Just In
বাস্তু নিয়ম না মেনে যদি বাড়ি-ঘর সাজান তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ...!
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে ঘর সাজানোর সময় প্রতিটি ক্ষেত্রে বাস্তুশাস্ত্রে উল্লেখিত নিয়মগুলি মেনে চলা উচিত। না হলে কিন্তু গৃহস্থের অন্দরে অশান্তি বাড়বে। সেই সঙ্গে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটে।
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে ঘর সাজানোর সময় প্রতিটি ক্ষেত্রে বাস্তুশাস্ত্রে উল্লেখিত নিয়মগুলি মেনে চলা উচিত। না হলে কিন্তু গৃহস্থের অন্দরে অশান্তি বাড়বে। সেই সঙ্গে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও যাবে বেড়ে। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও বাড়তে থাকে। এমন সব খারাপ ঘটনা আপনার সঙ্গেও ঘটুক, এমনটা যদি না চান, তাহলে কিন্তু এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
কেন কী এমন আছে এই প্রবন্ধে, যা এতটা গুরুত্বপূর্ণ! আসলে এই লেখায় এমন কতগুলি বাস্তু নিয়মের উপর আলোকপাত করা হল, যা মেনে চললে হঠাৎ করে খারাপ কিছু ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা যেমন কমবে, তেমনি গৃহস্তের অন্দরে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগবে, ফলে জীবন অনন্দে ভরে উঠবে। বাড়বে সাফল্য লাভের আশাও।
প্রসঙ্গত, ঘর-বাড়ি সাজানোর সময় যে যে নিয়মগুলি মেনে চলা জরুরি, সেগুলি হল...
১. বিছানা কোথায় রাখতে হবে?
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে শোয়ার ঘরে বিছানা রাখতে হবে দক্ষিণ-পশ্চিম কোনে। কারণ এই নিয়মটি মানলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্কের যেমন উন্নতি ঘটবে। তেমনি গৃহস্থের অন্দরে নেগেটিভ শক্তির প্রকোপ কমতে থাকবে। ফলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা যাবে কমে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তা হল বাড়ির অন্দরে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথকে প্রশস্ত করতে ঘরের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে কোনও আসবাব রাখবেন না যেন!
২. আলমারি:
এমনটা বিশ্বাস করা হয়, যে আলমারিতে টাকা-পয়সা বা মূল্যবান জিনিস রাখা হয়, সেটি যদি বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রাখা যায়, তাহলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। ফলে পকেট ভর্তি টাকা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না।
৩. জুতো কোথায় রাখবেন:
অনেকেই বাড়ির এদিকে সেদিক জুতো রেখে থাকেন। কেউ কেউ তো বাড়ির সদর দরজার ভিতরে এবং বাইরেও জুতে রাখার ভুল কাজটি করে থাকেন। সুখি গৃহস্থের স্বপ্ন যদি দেখে থাকেন, তাহলে বাড়ির এইসব জায়গায় ভুল করেও জুতো রাখবেন না। পরিবর্তে বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রাখতে হবে জুতোর আলমারি। এমনটা করলে খারাপ কিছু ঘটার আশঙ্কা কমবে।
৪. সোফা এবং চেয়ার:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাস্তু নিয়ম মেনে যদি গৃহস্থকে সাজিয়ে তোলেন, তাহলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা হ্রাস পায়। তাই তো সবাইকেই এই নিয়মগুলি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। যেমন ধরুন বাস্তু দোষ কাটাতে লিভিং রুমে রাখা চেয়ার এবং সোফা সেট দক্ষিণমুখে অথবা পশ্চিম দিকে রাখতে হবে। তাহলেই দেখবেন সুখ-শান্তির ছোঁয়া লাগবে বাড়িতে।
৫. কোথায় রাখতে হবে ডাইনিং টেবিল:
কেউ কেউ রান্না ঘরে, তো কেউ লিভিং রুমের এক কোণে ডাইনিং টেবিল রেখে থাকেন। এমনটা করা কি উচিত? বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির উত্তর-পশ্চিম দিকে যদি খাওয়ার টেবিল রাখতে পারেন, তাহলে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়।
৬. গ্যাস স্টোভ, মাইক্রোওয়েভ এবং ওভেন:
এই সব উপকরণগুলি রাখতে হবে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মুখ করে। কেন এমনটা করতে হবে? আসলে বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদের বাড়ির অন্দরে থাকা প্রতিটি জিনিস কোন জয়গায়, কীভাবে রাখা হয়েছে তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে থাকে। যেমন ধরুন ঠিক ঠিক জায়গায় যদি ঠিক ঠিক জিনিস রাখা না যায়, তাহলে গৃহস্থের অন্দরে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে।
৭. এসি এবং ফ্রিজ:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এইসব উপকরণগুলি যদি বাড়ির উত্তর-পশ্চিম দিকে রাখা যায়, তাহলে নেগেটিভ শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা কমে।
৮. মূর্তি এবং ছবি:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে ঝর্না, ফুল এবং সূর্যদয়ের মতো ছবি বাড়িতে রাখা বেজায় শুভ। কিন্তু ভুলেও যুদ্ধ সম্পর্কিত কোনও ছবি বা মূর্তি রাখা চলবে না। বিশেষত মহাভারত এবং রামায়ণে উল্লেখিত যুদ্ধের ঘটনা সম্পর্কিত কোনও ছবি রাখা চলবে না। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই ধরনের ছবি বাড়িতে নেগেটিভ শক্তির প্রকোপ বাড়িয়ে তোলে। ফলে নানাবিধ সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা যায় বেড়ে।
৯. ঠাকুরের মূর্তি:
খেয়াল করে দেখবেন অনেকেই লিভিং রুম এবং শোয়ার ঘরে নানা ডিজাইনের ঠাকুরের মূর্তি রেখে থাকেন। অনেকে তো ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে নানা ধরনের বুদ্ধ মূর্তিও রেখে থাকেন। এমনটা করা উচিত নয়, কারণ ঠাকুরের মূর্তি রাখতে হবে ঠাকুর ঘরে। এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হল শোয়ার ঘরে ভুলেও ঠাকুরের মূর্তি রাখা চলবে না। কারণ এমনটা করলে নানাবিধ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যাবে বেড়ে।