Just In
- 50 min ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 1 hr ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 3 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 7 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
জন্ম তারিখ, মাস এবং রাশি অনুযায়ী কোন দেব-দেবীর পুজো করলে বেশি উপকার মিলতে পারে জানা আছে?
জন্ম তারিখ, রাশি এবং মাস অনুযায়ী ইষ্ট দেবতা নির্বাচন না করে যদি অন্ধের মতো কোনও দেব-দেবীর পুজো করা হয়, তাহলে কোনও সুফল তো মেলেই না। উল্টে সময় নষ্ট হয়।
শুনতে আজব লাগছে নিশ্চয়! কিন্তু জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে জন্ম তারিখ, রাশি এবং মাস অনুযায়ী ইষ্ট দেবতা নির্বাচন না করে যদি অন্ধের মতো কোনও দেব-দেবীর পুজো করা হয়, তাহলে কোনও সুফল তো মেলেই না। উল্টে সময় নষ্ট হয় মাত্র। আর যদি আপনার জন্মের সঙ্গে কোন দেবের যোগ রয়েছে, তা জেনে নিয়ে যদি সেই মতো সর্বশক্তিমানের আরাধনা করতে পারেন, তাহলে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি জীবনের প্রতিটি দিন আনন্দে ভরে ওঠে। শুধু তাই নয়, কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কাও যায় কমে।
তাই তো বলি বন্ধু নানাবিধ উপকার পেতে জন্ম মাস, তারিখ এবং রাশি অনুসারে কোন দেব-দেবীর আরাধনা করা উচিত, সে সম্পর্কে জেনে নিতে এক্ষুনি এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, জন্ম মাস অনুসারে যে যে দেব-দেবীর আরাধনা করা উচিত, তাঁরা হলেন...
১. জানুয়ারি এবং নভেম্বর:
এই মাসে যারা জন্মেছেন তাদের শিব ঠাকুর অথবা গণেশ ঠাকুরের আরাধনা করা উচিত। আর যদি উভয়েরই পুজো করতে পারেন, তাহলে তো কোনও কথাই নেই!
২. ফেব্রয়ারি:
যাদের জন্মদিন এই মাসে তাদের প্রতি সোমবার শিব ঠাকুরের পুজা করা উচিত। সেই সঙ্গে যদি নিয়মিত ১০৮ বার "ওম নমঃ শিবায়", মন্ত্রটি জপ করতে পারেন, তাহলে নানাবিধ উপকার পেতে সময় লাগবে না। বিশেষত, খারাপ শক্তির প্রভাব কেটে যাওয়ার কারণে কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন কমবে, তেমনি রোগ-ব্যাধিও দূরে পালাবে চোখের পলকে। ফলে আয়ু বাড়বে চোখে পরার মতো।
৩. মার্চ এবং ডিসেম্বর:
বিশেষজ্ঞদের মতে এদের প্রতিদিন ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করা উচিত, বিশেষত বৃহষ্পতিবার। কারণ শাস্ত্র মতে সপ্তাহের এই বিশেষ দিনে যদি সর্বশক্তিমানের আরাধনা করা যায়, তাহলে বেশি মাত্রায় উপকার মেলে।
৪. এপ্রিল, সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর:
এই মাসে যাদের জন্ম তারা যদি গণেশ ঠাকুরের আরাধনা করেন, তাহলে সবথেকে বেশি উপকতার মেলে।
৫. মে এবং জুন:
যাদের জন্ম মাস মে অথবা জুন, তাদের মাতৃ শক্তির আরাধনা করা উচিত। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এরা যদি এক মনে মা দুর্গা, কালী অথবা ভগবতীর আরাধনা করেন, তাহলে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না।
৬. জুলাই এবং আগষ্ট:
বিশেষজ্ঞদের মতে এই মাসে যারা জন্মেছেন, তাদের নিয়ম করে ভগবান বিষ্ণু এবং গণেশ ঠাকুরের আরাধনা করা উচিত।
জন্ম তারিখ অনুযায়ী যে যে দেব-দেবীর আরাধনা করতে হবে...
