Just In
সোনার দুল এবং আংটি একসঙ্গে পরলে কী কী উপকার পাওয়া যায় জানা আছে?
সোনার দুল এবং আংটি পরলে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়। বিশেষত একাধিক রোগ যেমন দূরে থাকে, তেমনি আরও নানাবিধ সুফল মেলে।
শুনতে আজব লাগলেও একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে সোনার দুল এবং আংটি পরলে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়। বিশেষত একাধিক রোগ যেমন দূরে থাকে, তেমনি আরও নানাবিধ সুফল মেলে। তাই তো বলি বন্ধু যদি সুযোগ থাকে, তাহলে সোনা দিয়ে তৈরি একটা আংটি অথবা দুল পরতে ভুলবেন না।
এখন প্রশ্ন করতে পারেন এমনটা করলে কী হবে? তাহলে আপনাদের জানিয়ে রাখি বন্ধু অ্যাস্ট্রোলজির উপর লেখা একাধিক বইয়ে এমনটা দবি করা হয়েছে যে সোনার গয়না পরা মাত্র সারা শরীরে রক্তের প্রভাব বেড়ে যায়। ফলে প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি একাধিক রোগও ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে জন্ম কুষ্টিতে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানও বদলে যেতে শুরু করে। ফলে নানাবিধ উপকার মেলে। যেমন ধরুন...
১. পরিবারে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে:
জ্যোতিষশাস্ত্রে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে পরিবারের প্রতিটি সদস্য যদি কম-বেশি সোনার গয়না পরেন, তাহলে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে পরিবারের অন্দরে কোনও অশান্তি বা কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি কোনও ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও থাকে না।
২. বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয়:
শুনতে আজব লাগলেও এই ধরণার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে সোনার গয়না, বিশেষত আংটি এবং দুল পরলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। আসলে সোনা, শরীরে সংস্পর্শে আসা মাত্র বৃহষ্পতি গ্রহের প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ফলে একদিকে যেমন কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা লাভের সম্ভাবনা বেড়ে যায়, তেমনি অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতেও সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, বৃহষ্পতি গ্রহকে সন্তুষ্ট করার মধ্যে দিয়ে যদি জীবনের ছবিটা বদলে দিতে চান, তাহলে সোনার দুল পরতে ভুলবেন না যেন! আর যদি কানের উপরের অংশে দুল পরতে পারেন, তাহলে তো কোনও কথাই নেই! কারণ সেক্ষেত্রে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
৩. সর্দি-কাশির প্রভাব কমে যায়:
একেবারে ঠিক শুনেছেন বন্ধু! জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে কড়ে আঙুলে সোনার আংটি পরলে একদিকে যেমন ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি-কাশির মতো সমস্যা কমে যায়, তেমনি শ্বাস কষ্টের মতো রোগের প্রকোপ কমতেও সময় লাগে না। আর যদি মধ্যমা বা মিডিল ফিঙ্গারে আংটি পরেন, তাহলে কর্মক্ষেত্রে থেকে সামাজিক জীবন, সবেতেই সম্মান বৃদ্ধির সম্ভাবনা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে মনোযোগ ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে।
৪. গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে সোনার দুল পরলে ভাগ্য ফিরে যেতে সময় লাগে না। আর গুড লাক যখন রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে, তখন জীবনের প্রতিটি বাঁকে সফলতার স্বাদ পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, পরিবারের অন্দরে সুখ-শান্তির পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।
৫. খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে সময় লাগে না:
চীন এবং ভারতে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে সোনার দুল, আংটি অথবা হার পরলে শরীরের প্রতিটি চক্র অ্যাকটিভেট হয়ে যায়। ফলে দেহের হিলিং পাওয়া এতটাই বেড়ে যায় যে শরীরের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে অশুভ শক্তির প্রভাবে কোনও বিপদ ঘটার সম্ভাবনাও কমে।
৬. স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটির মাত্রা কমে:
বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে সোনার গয়না পরা মাত্র শরীর এবং মস্তিষ্কের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটি লেভেল কমে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মানসিক অবসাদও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে স্ট্রেস, অ্যাংজাইটি এবং মানসিক অবসাদের শিকার হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। তাই তো বলি বন্ধু আপনি যদি খুব স্ট্রেসফুল জীবন অতিবাহিত করে থাকেন, তাহলে সোনার গয়না পরতে ভুলবেন না যেন!
৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:
সোনার গয়না পরা মাত্র দেহের অন্দরে উপস্থিত সাতটি চক্র নিজ কাজ করতে শুরু করে দেয়। সেই সঙ্গে শরীরের প্রতিটি কোনায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রভাব বেড়ে যায়। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার এতটাই উন্নতি ঘটে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে।
৮. ত্বকের রোগ কমতে সময় লাগে না:
সোনার দুল বা হার পরলে কোনও ধরনের ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে যায়, তেমনি যে কোনও ধরনের স্কিন ডিজিজের প্রকোপ কমতেও সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, সোনার গয়না ত্বকের সংক্রমণের মতো রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।