Just In
জুন মাসে জন্মেছেন নাকি? তাহলে বন্ধু আপনি এমন ধরনের মানুষ নয় তো!
পার্সোনালিটি অ্যানালিসিস করেন যারা তাদের মতে এই মাসে যারা জন্ম গ্রহণ করেন, তাদের চরিত্র নাকি বাকি অনেকের থেকে আলাদা হয়ে থাকে।
পার্সোনালিটি অ্যানালিসিস করেন যারা তাদের মতে এই মাসে যারা জন্ম গ্রহণ করেন, তাদের চরিত্র নাকি বাকি অনেকের থেকে আলাদা হয়ে থাকে। এরা একদিকে যেমন লোকসমাজে বেজায় জনপ্রিয় হন, তেমনি বন্ধু এবং জীবনসঙ্গী হিসেবেও এদের গ্রহণযোগ্যতাকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। তবে এখানেই শেষ নয়, একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে জুন মাসে যারা জন্ম গ্রহণ করেন, তাদের চরিত্রের এমন কতগুলি দিক রয়েছে, যা বাস্তবিকই চমকপ্রদ, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই তো বলি বন্ধু আপনি বা আপনার কোনও পরিচিতের জন্মদিন যদি জুন মাসে হয়ে থাকে, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
বেশ কিছু স্টাডি অনুসারে জুন মাসে যারা জন্ম গ্রহণ করেন তাদের চরিত্র মূলত চার ধরনের হয়ে থাকে। যেমন ধরুন...
১-৮ তারিখের মধ্যে যাদের জন্ম:
এই সময়ে যারা এই পৃথিবীতে এসেছেন তারা জনসাধারণের মধ্যে যে বেজায় জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই! শুধু তাই নয়, এমন মানুষেরা এমন হন যে ব্যক্তিগত জীবনে সুখে-শান্তিতে কীভাবে থাকতে হয়, তা এদের থেকে ভাল কেউ জানে না। তবে এখানেই শেষ নয়, এদের আরও কতগুলি গুণ রয়েছে। যেমন ধরুন টাকা জমাতে হয় কীভাবে সে বিষয়ে এদের স্বষ্ট ধারণা থাকে, সেই সঙ্গে এরা এতটাই বুদ্ধিমান হন যে কর্মক্ষেত্রে সফলতার স্বাদ পেতে সময় লাগে না। তবে এমন মানুষদের চরিত্রের একটাই খারাপ দিক রয়েছে, তা হল এরা যে কোনও সম্পর্কেই নিজেদেরকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তাই তো অনেকেই এদের স্বার্থপর মানুষ হিসেবে বিবেচিত করে থাকেন। তাই তো বলি বন্ধু, এমন মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে ভাবার আগে সবদিকটা একবার বিবেচনা করে নিতে ভুলবেন না যেন!
৯-১৫ জুন:
ঝামেলা কীভাবে সৃষ্টি করতে হয়, তা এদের থেকে কেউ ভাল জানে না। কথায় কথায় সমস্যায় পরতে এবং ফেলতে এদের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই এমন মানুষদের বাবা-মাকে সারা জীবন চিন্তায় চিন্তায় কাটাতে হয়। শুধু তাই নয়, ৯-১৫ তারিখের মধ্যে যারা জন্মান, তাদের বিশ্বাস করাটা একটু কঠিন। কারণ নিজেদের স্বার্থে এরা রুপ বদলে ফেলতে বেজায় পারঙ্গম। শুধু তাই নয়, এরা বেজায় মুডিও বটে। তাই তো এদের নিয়ন্ত্রণে রাখা যেমন সমস্যার, তেমনি ঝামেলারও বটে। তবে এমন মানুষেদর চরিত্রের কিছু ভাল দিকও রয়েছে, যেমন ধরুন, কাউকে সঠিক পরামর্শ দিতে এরা ভাল পারেন। সেই সঙ্গে যাকে এরা একবার ভালবেসে ফেলেন, তাদেরকে কীভাবে সুখ-শান্তিতে রাখা যায় সেই চিন্তাতেই মজে থাকেন সারাক্ষণ।
১৬-২২ তারিখের মধ্যে জন্ম যাদের:
মনের মানুষ বলতে যা বোঝায় এরা একেবারেই তেমন। আসলে বেজায় বুদ্ধিমান হলেও মন দিয়ে ভাবতে এবং মনের কথা শুনতেই এমন মানুষেরা বেশি ভালবাসেন। তাই তো সরল মানুষদের তালিকায় একেবারে উপরের দিকে এদের রাখা যেতেই পারে। প্রসঙ্গত, এরা যেমন ইমোশনাল হন, তেমনি মানুষের ভালবাসতে জানেন। তাই তো বন্ধু এবং জীবনসঙ্গী হিসেবে এদের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তবে মাঝে মধ্যে এরা ইমোশনাল হয়ে এমন কাজ করে ফেলেন যে অনেকেই এদের ভুল বুঝে ফেলেন। কিন্তু বিশ্বাস করুন খাঁটি সোনার মানুষ হয়ে থাকেন এরা। তাই এমন কারও সন্ধান পেলে সহজে হারিয়ে ফেলবেন না যেন!
২৩-৩০ এর মধ্যে জন্মদিন যাদের:
মনের কথা মুখের উপর বলে দিতে এরা দুবারও ভাবেন না। শুধু তাই নয়, পরিশ্রম করার ক্ষমতার দিক থেকে এদের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো কর্মক্ষেত্রে এমন মানুষদের সফলতা লাভ করতে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয় না। শুধু তাই নয়, স্বপ্ন কীভাবে পূরণ করতে হয়, তা এদের থেকে কেউ ভাল জানে না। আর যদি সম্পর্কের কথা বলেন, তাহলে বলতে হয় এরা কর্মক্ষেত্রে যতটা সফল, পরিবারিক জীবনে ততটাই বিফল। কারণ এমনন মানুষদের বৈবাহিক জীবন খুব একটা সুখের হয় না। তাই এরা অনেকে অনেক টাকার মালিক তো হন, কিন্তু জীবনের একটা বড় অংশই এদের একা থেকে যেতে হয়।