Just In
আজকের দিনে সুখে-শান্তিতে থাকতে বাড়িতেই বাস্তু পিরামিড রাখা জরুরি কেন জানেন?
এই লেখায় এমন একটি জিনিসের সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা বাড়িতে রাখলে নেগেটিভ শক্তির মাত্রা তো কমবেই, সেই সঙ্গে বাস্তু দোষও কেটে যাবে।
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে কে কতটা খুশি থাকবেন, সেই সঙ্গে কতটা পাবেন সাফল্যের স্বাদ, তা অনেকাংশেই নির্ভর করে গৃহস্থের অন্দরে শুভ শক্তি অবস্থান করছে, না নেগেটিভ শক্তি তার উপর। আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে কোনও কারণে যদি খারাপ শক্তির প্রবেশ ঘটে যায়, তাহলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ারও আশঙ্কাও থাকে। আর সবথেকে ভয়ের বিষয় হল কার বাড়িতে নেগেটিভ শক্তির প্রবেশ ঘটেছে, আর কার বাড়িতে ঘটেনি, তা খালি চোখে বুঝে ওটা সম্ভব নয়। তাই তো সবারই প্রয়োজনীয় সাবধনতা অবলম্বন করা উচিত। কিন্তু জানেন কি কীভাবে নিজেকে নিরাপদে রাখবেন?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চোখ রাখতেই হবে এই প্রবন্ধে। কারণ এই লেখায় এমন একটি জিনিসের সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা বাড়িতে রাখলে নেগেটিভ শক্তির মাত্রা তো কমবেই, সেই সঙ্গে বাস্তু দোষও কেটে যাবে। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পাবে চোখে পরার মতো। শুধু তাই নয়, মিলবে আরও উপকার।
এত দূর পড়ার পর নিশ্চয় জানতে ইচ্ছা করছে কি এমন বিষয়ের সম্পর্কে আলোচনা করা হবে এই প্রবন্ধে, যা এত কাজে আসে! আসলে বন্ধু এই লেখায় বাস্তু পিরামিডের গুনাগুণ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। বিশেষজ্ঞদের মতো ছোট্ট এই সো-পিসটি বাড়িতে রাখলে পরিবারে সুখ-শান্তির ছোঁয়া তো লাগেই। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতিও ঘটে চোখে পরার মতো। মেলে আরও অনেক উপকার। তাই তো বলি বন্ধু এই মানব জীবনকে যদি সার্থক করতে হয়, তাহলে ছোট্ট একটা বাস্তু পিরামিড কিনে এনে বাড়িতে রাখতে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, এই শো-পিসটি বাড়িতে রাখলে সাধারণত যে যে উপকারগুলি পাওয়া যায়, সেগুলি হল...
১. পরিবারে সুখ-সান্তি বজায় থাকে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোনে যদি বাস্তু পিরামিড রাখা যায়, তাহলে গৃহস্থের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে। সেই সঙ্গে গৃহস্থের অন্দরে কোনও ধরনের অশান্তি বা কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও যায় কমে।
২. অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়:
শুনতে আজব লাগলেও এ ধারণার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে শোওয়ার ঘরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোনে পিরামিড রাখলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়। আসলে এমনটা করলে ঘরের অন্দরে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে বেড রুমের পরিবেশেও পরিবর্তন আসে, যার প্রভাবে ইনসমনিয়ার মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধুরা যারা রাতের পর রাত জেগে কাটান, তারা আজই এই শো-পিসটি বাড়িতে এনে রাখুন। এমনটা করলে যে উপকার পাবেনই, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই!
৩. এনার্জির ঘাটতি দূর করে:
অল্পতেই আজকাল ক্লান্ত লাগছে নাকি বন্ধু? তাহলে বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোনে এই পিরামিডটি এনে রাখুন। তারপর দেখুন কী হয়! আসলে এমনটা করলে ধীরে ধীরে শরীরের ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এনার্জির ঘাটতি দূর হতে সময় লাগে না।
৪. কর্মক্ষেত্রে উন্নতি ঘটে:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে অফিস ডেস্কে একটি পিরামিড এনে রাখলে অফিস স্পেসে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে কাজের মান এতটা বেড়ে যায় যে পদন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, বাচ্চাদের পড়ার ঘরে এই শো-পিসটি রাখলেও দারুন উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে পড়াশোনায় তো উন্নতি ঘটেই, সেই সঙ্গে মনোযোগ ক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটে চোখে পরার মতো।
৫. রোগ-ব্যাধির খপ্পর থেকে রক্ষা মেলে:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম কোনে একটা বাস্তু পিরামিড এনে রাখলে গৃহস্থের অন্দরে উপস্থিত নেগেটিভ শক্তি দূরে পালাতে শুরু করে, যার প্রভাবে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। ফলে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো।
৬. কু-দৃষ্টির কারণে কোনও ক্ষতি হয় না:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির চার কোনায় চারটি পিরামিট পুঁতে দিলে একদিকে যেমন খারাপ শক্তি ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না, তেমনি কারও কু-দৃষ্টির কারণে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে। তাই তো বলি বন্ধু, আপনার যদি মনে হয় অনেকেই নানা কারণে আপনার উপর ইর্ষান্বিত, তাহলে এই বাস্তু নিয়মটি মেনে নিজেকে নিরাপদ রাখতে ভুলবেন না যেন!
৭. মা-বাবা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়:
হাজার চেষ্টাও পরেও কি মা হতে পারছেন না? তাহলে বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোনে একটা বাস্তু পিরামিড এনে রেখে দিন। দেখবেন কয়েক দিনের মধ্যে সুখবর পাবেই পাবেন!
৮. বৈবাহিক জীবন সুখ-শান্তিতে কাটে:
বাড়ির উত্তর-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পূর্ব কোনে এরটা করে পিরামিড পুঁতে দিলে বাড়িতে শুভ শক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় যে বৈবাহিক জীবনে কোনও ধরনের অশান্তি মাথা চাড়া ডিয়ে ওঠার আশঙ্কা যায় কমে।