Just In
- 8 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 9 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 11 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 15 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
পৃথিবীতে না এসেই আমাদের মেরে ফেলতে পারে ভিনগ্রহীরা: বলছে স্টাডি!
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি স্টাডিতে একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে এলিয়ানদের হাতে থাকা প্রযুক্তি এতটাই শক্তিশালী যে ভিন গ্রহে বসেই তারা পৃথিবীকে ধ্বংস করে দিতে পারে।
২০১২ সালে রিলিজ হওয়া পিটার বার্গের ব্যাটেলশিপ মুভিটা দেখা আছে কি? যদি এতদিন পর্যন্ত না দেখে থাকেন, তাহলে আত্মরক্ষার স্বার্থে আজই একবার দেখে ফেলুন!
মানে! আত্মরক্ষার সঙ্গে এই সিনেমাটি দেখার কী সম্পর্ক? ছবিটিতে দেখানো হয়েছে এলিয়ানরা হাওয়াই দ্বীপে আক্রমণ চালিয়ে কীভাবে নৃশংসভাবে মেরে ফেলছে আমেরিকানদের। আর এমন ভয়ানক পরিস্থিতিতে পৃথিবীবাসীদের বাঁচাতে রুখে দাঁড়িয়েছে একদল নেভেল অফিসার। যা পরিস্থিত তাতে আগামী দিনে আমাদের সবাইকেই ওই নেভেল অফিসারদের মতো তৈরি থাকতে হবে, না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ! মানে আপনি বলছেন কোনও সময় এলিয়ানরা একইভাবে আক্রমণ শানাতে পারে পৃথিবীতে? একেবারেই! তবে পরিস্থিতিটা আরও ভয়নক। কারণ সম্প্রতি প্রকাশিত একটি স্টাডিতে একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে এলিয়ানদের হাতে থাকা প্রযুক্তি এতটাই শক্তিশালী যে ভিন গ্রহে বসেই তারা পৃথিবীকে ধ্বংস করে দিতে পারে।
একেবারেই ঠিক শুনেছেন! এমনটা হতে যে আর বেশি দিন দেরি নেই, তারও প্রমাণ মিলেছে। আমেরিকার হাওয়াই ইউনিভার্সিটি এবং জার্মানির সোনেবার্গ অবসার্ভেটারির গবেষকরা এই পরীক্ষাটি চালিয়ে এই সব তথ্য জানতে পেরেছেন। তবে এখানেই থেমে থাকেননি তারা। আরও কয়েকধাপ এগিয়ে এমনও দাবি করছেন যে অন্য গ্রহ থেকে আসা কোনও মেসেজ বা সিগনাল ডি-কোড না করেই ডিলিট করে দেওয়া উচিত। কারণ এমনটাও হতে পারে যে একটা সিগনালই পৃথিবীকে ধ্বংসের দোরগোড়ায় দাঁড় করিয়ে দিতে পারে।
কীভাবে এমনটা সম্ভব? গবেষকরা জানাচ্ছেন একটা ডেডলি ভাইরাস যেমন নিমেষে কোনও সিস্টেমে স্টোর করা তথ্য হ্যাক করে নিতে পারে। তেমনি এলিয়ান সিগনালও পৃথিবী সম্পর্কিত যে কোনও তথ্য নিমেষে পৌঁছে দিতে পারে হাজার হাজার আলোকবর্ষ দূরে অপেক্ষা করা কোনও এলিয়ানের অত্য়াধুনিক কম্পিউটারে। আর সেই ইনফরমেশানকে কাজে লাগিয়ে তারা যে খারাপ কিছু করবে না, সে প্রমাণ কোথায়! ইনডিপেনডেন্স ডে বা ব্যাটেলশিপের মতো মুভিতেও তো একই বিষয়ের উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করা হয়েছে। উভয় সিনেমাতেই দেখা গেছে ভিন গ্রহ থেকে আসা সিগনাল রিসিভ করার পরই শুরু হয়েছে নীল গ্রহের ধ্বংস ।
পৃথিবীতে এর আগেও কিন্তু এলিয়ানদের প্রবেশ ঘটেছিল। এবং সে প্রমাণও পাওয়া যায় এই প্রবন্ধে আলোচিত জায়গাগুলিতে। তবে সেবার কিছু হয়েনি বলে আগামী দিনেও মারাত্মক কিছু ঘটবে না, তা কিন্তু সুনিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তাই সাবধান! প্রসঙ্গত, পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা একাধিক স্তম্ভ এবং ইমারত দেখে বিজ্ঞানীদের মনে হয়েছে সেই সব স্তম্ভ এলিয়ানদেরই তৈরি। যেমন ধরুন...
