Just In
- 4 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 5 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 9 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 10 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
ঝুট-ঝামেলার মধ্যেও আনন্দে থাকতে চান? তাহলে দালাই লামার এই বক্তব্যগুলি মনে গেঁথে নিন
রাগ হল আমার প্রধান প্রতিপক্ষ। তাই একে হারানো আমাদের প্রথম কাজ।
চারিদিকে যেন শুধু অন্ধকার। ক্ষোভ, ঘৃণা এবং স্বার্থপরতার করাল আঘাতে আজ মানবিকার মৃত্যু ঘটেছে। এমন পরিস্থিতে সুখে থাকাটাই যেন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ সবাই অসুখি। কেউ প্রতিবেশির উন্নতিতে অখুশি, তো কেউ প্রচুর টাকা কামাতে না পেরে দুখি। এমন পুঁজিবাদি, লোভী মানসিকতার মধ্যে আনন্দে থাকাটা যেন লড়াইয়ের সমান হয়ে উঠেছে। তবু বলব, এত কিছুর মাঝেও মনকে ভাল রাখা সম্ভব। এক্ষেত্রে অন্ধকারে দীপ জ্বালাতে পারে একজন মানুষই তো। তিনি হলেন দালাই লামা। তাঁর বলা প্রতিটি কথা যেন এক একটা মহৌষধি, যা মনের অন্ধকার দূর করে খুশির সূর্যদয় ঘটায়। তাই তো আজ এই প্রবন্ধে এই মহান ব্যক্তিত্বের বলা এমন ২০ টি বক্তব্যকে তুলে ধরা হল, যা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চললে রুক্ষ জীবনে আনন্দের বারি বর্ষণ হবেই হবে। সেই সঙ্গে মানব জীবন খুঁজে পাবে তার সঠিক অর্থ।
রাগের সঙ্গে লড়াইয়ে জিতবেন কীভাবে?
১. রাগ হল আমার প্রধান প্রতিপক্ষ। তাই একে হারানো আমাদের প্রথম কাজ।
২. আমরা তখনই খুশি থাকবে, যখন মন ঠান্ডা থাকবে, যেখানে রাগের কোনও অস্তিত্ব থাকবে না।
৩. আমাদের খুশি, ভাল থাকা সবই এক নিমেষে নষ্ট হয়ে যেতে পারে রাগের কারণে। রাগ একটা আগুন, যা সব কিছু চোখের পলকে নষ্ট করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
৪. রাগের জন্ম হয় কেন? দালাই লামা বলছেন, সন্তুষ্টি থেকেই রাগের জন্ম হয়। তাই লোভকে নিয়ন্ত্রণে আনাটা জরুরি।
৫. প্রতিপক্ষই আমাদের ধৈর্য বাড়ায়। তাই আপনাকে কেউ ঘৃনা করলে মন খারাপ করবেন না। ভাববেন সে অজান্তে আপনার ভালই করছে।
৬. মানুষের সঙ্গে মিশবেন মানবিকতার নজর নিয়ে। কারও প্রতি রাগ মনে পুষে রাখবেন না।
আনন্দে ভরা জীবনের চাবিকাঠি কি?
১. প্রতিটি মানুষের অন্দরেই সেই ক্ষমতা, সেই আগুন রয়েছে যা শুধুমাত্র নিজেদের জীবনকে নয়, আশেপাশের প্রতিটি মানুষদের জীবনকে সুন্দর করে তুলতে পারে। এর জন্য চাই শুধু মনের ইচ্ছা।
২. যে কোনও কিছুরই একটা শৃঙ্গ রয়েচে। তবে সময় সময় সেই উচ্চতায় পৌঁছানোর চেষ্টা না করে মাঝামাঝি রাস্তা নেওয়াই ভাল।
৩. তৃপ্তিই হল খুশির চাবাকাঠি। যা পয়েছেন তাতেই খুশি থাকতে শিখলে দুঃখের জালে জড়িয়ে পরার কোনও আশঙ্কাই থাকে না।
৪. নিজের মনের ভাবনা বা দৃষ্টিভঙ্গির উপর ভরসা রাখুন। সব ক্ষেত্রেই অন্যের মতামত নিতে যাবেন না।
৫. ভাল ব্যবহার করুন সবার সঙ্গে। যত মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করবেন, তত নিজের জীবন সুন্দর হয়ে উঠবে, জীবনে আসবে শান্তি।
মৃত্যু ভয়!
১. শরীর থাকলে রোগ হবেই। তাই রোগকে গ্রহন করুন। এই নিয়ে বেশি ভাববেন না। তাতে শরীরের পাশাপাশি মনকষ্টও বাড়বে।
২. জীবন যখন পয়েছেন, তখন এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন যেতেই হবে। এই সহজ সত্যটাতে যত তাড়াতাড়ি মেন নেবেন, তত মন শান্ত হবে।
৩. দুঃখজনক ঘটনা আমাদের মন খারাপ করিয়ে দেয়। কিন্তু একই সঙ্গে মনের জোরও বাড়ায়। তাই বাজে কিছু ঘটলে ভাববেন, ভালই হয়েছে এমনটা হয়েছে। কারণ এই নেতীবাচক ঘটনার কারণে আপনি মনের দিক থেকে আরও বেশি ক্ষমতাবান হয়ে উঠেছেন।
৪. কষ্ট পেলে তবেই জীবনের শিক্ষা পাওয়া যায়, যা এগিয়ে যেতে আমাদের সাহায্য করে।
৫. কোনও সমস্যা দেখা দিলে নান দিক থেকে ভাবুন কীভাবে সেই সমস্যার সমাধান করা যায়। এমনটা করলে মানসিক চাপ কমবে। সমাধানও মলবে তাড়াতাড়ি।
দেওয়া-নেওয়াই তো জীবন:
১. সহানুভূতি জীবনের সবথেকে মূল্যবান সম্পদ।
২. আপনি যত দয়াবান হবেন, তত নিজের থেকে বাকি মানুষদের কথা আপনি বেশি ভাবেন। এইভাবে সমাজে আপনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে আপনার মনের শান্তিও।
৩. আপনি কোন কোন কারণে মানুষের মধ্যে পার্থক্য় করেন? সেই কারণগুলি খুঁজে বার করুন। তারপর সেগুলিকে দূরে সরিয়ে রেখে এগতে থাকুন। তাহলেই দেখবেন মুচি-মেথর সবাই আপনার কাছে সমান হয়ে উঠবে।
৪. মানুষের কথা যত ভাববেন, তত সবার সঙ্গে একসঙ্গে থাকতে পারবেন, কাজ করতে পারবেন। আর যত মানুষের মধ্যে থাকবেন, তত দুঃখ আপনার থেকে দূরে পালাবে।
৫. ভালবাসার উপর দাড়িয়েই কিন্তু প্রকৃত বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। পয়সা বা ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে বেড়ে ওঠা বন্ধুত্ব একেবারেই দীর্ঘমেয়াদি হয় না।