টার পরেও কি টাকা সঞ্চয় করে উঠতে পারছেন না? সেই সঙ্গে পরিবারিক ঝামেলার কারণে কি মানসিক শান্তি দূরে পালিয়েছে? তাহলে বন্ধু এ বছর কালী পুজোর দিন লাল কাপড়ে কয়েকটি শ্রী ফল রেখে লকারে রেখে দিন। এমনটা করলে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত সব ঝামেলা তো মিটবেই, সেই সঙ্গে হারিয়ে যাওয়া মানসিক শান্তিও ফিরে আসতে দেখবেন সময় লাগবে না। শুধু তাই নয়, এই টোটকাটিকে কাজে লাগালে মায়ের আশীর্বাদে নানাবিধ গ্রহদোষও কেটে যাবে চোখের পলকে।
৭. তুলারাশি:
কালী পুজোর দিন এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি পদ্ম ফুলের মূল দিয়ে বানানো মালা, যাকে কমল গাট্টাও বলা হয়ে থাকে, তা মা লক্ষীর পায়ের সামনে রেখে এক মনে দেবীর নাম নেন, তাহলে অর্থনৈতিক উন্নতি তো ঘটেই, সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা লাভের পথও প্রশস্ত হয়। প্রসঙ্গত, মা লক্ষীর পুজোর পর মালাটা একটা লাল কাপড়ে মুড়িয়ে সেটি যদি টাকার লকারে রেখে দেন, তাহলে আরও উপকার মেলার সম্ভাবনা বাড়বে কিন্তু!
৮. বৃশ্চিকরাশি:
এখন যা মাইনে পাচ্ছেন, তাতে কি খুশি নন? এদিকে হাজারো চেষ্টার পরেও কি মাইনে বাড়ছে না? তাহলে এবছর কালী পুজোর দিন খেয়াল করে যে কোনও মন্দিরে দুটো কলা গাছ পুঁততে হবে আপনাদের। খেয়ালও রাখতে হবে। কিন্তু ভলেও সেই দুটি গাছের ফল যেন খাবেন না! এমনটা করলে দেখবন অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটবেই ঘটবেই।
৯. ধনুরাশি:
একটা পান পাতার উপরে সিঁদুর দিয়ে মা লক্ষ্মীর নাম লিখে কালী পুজোর দিন মায়ের পায়ে ছুঁইয়ে নিজের কাছে রেখে দিন। খেয়াল রাখবেন কোনও ভাবেই যাতে পাতাটা ছিঁড়ে না যায়। আর কালী পুজোর পর গারুকে পান পাতাটা খাইয়ে দেবেন। এমনটা করলে খারাপ শক্তির প্রভাবে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমবে, তেমনি কোনও ধরনের গ্রহদোষ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনাও আর থাকবে না।
১০. মকররাশি:
এবছর কালী পুজোটা আনন্দে কাটুক, এমনটা চান নাকি? তাহলে ৬ নভেম্বর, কালী পুজোর দিন একটা শ্রীফল, লাল কাপড়ে জড়িয়ে বাড়ির ঠাকুর ঘরে রেখে দিন। এমনটা করলে কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন কমবে, তেমনি টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝামেলা মিটে যেতেও দেখবেন সময় লাগবে না। শুধু তাই নয়, ধীরে ধীরে সঞ্চয়ও বাড়বে।
১১. কুম্ভরাশি:
মা লক্ষ্নীর আশীর্বাদে ৩০ পেরতে না পরেতেই কি অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে চান, তাহলে কালী পুজোর দিন রাত্রে নারকেলের খোলায় পরিমাণ মতো ঘি নিয়ে একটি প্রদীপ জ্বালেতে ভুলবেন না যেন!
১২. মীনরাশি:
কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের পাশাপাশি অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে কালী পুজোর দিন থেকে প্রতিদিন মা লক্ষ্মীর সামনে ধুপ জ্বালাতে হবে। সেই সঙ্গে শুক্রবার করে লক্ষ্মী মন্ত্র পাঠ করার মধ্যে দিয়ে দেবীর অরাধনা করতে হবে। এমনটা যদি করতে পারেন, তাহলে দেখবেন সুফল পাবেন একেবারে হাতে-নাতে!