১. ইস্টার আইল্যান্ড:
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের উপর ৬৪ স্কয়ার মাইল জুড়ে ছডিয়ে থাকা এই দ্বীপে মানুষের মতোই দেখতে কোনও প্রাণীর বিশাল বিশাল মূর্তি রয়েছে। প্রায় ৯০০ টি এমন সুবিশাল মূর্তি যে সময় বানানো হয়েছিল, সে সেময় এমন কোনও প্রযুক্তি ছিল না যে মানুষেক পক্ষে একগুলি বানানো সম্ভব হয়। তাই একদল গবেষকদের মতে এই দ্বীপে কোনও সময় আগমণ ঘটেছিল এলিয়ানদের। আর তারাই তৈরি করেছিল এই মূর্তিগুলি। যদিও সে বিষয়ে তেমন ঠোস কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু প্রশ্নটা থেকে গেছে, যা সমুদ্রের ডেউয়ের মতো বার বার ধাক্কা খাচ্ছে বিজ্ঞানীদের মনে।
২. স্যাসেহিয়েম্যান:
ইনকা সভ্যতার রাজধানী নামে খ্যাত কোসকো শহরের অদূরে অনেকটা পাজলের মতো একের পর এক পাথর গেঁথে তৈরি হয়েছে এই ইমারত। কিন্তু সামগ্রিক ইমারতটা এতটাই সুবাশাল যে কারও কারও ধারণা মানুষ এবং ভিনগ্রহীরা একসঙ্গে মিলে স্যাসেহিয়েম্যান নামে খ্যাত এই কাঠামোটি বানিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, এই দূর্গটি বানাতে যে পাথরগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল তার এক একটির ওজন ৩৬০ টন এবং যেগুলিকে প্রায় ২০ মাইল টেনে আনা হয়েছিল। প্রায় হাজার বছর আগে কীভাবে এমনটা সম্ভব হল, সে প্রশ্নের উত্তর এখনও জানা যায়নি।
৩. নাসকা লাইন:
পেরুর মরুভূমিতে প্রায় ১২০০ ফুট জায়গা জুড়ে মাকড়সার মতো একটি অবয়ব রয়েছে। প্লেন থেকে দেখলে তবেই বোঝা যায় কতটা দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে এই বক্রলাইনগুলি। বিজ্ঞানীদের মতে নাসকার এই লাইনগুলি প্রায় ২ মিলেনিয়া পুরানো। এত বছর আগে তো মানুষই ঠিক মতো নিজের পায়ে দাঁড়াতে শেখেনি। তাহলে এমন অবয়ব তাদের পক্ষে বানানো কি সম্ভব ছিল? এই প্রশ্নের যদিও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। তাই তো সেই শূন্যস্থান পূরণ করেছে এলিয়ানরা।
৪. পিরামিড:
একেবারেই ঠিক শুনেছেন মিশরের বিখ্য়াত পিরামিড নাকি এলিয়ানদের তৈরি, এমনই ধরণা বেশ কিছু গবেষকদের। কারণ একটাই! প্রায় ৪৫০০ বছর আগে পিরামিড তৈরি হয়েছিল, আর সে সময় মানুষের হাতে এমন কোনও প্রযুক্তি ছিল না যে তারা এত বিশাল বিশাল পাথরকে একের পর এক সাজিয়ে এমন সুবিশাল ইমারত খাড়া করতে পারে। তাহলে কি অন্য কোনও গ্রহ থেকে আসা প্রাণীরা এটি বানিয়েছিলেন? এই প্রশ্ন থেকেই জন্ম নিয়েছে নানা ধোঁয়াশা, যার সুরাহা এখনও পর্যন্ত হয়নি।