Just In
- 7 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 8 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 10 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 12 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
কোনও খারাপ ঘটনা ঘটুক এমনটা যদি না চান তাহলে বাড়ির এই সব জায়গায় ভুলেও আয়না রাখবেন না যেন!
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে গৃহস্থের অন্দরে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে আয়নার গুরুত্বকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। তাই তো ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে যদি বাড়িতে আয়না রাখা না যায়, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ!
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে গৃহস্থের অন্দরে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে আয়নার গুরুত্বকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। তাই তো ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে যদি বাড়িতে আয়না রাখা না যায়, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ! সেক্ষেত্রে নেগেটিভ শক্তির প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠতেও সময় লাগবে না।
এবার বুঝেছেন তো আপাত দৃষ্টিতে যাকে কেবল ঘর সাজানোর উপকরণ হিসেবে বিবেচিত করা হয়ে থাকে, সেটির গুরুত্ব কতটা! প্রসঙ্গত, বাস্তুশাস্ত্রর উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে আয়নাকে ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে ব্যবহার করা গেলে শুভশক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় যে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে সুখ-শান্তির ঝাঁপিও ভরে ওঠে। ফলে অনন্দের ছোঁয়া লাগে জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে।
এখন প্রশ্ন হল নেগেটিভ শক্তিকে ভাগাতে বাড়ির কোথায় কোথায় আয়না লাগাতে হবে এবং কোথায় নয়?
১. সুখ শান্তি বজায় রাখতে:
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে এবং গৃহস্থের অন্দরে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে শোওয়ার ঘর এবং বাথরুমে আয়না রাখা মাস্ট। কারণ এমনটা করলে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়াতে থাকে। ফলে বৈবাহিক সম্পর্কের অবনতি ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, বাচ্চাদের ঘরে এমন জায়গায় আয়না রাখতে হবে, যাতে পড়ার সময় তাদের চোখ সেদিকে না যায়।
২. উত্তর-পূর্ব দিকে নৈব নৈব চ:
বাস্তুশাস্ত্র মতে সুখ-সমৃদ্ধির সন্ধান যদি পেতে চান, তাহলে আয়না বা কাঁচের কোনও সোপিস বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে রাখতে হবে। এমন জিনিস ভুলেও রাখা চলবে না দক্ষিণ দিকে। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখবেন বাড়ির সদর দরজার একেবারে সামনে যেন আয়না না থাকে। কারণ এমনটা হলে গৃহস্থের অন্দরে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ফলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে।
৩. ড্রেসিং টেবিল রাখার নিময়:
বাস্তুবিশেষজ্ঞদের মতে বড় আয়না রয়েছে এমন ড্রেসিং টেবিল বিছানার পাশে রাখা উচিত। কারণ এমনটা করা বেজায় শুভ লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত করা হয়ে থাকে।
৪. আলমারি রাখতে হবে আয়নার একেবারে বিপরীত দিকে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, যে আলমারিতে টাকা বা মূল্যবান জিনিস রাখা হয়, সেই আলমাড়ি যদি আয়নার বিপরীতে রাখা হয়, তাহলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক বাঁধাও সরে যায়। ফলে পকেট ভর্তি টাকার মালিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয়।
৫. একটা আয়নার বিপরীতে আরেকটা আয়না রাখা চলবে না:
বাস্তু নিয়মের উপর লেখা বেশ কিছু প্রাচীন বই অনুসারে একটা আয়নার বিপরীতে আরেকটা আয়না রাখলে বাড়িতে অস্তিরতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে লেজুড় হয় নেগেটিভ শক্তি। আর এমনটা হলে কী হতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না।
৬.রান্না ঘরে ভুলেও আয়না নয়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে আয়না হল জলের প্রতীক। তাই তো রান্না ঘরে রাখা আয়নায় যদি আগুনের প্রতিবিম্ব ফুটে ওঠে, তাহলে বেজায় বিপদ! কারণ জল এবং আগুন পরস্পর বিরোধী। তাই তো এমনটা হলে খারাপ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ফলে নানাবিধ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে।
৭. আয়না হতে হবে গোলাকার:
ফেংশুই এবং বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়িতে রাখা প্রতিটি আয়না যেন চৌকো বা গোলাকার হয়। কারণ এমনটা হলে শুভ শক্তির প্রভাব বাড়তে থাকে। ফলে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতে সময় লাগে না।
৮. মাটির থেকে ৪-৫ ফিট উপরে:
কোনও ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন হতে যদি না চান, তাহলে খেয়াল রাখবেন বাড়ির অন্দরে থাকা প্রতিটি আয়না যেন মাটির থেকে কম করে ৪-৫ ফিট উপরে থাকে। কারণ এমনটা না হলে পজেটিভ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করে। ফলে জীবন পথে নানাবিধ বাঁধা আসার সম্ভাবনা যায় বেড়ে।
৯. খাওয়ার টেবিলের সামনে আয়না রাখতেই হবে:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে খাওয়ার টেবিলের প্রতিবিম্ব আয়নার ফুটে উঠলে কোনও দিন খাবার অভাব ঘটে না। শুধু তাই নয় অর্থনৈতিক উন্নতি লাভের সম্ভাবনা এতটা বেড়ে যায় যে দারিদ্রতা ধারে কাছেও ঘেঁষার আশঙ্কাও যায় কমে।