১. রবিবার:
এদিন যারা জন্মেছেন, তাদের চোখ বুজে বিষ্ণু দেবের আরাধনা করা উচিত।
২. সোমবার:
সপ্তাহের এই বিশেষ দিনটি হল দেবাদিদেব শিবের দিন। তাই তো সোমবার যারা জন্মেছেন তারা যদি এক মনে শিবের আরাধনা করেন, তাহলে জীবন আনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগবে না।
৩. মঙ্গলবার:
সোমবার যেমন শিব ঠাকুরের দিন, তেমনি শাস্ত্র মতে সপ্তাহের এই দিনটি হল হনুমানজির আরাধনা করার দিন। তাই তো এদিন যারা জন্মেছেন, তারা যদি সারা জীবন সুখে-শান্তিতে কাটাতে চান, তাহলে হনুমানজির আরাধনা করতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, প্রতি মঙ্গলবার ১০৮ বার হনুমান চল্লিশা যদি পাঠ করতে পারেন, তাহলে আরও বেশি মাত্রায় উপকার মিলবে।
৪. বুধবার:
এদিন যারা জন্মেছেন, তাদের গণেশ ঠাকুরের পুজো করা উচিত। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি বুধবার "ওম গাম গণপাতায়া নমহ", এই মন্ত্রটি জপ করতে করতে যদি বাপ্পার আরাধনা করা যায়, তাহলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতার স্বাদ মেলে।
৫. বৃহষ্পতিবার:
যাদের জন্মদিন বৃহষ্পতিবার, তাদের শিব ঠাকুরের আরাধনা করা উচিত।
৬. শুক্রবার:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে সপ্তাহের এদিন যারা জন্মেছেন, তারা যদি মাতৃশক্তির আরাধনা করেন, তাহলে দারুন উপকার মেলে।
৭. শনিবার:
জন্মবার যদি শনিবার হয়, তাহলে কাল ভৈরবের আরাধনা করতে হবে। এমনটা করলে দেখবেন যে কোনও ধরনের সমস্যা এবং বিপদ কেটে যেতে সময় লাগবে না, সেই সঙ্গে ভাগ্যও ফিরে যাবে। ফলে সুখে-শান্তিতে ভরে উঠবে জীবন।
রাশি অনুযায়ী কোনও কোন দেব-দেবীর আরাধনা করা উচিত?
১. মেষরাশি:
এই রাশির জাতক-জাতিকাদের ভগবান বিষ্ণু অথবা সূর্য দেবের আরাধনা করা উচিত।
২. বৃষরাশি:
আপনাদের ইষ্ট দেবতা হল গণেশ ঠাকুর। তাই প্রতি বুধবার বাপ্পাকে তুষ্ট করতে বিশেষ পুজোর আয়োজন করতে ভুলবেন না যেন!
৩. মিথুনরাশি:
জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের প্রতিদিন দেবী সরস্বতী, মা তারা এবং মা লক্ষ্মীর আরাধনা করতে হবে।
৪. কর্কটরাশি:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি হনুমানজির আরাধনা করেন, তাহলে দারুন সব উপকার মেলে। বিশেষত মঙ্গলবার মারুথির সারা শরীরে সিঁদুর লাগিয়ে যদি পুজো করতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই!
৫. সিংহরাশি:
এই রাশির জাতকদের ইষ্ট দেবতা হল ভগবান শিব। তাই তো প্রতি সোমবার বেল পাতা, চন্দন এবং ধুতরো ফুল দিয়ে দেবাদিদেবের আরাধনা করতে ভুলবেন না যেন!
৬. কন্যারাশি:
কাল ভৈরব, হনুমানজি এবং কালি মা, এই তিন দেব-দেবী কন্য়ারাশিকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তাই তো এই রাশির জাতক-জাতিকাদের নিয়মিত এই দেব-দেবীদের আরাধনা করা উচিত।
৭. তুলারাশি:
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে কন্যারাশির মতো তুলা রাশির জাতক-জাতিকাদেরও ইষ্ট দেবতা হল হনুমানজি এবং কালি মা। তাই তো প্রতি মঙ্গলবার হনুমানজির জন্য এবং শুক্রবার মায়ের জন্য বিশেষ পুজোর আয়োজন করতে ভুলবেন না যেন!
৮. বৃশ্চিকরাশি:
এদের ইষ্ট দেবতা হলেন ভগবান শিব। তাই তো প্রতি সোমবার বিশেষ পুজোর আয়োজন করার পাশাপাশি "ওম নমঃ শিবায়", মন্ত্রটি জপ করতে পারেন, তাহলে দেখবেন নানাবিধ উপকার মিলতে সময় লাগবে না।
৯. ধনুরাশি:
শাস্ত্র মতে এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি নিয়ম করে হনুমানজির আরাধনা করতে পারেন, তাহলে নানা উপকার মিলে চোখের পলকে।
১০. মকররাশি:
মা সরস্বতী, মা তারা এবং লক্ষ্মী দেবী হলেন এই রাশির নিয়ন্ত্রক। তাই তো নিয়ম করে মকর রাশির জাতক-জাতিকাদের এই দেবীদের আরাধনা করা উচিত।
১১. কুম্ভরাশি:
আপনি যদি কুম্ভরাশির জাতক হয়ে থাকেন, তাহলে সুখে-শান্তিতে থাকতে গণেশ ঠাকুরের আরাধনা রতে ভুলবেন না যেন!
১২. মীনরাশি:
এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি নিয়ম করে মা দূর্গা, রাধা এবং মা সীতার আরাধনা করেন, তাহলে যে কোনও ধরনের বিপদ কেটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার।