Just In
- 15 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 16 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 18 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 21 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
Don't Miss
চরম অর্থনৈতিক উন্নতির সাক্ষী হতে ঠাকুর ঘরে এই ৫টি জিনিস রাখতে ভুলবেন না যেন!
জীবনের প্রতিটি ধাপেই টাকার প্রয়োজন পরে। তাই তো সবাই কম-বেশি অর্থনৈতিক উন্নতির সাক্ষী হতে চান। কিন্তু হতে পারেন কজন বলুন!
জীবনে চলার পথে প্রতিটি ধাপেই টাকার প্রয়োজন পরে। তাই তো সবাই কম-বেশি অর্থনৈতিক উন্নতির সাক্ষী হতে চান। কিন্তু হতে পারেন কজন বলুন! তাই তো এই প্রবন্ধে এমন কিছু নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা মেনে চললে দেখবেন মানি ব্যাগ কখনও খালি তো হবেই না, বরং অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটবে চোখে পরার মতো।
হিন্দু ধর্মের উপর লেখা বেশ কিছু বইয়ে এমনটা উল্লেখ পাওয়া যায় যে বাড়ির ঠাকুর ঘরে যদি এই প্রবন্ধে আলোচিত জিনিসগুলি রাখতে পারেন, তাহলে মা লক্ষী খুব সন্তুষ্ট হন, আর এমনটা হলে চলার পথে আসা নানা বাঁধা সরে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কর্মজীবনেও চোখে পরার মতো উন্নতি ঘটে।
এখন প্রশ্ন হল কী কী জিনিস এক্ষেত্রে ঠাকুর ঘরে রাখতে হবে এবং সেগুলির সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতির সম্পর্ক কোথায়?
১. ঘন্টা:
ঠাকুর ঘরে একটা পেতলের তৈরি ঘন্টা রাখা বেজায় শুভ। কারণ পুজোর সময় ঘন্টা বাজালে সেই আওয়াজে সমস্ত ধরনের নেগেটিভিটি কেটে যায়। বাড়তে থাকে পজেটিভ শক্তির ক্ষমতা। সেই সঙ্গে ঘরের অন্দরে উপস্থিত নানাবিধ ক্ষতিকারক জীবাণুরাও মারা পরে। ফলে কেবল যে শান্তি এবং সমৃদ্ধির পথ প্রশস্ত হয়, এমন নয়! সেই সঙ্গে রোগ মুক্ত শরীরের স্বপ্ন পূরণ হতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ঘন্টার আওয়াজে মস্তিষ্কের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হয় যে রাগ, দুঃখ এবং অভিমান কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বাড়তে শুরু করে ব্রেন পাওয়ার।
২. ছোট কলসি:
হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে ছোট একটি কলসির গায়ে সিঁদুর লাগিয়ে সেটি যদি ঠাকুর ঘরে রাখা যায়, তাহলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে পরিবারের অন্দরে সুখ-শান্তির পরিবেশ বজায় থাকে। প্রসঙ্গত, কলসির সঙ্গে যদি ৮ টি ছোট ছোট পদ্ম রাখতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই!
