Just In
- 1 hr ago কাঠফাটা গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করবে এই ফলগুলি!
- 3 hrs ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 19 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
- 20 hrs ago গরম থেকে বাঁচতে দেদার খাচ্ছেন ডাবের জল? ডেকে আনছেন না তো বড় বিপদ!
নীল তিমির বিরোধীতায় এবার অমিতাভ বচ্চনও!
এই বিষয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন আমির খান। এবার সে দলে অমিতাভ বচ্চনও।
এই বিষয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন আমির খান। এবার সে দলে অমিতাভ বচ্চনও। ১৪ বছর বয়সি মানপ্রিত সিং সাহানির আত্মহত্যার পর ব্লু হোয়েল নামক ভিডিও গেমকে এদেশে নিষ্টিদ্ধ ঘোষণার সপক্ষে যে আন্দলন শুরু হয়েছিল তা দাবানলে পরিণত হয়েছে অমিতাভ বচ্চনের টুইটের পর। গতকাল বিগ বি তার অফিসিয়াল টুইটার একাউন্টে এই গেমটির বিরোধীতা করে বলেন, "রিডিং অ্যালার্মিং নিউজ অন আ ডেঞ্জারাস ইন্টারনেট গেম বিং প্লেড বাই দা ইয়ং! লাইফ ইজ গিভিন টু লিভ লট গিভ ইট আপ বিফোর টাইম!"
কী এই ব্লু হোয়েল গেম? কেনই বা যুব সমাজ এই গেমের ফাঁদে পরে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে? আমার-আপনার বাড়ির খুদেটার উপর এই গেমের কু প্রভাব পরার আগে চলুন এই বিষয়ে খোঁজ লাগানোর যাক!
২০১৩ সালে জন্ম:
ভিডিও গেমটি সোসাল মিডিয়ায় আসার পরই নড়ে-চড়ে বসেছিল সারা গেমিং দুনিয়া। কারণ গেমটা খুব অল্প সময়ে বাচ্চাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। শুধু তাই নয়, কারও কারওকে তো আত্মহত্যার পথেও ঠেলে দিয়েছিল। আসলে গেমটায় বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ একের পর এক আসতে থাকে, যা শেষ করতে করতে আগে এগোতে হয়। আর এই চ্যালেঞ্জগুলোই হল মারাত্মক। যার মধ্যে নিজের প্রাণ নিয়ে নেওয়াও একটা চ্যালেঞ্জ।
গেমটা ঠিক কেমন?
খেলাটির মূল বিষয় হল, গেমের যে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আছে সে প্রত্যেককে একটা করে চ্যালেঞ্জ দেবে। একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই চ্যালেঞ্জ পূরণ করতে হবে। প্রথম প্রথম সহজ চ্য়ালেঞ্জ আসতে থাকলেও এক সময় গিয়ে এমন কিছু চ্যালেঞ্জ দেওয়া হবে যার সঙ্গে প্রাণ সংশয়ের সরাসরি যোগ রয়েছে। যেমন ধরুন নিজের হাত কেটে ফেলা বা কোনও প্রাণীকে মারা, এমন ধরনের আর কী! আর সব শেষে আসবে আত্মহত্যা। মানে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার টাস্ক, যা করতে গিয়েই প্রাণ গেছে মানপ্রিত সিং-এর। তবে সে একা নয়। সারা বিশ্বজুড়ে এই মারণ গেমের ফাঁদে পরেছে আরও অনেক বাচ্চা।
প্রতি মুহূর্তে নজর রাখা হবে:
সবকটি চ্যালেঞ্জ শেষ করতে হবে ৫০ দিনের মধ্যে। আর প্রতিটি চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়িত করার সময় ফোটো তুলতে হবে অথবা ভিডিও করতে হবে যাতে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর দেখতে পারেন যে চ্য়ালেঞ্জটা ঠিক মতো হয়েছে কিনা।
কে বানিয়েছিল এই ভয়ঙ্কর গেমটি:
ফিজিওলজির ছাত্র ফিলিপ বুডেইকিন ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছিল চ্য়ালেঞ্জ পূরণকারি এই মারণ গেমকে। যার জন্য এখন সে জেলে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল যে কেউ চাইলেই নেটে গেমটি খেলতে পারবেন। তাই পিলিপকে জেলবন্দি করেও সার্বিক পরিস্থিতিতে কোনও পরিবর্তন আসেনি। বরং যত সময় যাচ্ছে তত যেন ভয় বাড়ছে। পাছে আমার বাচ্চাটা না এমন কোনও ভুল কাজ করে দেয়, এই ভয়ে মরছে বাবা-মায়েরা।
শুরুর দিনের গল্প:
চুরান্ত রায় দেওয়ার আগে জজ তাকে প্রশ্ন করেছিল এমন গেম সে কেন বানিয়েছে। উত্তরে ফিলিপ ভাবলেশহীনভাবে জানিয়েছিল, "চারিপাশ বায়োলজিকাল ওয়েস্টে ভরে গেছে। মানে এমন মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে যারা সমাজের উন্নতিতে কিছুই করে না। বরং প্রতিনিয়ত নানাভাবে মানুষের ক্ষতি করে চলেছে। তাদের এই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়ে সমাজকে পরিষ্কার করতেই আমি এই গেমটা বানিয়েছি।" একবার ভেবে দেখুন কতটা ভযঙ্কর ভাবনা থেকে জন্ম নিয়েছিল এই ভয়ঙ্কর গেমটা।
মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে:
রাশিয়ায় জন্ম নেওয়া এই গেমটি ইতিমধ্যেই ১৩০ জন ছেলে-মেয়ের প্রাণ নিয়ে নিয়েছে। তবু এখনও রক্ত ঝরছে, যে তালিকায় সম্প্রতি ভারতের নামও এসে গেছে। তাই সাবধান! দেখুন তো আপনার চেনা কেউ এই গেমটি খেলছে না তো!