For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

অ্যাসিড হামলার শিকার এই ৫ নারীর জীবন কাহিনী আপনাকে অণুপ্রাণিত করবে

By Oneindia Bengali Digital Desk
|

অন্যান্য আর পাঁচ জনের মতোই এরাও সুন্দর নিখুঁত চেহারা নিয়েই এই পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও দোষ না করেও শুধুমাত্র হিংসা, নৃশংসতার জেরে চেহারা ঝলসে গিয়েছে। সমাজে কেউ তাদের কুশ্রী বলেন, কেউ বলেন বেচারা, কেউ আবার ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা মুখের দিকে তাকানোও পছন্দ করেন না।

Acid Attack Victims Whos story inspires you

কিন্তু এই পাঁচ অসামান্য নারীর জীবনের জলচ্ছবি কিন্তু অন্য গল্প বলে। অ্যাসিড হামলা এদের জীবনকে অনেকটা পাল্টে দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু সাহস, মনের জোর আর আত্মবিশ্বাস থাকলে যে পৃথিবীকে দেখিয়ে দেওয়া যায় যে কেউ কারোর চেয়ে কোনও অংশে কম না, তার জলজ্যান্ত প্রমাণ এই পাঁচ নারী। কী যন্ত্রণা, মনের চড়়াই -উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে এক এক মুহূর্ত এরা কাটিয়েছেন তা আমরা হয়তো কখনও বুঝতে পারব না। কিন্তু তারা যেভাবে সেই যন্ত্রণাকে জয় করে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছেছেন তা সত্যি আমাদের অণুপ্রেরণা দেয়।

৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। আসুন না এই পাঁচ সাহসীনি নারীর যুদ্ধের কাহিনী দিয়েই উদযাপন করা যাক নারী শক্তির এই বিশেষ দিনটিকে।

মনিকা সিং

মনিকা সিং

২০০৫ সালে মণিকার কাছে বিয়ের প্রস্তাব আসে। সেই বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করাতেই অ্যাসিজ হামলার শিকার হন মণিকা। আক্রমণের সময় মণিকার বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর। বাড়ি ফেরার সময় হামলাকারীরা অ্যাসিড ছোঁড়ে মণিকাকে লক্ষ্য করে। মণিকার মুখ, গলা কাঁধ ঝলসে যায়।

আজ মণিকা একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। নিউইয়র্কে ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা করছেন। ৪৩ টি অপারেশনের পর মণিকার মুখের গড়ন এসেছে। পুরনো মুখের সঙ্গে যৎসামান্যই মিল পাওয়া যায় এখন।

রেশমা ফতমা

রেশমা ফতমা

মাত্র ১৭ বছর বয়সের রেশমাকে এক ব্যক্তি ছুঁড়ির নিশানায় রেখে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। রেশমা রাজি না হলে, তাঁকে উচিত শিক্ষা দিতে রেশমার মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে মারে ওই পিষাচ। হামলার পর হাসপাতালে যাওয়ার আগে অটো নিয়ে পুলিশস্টেশনে যায় রেশমা। সেখানে ওই ব্যক্তির নামে এফআইআর দায়ের করেন।

এত অল্প বয়সে তার এই সাহসিকতার জন্য ২০১৫ সালে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় তাকে ভারত পুরস্কারে সম্মানিত করেন। আইএএস আধিকারিক হওয়ার স্বপ্ন দুচোখে নিয়ে নিজেকে তৈরি করছে রেশমা।

রূপা

রূপা

মাত্র ১৫ বছর বয়সে সৎ মা অ্যাসিড ছুঁড়ে মারে রূপার মুখে। মুখ পুরো ঝলসে গিয়েছিল তার। সেলাইয়ে দক্ষ রূপা আজ আগরার তাজমহলের কাছে একটি কপি শপের পাশে নিজের বুটিক চালাচ্ছেন নাম রূপাস ক্রিয়েশন। শুধু নিজের বুটিক চালানো নয়, অন্যান্য অ্যাসিড হামলার শিকার হওয়া মহিলাদেরও নিজের প্রতিভাকে চেনাতে সাহায্য করছেন রূপা।

লক্ষ্মী আগরওয়াল

লক্ষ্মী আগরওয়াল

মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিয়ের প্রস্তাব ফেরানোয় এক ব্যক্তি বিয়ার বোতল ভর্তি অ্যাসিড ছুঁড়ে মারে লক্ষ্মীর মুখে। লক্ষ্মীর মুখে একটা পিণ্ডতে পরিণত হয় মুহূর্তের মধ্যে।

আজ ২৭ বছরের লক্ষ্মী গর্বিত অলোক দীক্ষিতের স্ত্রী এবং সুন্দর ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের মা। শুধু তাই নয়, আজ তিনি ছাঁও ফাউন্ডেশনের অধিকর্তাও। এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অ্যাসিড হামলার শিকার হওয়া মানুষদের জন্য কাজ করে।

সোনালি মুখোপাধ্যায়

সোনালি মুখোপাধ্যায়

প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় সোনালীর মুখে অ্যাসিড ছোড়ে হামলাকারীয়। তখন মাত্র ১৮ বছর বয়স ছিল সোনালির।

এই হামলার জেরে হামলাকারীর ৯ বছরের জেল হয়েছে। কিন্তু পুরো সাজা কাটার আগেই জেল থেকে মুক্তি রেয়ে যায় অপরাধী।

আজ সোনালী জনকল্যাণ দফতরে বোকারোর সরকারি স্কুলে গ্রেড ৩ আধিকারিক। স্বাভাবিক বিবাহিত জীবন পালন করছেন সোনালী।

English summary

5 Acid Attack Victims Who's story inspires you

5 Acid Attack Victims Who's story inspires you
X
Desktop Bottom Promotion