Just In
- 4 hrs ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 6 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 7 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 24 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
প্রতিদিন বাড়ির বাইরে আলপনা আঁকা জরুরি কেন জানেন?
দক্ষিণ ভারতে যারা বেরাতে গেছেন, বিশেষত কর্নাটকে, তারা হয়তো দেখে থাকবেন প্রতিদিন সকালে কর্নাটকি মহিলারা বাড়ির সামনেটা ধুয়ে নিয়ে নানা রং দিয়ে আলপনা এঁকে থাকেন। কেন এমনটা করেন জানা আছে?
দক্ষিণ ভারতে যারা বেরাতে গেছেন, বিশেষত কর্নাটকে, তারা হয়তো দেখে থাকবেন প্রতিদিন সকালে কর্নাটকি মহিলারা বাড়ির সামনেটা ধুয়ে নিয়ে নানা রং দিয়ে আলপনা এঁকে থাকেন। কেন এমনটা করেন জানা আছে? উত্তরটা যদি জানা না থাকে চিন্তা নেই। কারণ এই প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হবে বাকি প্রবন্ধজুড়ে!
বাঙালিরা যে আলপনা দেন না, এমন নয়। তবে বিশেষ দিন ছাড়া বাঙালি বাড়িতে সাধারণত আলপনার দেখা পাওয়া যায় না। কিন্তু এমনটা হওয়া একেবারেই উচিত নয়। কারণ বিজ্ঞান এবং হিন্দু শাস্ত্র মতে নিয়মিত সকালবেলা বাড়ির বাইরে আলপনা দিলে একাধিক উপকার পাওয়া যায়, যে সম্পর্কে এই লেখায় বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
নিয়মিত আলপনা দিলে কী কী শারীরিক এবং মানসিক উপকার মিলতে পারে, সে সম্পর্কে তো আপনারা জানতেই পারবেন, তবে আলপনা দেওয়ার রেওয়াজ শুরু হল কবে থেকে সে বিষয়ে প্রথমে জেনে নেওয়াটা জরুরি। প্রসঙ্গত, হিন্দু শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বই ঘেঁঠে যা জানা যায়, তা হল ১৪ বছর বনবাস করে রাম, লক্ষণ এবং সীতা মা যখন অযোধ্যা ফিরেছিলেন, তখন সারা রাজ্যের মানুষ নিজেদের বাড়ির সামনে নানা রঙের মিশ্রনে আলপনা বানিয়ে সারা অযোধ্যাকে রঙে মুড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেই দিনের পর থেকেই সারা ভারতজুড়ে আলপনা বা রাঙ্গলির প্রচলন শুরু হয়।
এখন প্রশ্ন হল, প্রতিদিন বাড়ির সদর দরজার সামনে আলপোনা দেওয়া শুরু করলে যে যে উপকারগুলি পাওয়া যায়, সেগুলি হল...
১. রাগের মাত্রা কমে:
নিয়মিত ওম মন্ত্র জপ করলে যেমন মন এবং মস্তিষ্ক শান্ত হয়, তেমনি আলপনা দিলেও একই ঘটনা ঘটে থাকে। নানা রং একে অপরের সঙ্গে মিশে গিয়ে যখন চর্ম চক্ষুর সামনে একটি অবয়ব হিসেবে ফুটে উঠতে শুরু করে, তখন মস্তিষ্কের অন্দরে ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার প্রভাবে মন মেজাজ একেবারে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে রাগের মাত্রাও কমতে থাকে। তাই তো বলি বন্ধু, যারা বেজায় রাগী প্রকৃতির মানুষ, তারা এই ভয়ঙ্কর ইমোশানটিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে নিয়মিত আলপনা দিতে ভুলবেন না যেন!
২. মন শান্ত হয়:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে আলপনা দেওয়ার সময় নানা কারণে মনের হারিয়ে যাওয়া শান্তি ফিরে আসে। ফলে ধীরে ধীরে দুশ্চিন্তা দূরে পালাতে শুরু করে। আর চিন্তা যখন দূরত্ব বাড়ায়, তখন জীবনে খুশির ছোঁয়া লাগতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে স্ট্রেল লেভেলও যেমন কমে, তেমনি মানসিক অবসাদও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ফলে জীবন আনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না। এবার বুঝেছেন তো বন্ধু প্রতিদিন আলপনা দেওয়া কতটা জরুরি।
৩. গুড লোক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে:
এমনটা বিশ্বাস কর হয় যে প্রতিদিন বাড়ির বাইরে আলপনা আঁকলে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। আর একবার ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করলে জীবনের ছবিটা বদলে যেতে যে সময় লাগে না, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আসলে গুড লাক সঙ্গে নিলে একদিকে যেমন কর্মক্ষেত্রে সফলাতর স্বাদ মেলে, তেমনি অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু বাকি জীবনটা যদি আনন্দে কাটাতে হয়, তাহলে নিয়মিত অলপনা দিতে ভুলবেন না যেন!
৪. রোগ-ব্যাধি দূরে পালায়:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে আলপনা দেওয়ার সময় হাতের আঙুলের একেবারে উপরের অংশে চাপ পরতে থাকে, যার প্রভাবে সারা শরীরে রক্তের প্রভাব বেড়ে যায়। ফলে দেহের প্রতিটি অঙ্গে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে যেতে শুরু করে। আর এমনটা হওয়া মাত্র সার্বিকভাবে শরীরের কর্মক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি ছোট-বড় কোন রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। প্রসঙ্গত, এমনটাও অনেকে বিশ্বাস করেন যে রাঙ্গলি দেওয়ার সময় শরীররে অন্দরে পজেটিভ শক্তির বিকশ ঘটতে শুরু করে। যে কারণও রোগমুক্ত শরীর পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না।
৫. খারাপ শক্তির প্রবেশ আটকে যায়:
বাড়ির বাইরে আলপোনা আঁকা মাত্র সেই অংশে শুভ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রবেশ আটকে যায়। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি কারও কু-দৃষ্টির কারণে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও যায় কমে। এই কারণেই তো সুখে-শান্তিতে থাকতে নিয়মিত আলপোনা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
৬. স্পিরিচুয়াল শক্তির বিকাশ ঘটে:
এমনটা বিশ্বাস কর হয় যে নিয়মিত আলপোনা দেওয়া শুরু করলে নানা কারণে আমাদের শরীর এবং মনের উপর এমন প্রভাব পরে যে তার প্রভাবে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার বিকাশ ঘটকে শুরু করে। ফলে মন এতটাই শান্ত হয়ে যায় যে জীবন পথে চলতে চলতে সামনে আসা কোনও বাঁধাই তখন বাঁধা মনে হয় না। ফলে জীবনে আনন্দে ভরে ওঠে।