৩.সোয়াস্তিকা চিহ্ন:
এমন বিশ্বাস করা হয় যে ঠাকুরের ছবির পাশে ছোট একটা মেটালের সোয়াস্তিকা চিহ্ন রাখলে পরিবারে প্রতিটি সদস্যের ব্যাপক উন্নতি ঘটে। শুধু তাই নয়, কোনও ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যা চললে তা মিটে যেতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, গুড লাককে ফিরিয়ে আনতেও এই টোটকাটি দারুন কাজে আসে। আর একবার গুড লাক সঙ্গ নিলে যে কাজই করুন না কেন, তাতে সাফল্য পেতে সময় সাগে না।
৪. শঙ্খ:
দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতির স্বাদ পেতে চান? তাহলে পুজোর ঘরে শঙ্খ রাখতে ভুলবেন না যেন! কারণ সমুদ্র গর্ভে সৃষ্টি হওয়া হওয়া এই অপূর্ব প্রকৃতিক উপাদানটি মা লক্ষীর খুব প্রিয়। তাই তো ঠাকুর ঘরে শঙ্খ রাখলে মায়ের প্রবেশ ঘটতে সময় লাগে না। আর একবার মা লক্ষী আপনার পরিবারের সদস্য হয়ে উঠলে কোনও বাঁধাই আর তখন বাঁধা থাকে না। ফলে শুধু অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে না। সেই সঙ্গে সার্বিক উন্নতি লাভ করার পথও প্রশস্ত হয়।
৫. মাটির প্রদীপ:
প্রতিদিন পুজো করার সময় মাটির প্রদীপে ঘি বা তেল, সেই সঙ্গে ছোট একটা সোলতা রেখে সেটি জ্বালান। এমনট করলে খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করবে, বাড়বে শুভ শক্তির ক্ষমতা। ফলে উন্নিতির একের পর এক দরজা খুলতে সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত, প্রদীপ জ্বালানোর সময় তাতে অল্প করে একটু গুড় ফেলে দিতে ভুলবেন না যেন! শাস্ত্র মতে এমনটা করলে নাকি আরও উন্নতি ঘটে। এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কী বিষয়? এই নিয়মগুলি মানার পাশাপাশি কতগুলি জিনিসকে ঠাকুর ঘরের মাটিতে রাখা একেবারেই চলবে না। সেই সঙ্গে মানতে হবে আরও কিছু সহজ নিয়ম, তাহলেই দেখবেন খারাপ ভাগ্যের প্রবেশ ঘটার আশঙ্কা কমে যাবে।
এক্ষেত্রে কী কী নিয়ম নাতে হবে? যেমন ধরুন...
১. এই জিনিসগুলি মাটিতে রাখা চলবে না:
শাস্ত্র মতে পুজোর সময় প্রদীপ, শিবলিঙ্গ, শালগ্রাম শিলা, ঠাকুরের মূর্তি, সোনা এবং শঙ্খ ভুলেও মাটিতে রাখবেন না। কারণ এমনটা করলে খারাপ ভাগ্য আপনার পিছু নেবে। ফলে কোনও খারাপ কিছু ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা যাবে বেড়ে। প্রসঙ্গত, একান্তই যদি এগুলিকে মাটিতে রাখতেই হয়, তাহলে একটা পরিষ্কার কাপড় পেতে তার উপর রাখবেন। এমনটা করলে কোনও ক্ষতি হবে না।
২. রবিবার নৈব নৈব চ!
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে রবিবার মুসুর ডাল, আদা এবং লাল রঙের কোনও খাবার খাওয়া উচিত নয়। কেন এমন উপদেশ দেওয়া হয় জানা নেই। কিন্তু নিয়মটি মানলে নাকি সুফল পেতে সময় লাগে না।
৩. দানের নিয়ম:
কোনও বিশেষ দিনে যদি টাকা বা জামা-কাপড় দান করার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে সেই দিনেই এমনটা করার চেষ্টা করবেন। না হলে কিন্তু আপনার উপর খারাপ প্রভাব পরার আশঙ্কা বাড়বে। প্রসঙ্গত, একান্তই যদি সেই দিনে দান করতে না পরেন, তাহলে যা দান করবেন ভেবেছেন, তার দ্বিগুণ দান করতে হবে। এমনটা করলে কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
৪. পা ধোয়া মাস্ট!
বাড়ির বাইরে থেকে এসে পা ধোয়া মাস্ট! কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির বাইরে থেকে ময়লা এবং নেগেটিভ শক্তি আমাদের পায়ে পায়ে বাড়ির অন্দরে প্রবেশ করে। তাই বাড়িতে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে যদি পা ধুয়ে ফেলা না যায়, তাহলে ঘরের অন্দরে খারাপ শক্তির বিকাশ ঘটতে শুরু করে, যা মোটেও শুভ খবর নয়!