Just In
- 1 hr ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 4 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 6 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 6 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
লোহার আংটি না পরলে কী কী বিপদ হতে পারে জানেন?
এই ধাতুটি দিয়ে বানানো রিং আঙুলে পরলে একদিকে যেমন একাধিক রোগ দূরে পালায়, তেমনি নানাবিধ গ্রহ এবং নক্ষত্রের খারাপ প্রভাবও কাটতে শুরু করে।
নানাবিধ ধাতু কি বাস্তবিকই আমাদের শরীর এবং মস্তিষ্কের উপর ভাল-মন্দ প্রভাব ফেলে থাকে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে যা জানতে পারলাম, তা বেজায় চমকপ্রদ!
একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে প্রতিটি ধাতু কোনও না কোনওভাবে আমাদের উপকারে লেগে থাকে। যেমন লোহার কথাই ধরুন না। এই ধাতুটি দিয়ে বানানো রিং আঙুলে পরলে একদিকে যেমন একাধিক রোগ দূরে পালায়, তেমনি নানাবিধ গ্রহ এবং নক্ষত্রের খারাপ প্রভাবও কাটতে শুরু করে। ফলে একদিকে যেমন শরীর রোগমুক্ত হয়ে ওঠে, তেমনি উন্নতি লাভের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে লোহা শরীরের সঙ্গে লেগে থাকলে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের সম্ভাবনা বাড়ে যায়, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভের পথও প্রশস্ত হয়। তাই অল্প দিনেই যদি অনেক টাকার মালিক হয়ে উটেত চান, তাহলে লোহর রিং পরতে ভুলবেন না যেন! তবে এখানেই শেষ নয়, ডান হাতে লোহার আংটি পরলে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন...
১. শনির দোষ কেটে যায়:
একথা নিশ্চয় সবারই জানা আছে যে কুষ্টিতে শনির দোষ দেখা দিলে সুখ-শান্তি দূরে পালায়, সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে এত মাত্রায় বাঁধার সম্মুখিন হতে হয় যে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, নানাবিধ রোগের আক্রমণে শরীরও ভাঙতে শুরু করে। এক কথায় জীবিত অবস্থায় নরক দর্শন হয়ে যায় শনির কুপ্রভাব পরলে। তাই তো শনিদেব ঠান্ডা করতে এই সময় ডান হাতের মধ্যমায় লোহার রিং পরার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এমনটা করলে যে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কমে যায়। সেই সঙ্গে শনির দোষ কাটতে থাকায় গৃহস্তের অন্দরে সুখ-শান্তির ছোঁয়া লাগতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, শনির দোষ কাটাতে মহিলাদের বাঁহাতের মধ্যমায় লোহার রিং পরতে হবে।
২. মন শান্ত হয়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে লোহার রিং পরলে মনের অন্দরে লুকিয়ে থাকা খারাপ চিন্তা দূরে পালাতে শুরু করে। সেই সঙ্গে স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটির প্রকোপও কমে। ফলে মন এবং মস্তিষ্ক তার হারিয়ে যাওয়া শান্তি ফিরে পায়। আর একবার মন শান্ত হয়ে উঠলে অফুরন্ত আনন্দের সন্ধান পেতে যে সময় লাগে না, তা বলাই বলাই বাহুল্য!
৩. কু-দৃষ্টির থেকে বেঁচে থাকা যায়:
আমাদের আশেপাশে এমন অনেকেই আছেন যারা প্রতি মুহুর্তে আমাদের ক্ষতি চাইছেন। এই ধরনের কু-দৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে লোহার আংটি পরা মাস্ট! কারণ শাস্ত্র মতে এই ধাতুটি খারাপ শক্তিকে ধারে কাছেও ঘেঁষতে দেয় না। সেই সঙ্গে কালো যাদুর কু-প্রভাবকেও ক্ষুন্ন করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
৪. গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়:
লোহা দিয়ে বানানো আংটি বা বালা পরলে নেগেটিভ এনার্জির প্রভাব যেহেতু কমতে শুরু করে, তাই স্বাভাবিকভাবেই গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়তে থাকে। ফলে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়। আর এমনটা হলে সফলতার স্বাদ পেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে অল্প দিনেই অনেক টাকার মালিক হয়ে ওটার স্বপ্নও পূরণ হয়।
৫. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে লোহার আংটি পড়া মাত্র শরীরের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে রক্তচাপ একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সেই সঙ্গে কমে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও। এই কারণেই তো যাদের পরিবারে উচ্চ রক্তচাপ এবং কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের ইতিহাস রয়েছে, তাদের লোহার আংটি বা বালা পরার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
৬. বডি পেন কমে:
বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে লোহার অংটির উপর সূর্য়ালোক পরার পর দেহের অন্দরে প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশনের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই যে কোনও ধরনের ব্যথা কমতে সময় লাগে না। বিশেষত পিঠ এবং পায়ের যন্ত্রণা কমাতে লোহার আংটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৭. ভয়ের খপ্পর থেকে মুক্তি মেলে:
আমরা সবাই কোনও না কোনও কারণে সারাক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকি, কি তাই না? কেউ চাকরি হারিয়ে ফেলার ভয়ে থাকেন, তো কেউ ভালবাসার মানুষটিকে হারানোর ভয়ে সিঁটিয়ে থাকেন। তবে কারণ যাই হোক না কেন, ভয় শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। তাই মনের অতলে লুকিয়ে থাকা ভয়কে সমূলে নিকেশ করতে কাজে লাগান লোহার আংটিকে। দেখবেন উপকার পাবেন।