Just In
Don't Miss
মনের সব ইচ্ছা পূরণ হোক এমনটা চান নাকি? তাহলে রাশি অনুসারে প্রতিদিন বিজ মন্ত্র পাঠ করতে ভুলবেন না!
প্রতিটি রাশিকেই কোনও না কোনও দেব-দেবী নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, এমনকী রাশির উপর গ্রহের প্রভাবকেও উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয়।
জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর লেখা নানাবিধ বইয়ের দিকে নজর ফেরালে জানতে পারবেন প্রতিটি রাশিকেই কোনও না কোনও দেব-দেবী নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, এমনকী রাশির উপর গ্রহের প্রভাবকেও উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। আর এই সব দেব-দেবী এবং গ্রহদের প্রসন্ন করতে একটি একটি বিজ মন্ত্র রয়েছে, যা পাঠ করা শুরু করলে একদিকে যেমন গ্রহ দোষ কেটে যায়, তেমনি দেব-দেবীরাও বেজায় প্রসন্ন হন। ফলে নানাবিধ উপকার পাওয়া মেলে, বিশেষত মনের সব ইচ্ছা পূরণ তো হয়ই, সেই সঙ্গে কোনও ধরনের বিপদের খপ্পরে পরার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, মানসিক শান্তি বজায় থাকে, সেই সঙ্গে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের মাত্রাও হ্রাস পায়। ফলে জীবন আনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না।
"বিজ মন্ত্র" যে কোনও সময়ই পাঠ করা যেতে পারে। তবে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার পর যদি এই বিশেষ মন্ত্রটি পাঠ করা যায়, তাহলে বেশি মাত্রায় উপকার মেলে। শুধু তাই নয়, যে কোনও কাজ শুরু করার আগে যদি এই মন্ত্রটি পাঠ করা যায়, তাহলে নাকি সেই কাজে সফলতার সঙ্গে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। এমনকী ইন্টারভিউয়ের আগে বিজ মন্ত্র পাঠ করলে নাকি মনের মতো চাকরিও মেলে। তাই তো বলি বন্ধু এতসব সুফল যদি পেতে চান, তাহলে এক্ষুনি এই প্রবন্ধে চোখ রাখে জেনে নিন আপনার রাশির বিজ মন্ত্র কী! প্রসঙ্গত, এই মন্ত্রটি ১১, ১০৮ অথবা ১০০৮ বার পাঠ করতে হবে, তাহলেই দেখবেন চখের পলকে বদলে গেছে আপনাপ জীবনটা!
তাহলে আর অপেক্ষা কেন! চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কোন রাশির বিজ মন্ত্র কোনটি, সে সম্পর্কে...
১. মেষরাশি:
এই রাশির জাতক-জাতিকাদের বিজ মন্ত্রটি হল "ওম হ্রিং শ্রিং লক্ষ্মী নারায়নাভ্যাম নমহ"। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে একটি বিষয় জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজন, তা হল এক মনে মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে, না হলে কিন্তু কোনও ফলই মিলবে না।
২. বৃষরাশি:
জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের যে মন্ত্রটি পাঠ করা জরুরি, সেটি হল-"ওম গোপালায়া উত্তরাধিবিজয় নমহ"। প্রসঙ্গত, এই রাশিটির উপর মা লক্ষ্মীর প্রভাবে খুব বেশি থাকে। তাই তো এই বিজ মন্ত্রটি পাঠ করার পাশাপাশি যদি নিয়মিত মায়ের অরাধনা করা যায়, তাহলে আরও বেশি মাত্রায় উপকার মেলে।
৩. মিথুনরাশি:
এই রাশির উপর বুধ গ্রহের প্রভাব খুব বেশি থাকে। সেই সঙ্গে মিথুনরাশির উপরে ভগবান বিষ্ণুর সদা নেক নজর থাকে। তাই তো দেবকে প্রসন্ন করলে বিষ্ণু মন্ত্র পাঠ করা য়েমন জরুরি, তেমনি যে বিজ মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে, সেটি হল-"ওম ক্লিং কৃষায় নমহ"।
৪. কর্কটরাশি:
"ওম হিরন্যাগর্ভায় অভিয়াক্তরুপিনে নমহ", এই মন্ত্রটি হল কর্কটরাশির জাতক-জাতিকাদের বিজ মন্ত্র, যা পাঠ করলে নানাবিধ উপকার পাওয়ার পথ প্রশস্থ হয়। তবে এই মন্ত্রটি নিয়মিত জপ করার পাশাপাশি যদি এই রাশির রুলিং প্ল্যানেট চাঁদ এবং রুলিং গডেস মা দুর্গার আরাধনা করতে পারেন, তাহলে আরও নানাবিধ উপকার পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৫. সিংহরাশি:
আপনারা যদি চরম সফলতার স্বাদ পেতে চান, সেই সঙ্গে চান নিরাপদ জীবনের স্বপ্ন পূরণ হোক, তাহলে "ওম ক্লিং ব্রহ্মা জগতধিরায় নমহ", এই মন্ত্রটি পাঠ করতে ভুলবেন না যেন! সেই সঙ্গে নিয়মিত সূর্য দেব এবং ভগবান শিবের পুজো করতে হবে। তাহলেই দেখবেন সুফল মিলতে শুরু করেছে। আসলে এই রাশির উপর সুর্য দেব এবং দেবাদিদেবের প্রভাব বেশি থাকে। তাই তো এদের অরাধনা করলে জীবন আনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না।
৬. কন্যারাশি:
এই রাশির জাতক-জাতিকাদের উপর বুধের প্রভাব খুব বেশি থাকে। তাই তো নানাবিধ বিপদ থেকে বাঁচতে এদের নিয়মিত ভগবান বিষ্ণুর অরাধনা করা উচিত। সেই সঙ্গে যে বিজ মন্ত্রটি পাঠ করা জরুরি, সেটিু হল-"ওম নমহ পিং পিতামবরায় নমহ"।
৭. তুলারাশি:
নানাবিধ উপকার পেতে এই রাশির অধিকারীদের নিয়মিত যে বিজ মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে, সেটি হল "ওম তাৎভানিরাকুজ্যন নমহ"। সেই সঙ্গে নিত্য মা লক্ষ্মীর পুজো করা মাস্ট! আসলে এই রাশির রুলিং প্ল্যানেট হল শুক্র। তাই তো মায়ের অরাধনা করলে গ্রহ দোষ কেটে যেতে সময় লাগে না।
৮. বৃশ্চিকরাশি:
জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের নিয়মিত যে মন্ত্রটি পাঠ করা জরুরি, সেটি হল-"ওম নারায়ন সুরশিঙ্গে নমহ"। প্রসঙ্গত, বৃশ্চিকরাশির রুলিং প্ল্যানেট হল মঙ্গল। তাই তো প্রতিদিন, বিশেষত সোমবার দেবাদিদেব শিবের অরাধনা করলে মঙ্গলের কুপ্রভাব কাটতে শুরু করে। ফলে বেজায় সুফল পাওয়া যায়।
৯. ধনুরাশি:
অল্প সময়েই মনের সব ইচ্ছা পূরণ হোক, এমনটা যদি চান তাহলে বৃহস্পতি গ্রহের পুজো করতে যেমন ভুলবেন না, তেমনি নিয়মিত পাঠ করতে হবে "ওম শ্রিং দেবকৃষ্ণায় উর্ধোয়ান্তি নমহ", এই বিজ মন্ত্রটি। তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে!
১০. মকররাশি:
এই রাশির উপর মঙ্গল গ্রহের প্রভাব খুব বেশি মাত্রায় থাকে। তাই তো এদের নিয়মিত ভগবান শিবের আরাধনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কারণ এমনটা করলে দেবাদিদেবের আশীর্বাদ লাভ হয়। ফলে মঙ্গল গ্রহের প্রভাবে কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, শিবের অরাধনা করার পাশাপাশি "ওম শ্রিং ওয়াৎসাল্য়ে নমহ", এই বিজ মন্ত্রটি পাঠ করতে ভুলবেন না যেন!
১১. কুম্ভরাশি:
এই রাশির জাতক-জাতিকাদের নানাবিধ উপকার পেতে যে বিজ মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে, সেটি হল-"ওম শ্রিং উপেন্দ্রায়াঅচুত্যায়া নমহ"। সেই সঙ্গে নিয়মিত শিব ঠাকুরের পুজো করলে দেখবেন আরও বেশি মাত্রায় সুফল পাচ্ছেন!
১২. মীনরাশি:
"ওম আং ক্লিং উধাতৃয়া নমহ", এটি হল এই রাশির বিজ মন্ত্র, যা নিয়মিত সকাল সকাল উঠে জপ করলে নানাবিধ উপকার তো মেলেই , সেই সঙ্গে মীনরাশির রুলিং প্ল্যানেট বৃহস্পতি গ্রহও বেজায় সন্তুষ্ট হন। ফলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির স্বাদ পেতে সময় লাগে না।