Just In
- 34 min ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 2 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 2 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 20 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
Don't Miss
প্রায় সব বাড়িতেই রয়েছেন বুদ্ধ! কিন্তু জানেন কি এমন মূর্তি বাড়িতে রাখলে কী কী নিয়ম মানতে হয়?
আজকাল অনেকেই গৌতম বুদ্ধের মূর্তি বা সোপিস বাড়ার নানা জায়গায় সাজিয়ে রাখেন। কিন্তু একবারের জন্যও জেনে ওঠার চেষ্টা করেন না এমন মূর্তি বাড়িতে রাখার সময় কী কী নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
আমরা অনেকেই না জেনে অনেক ভুল করে ফেলি। আর তার খেসারিত দিতে হয় পুরো পরিবারকে। যেমন বুদ্ধের মূর্তির কথাই ধরুন না। খেয়াল করে দেখবেন ঘর সাজাতে আজকাল অনেকেই গৌতম বুদ্ধের মূর্তি বা সোপিস বাড়ার নানা জায়গায় সাজিয়ে রাখেন। কিন্তু একবারের জন্যও জেনে ওঠার চেষ্টা করেন না এমন মূর্তি বাড়িতে রাখার সময় কী কী নিয়ম মেনে চলা জরুরি। এমনকী এও ভুলে যান যে গৌতম একজন ভগবান!
বাড়িতে হিন্দু দেবদেবীদের মূর্তি বা ছবি রাখলে আমার বেসিক কিছু নিয়ম মেনে চলি। যেমন ধরুন প্রতিদিন পুজো-পাঠের আয়োজন করা হয়, ঠাকুরকে জল-বাতাসা দেওয়া হয়। কিন্তু বুদ্ধের ভাগ্যে কিছুই জটে না। এমনকী সামান্য প্রসাদটুকুও নয়! উল্টে মূর্তির শরীরে মোটা হতে থাকে ধুলোর পরত, যা একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়। তাই তো বলি বন্ধু, নানাবিধ বিপদ থেকে যদি বেঁচে থাকতে চান, তাহলে যাদের বাড়িতেই বুদ্ধদেবের মূর্তি বা যে কোনও ধরনের সোপিস রয়েছে তারা এই লেখাটি পড়তে ভুলবেন না যেন! কারণ দেবের ছবি বা মূর্তি গৃহস্থের অন্দরে জায়গা করে নিলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়, না হলে কিন্তু...
প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখাটা জুরুরি, সেগুলি হল...
১. মূর্তির স্থান:
এমনটা বিশ্বাস কর হয় যে বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে যদি বুদ্ধের মূর্তি রাখা যায়, তাহলে সারা গৃহস্থে পজেটিভ শক্তির বিকাশ ঘটতে শুরু করে, সেই সঙ্গে খারাপ শক্তির প্রভাব কমে। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা তো কমেই, সেই সঙ্গে শুভ শক্তির প্রভাবে ভাগ্যও ফিরে যায়। আর গুডলাক যখন রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে, তখন জীবনের প্রতিটি দিন যে আনন্দে ভরে ওঠে, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে!
২. ওয়াটার এনার্জি:
বাস্তুশাস্ত্রে মতে বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে ওয়াটার এনার্জির প্রভাব খুব বেশি খাকে। তাই তো এই নির্দিষ্ট কোণায় একটি ছোট্ট জলাধার, সঙ্গে বুদ্ধির মূর্তি রাখলে নানাবিধ উপাকার মেলে। যেমন ধরুন-কোনও খারাপ ঘটনার খপ্পরে পরার আশঙ্কা কমে, অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে এবং সামাজিক সম্মান বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।
৩. বাড়ির বাইরে যদি বুদ্ধ মূর্তি রাখতে হয়:
অনেকেই বাড়ির বাগানে বা সুইমিং পুলের আশেপাশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে বুদ্ধের সোপিস রেখে থাকেন। এক্ষেত্রে খেয়াল করে এমন জায়গায় মূর্তিটি রাখবেন যাতে তার উপরে একটি ফুল গাছ থাকে। আর পুল সাইডে রাখা বুদ্ধ মূর্তির সামনে একটি জলাধার রেখে তাতে কয়েকটি পদ্মফুল রাখতে ভুলবেন না যেন! আর খেয়াল করে ২-৩ দিন অন্তর অন্তর ফুলটা বদলে ফেলবেন। এই নিয়মগুলি মানলে দেব এতটাই প্রসন্ন হবেন যে দেখবেন নানাবিধ বিপদ ঘটার আশঙ্কা কমবে।
৪. "ফাইব এলিমেন্ট":
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে যেখানেই বুদ্ধ দেব থাকবেন, সেখানেই থাকতে হবে জল, বায়ু, আগুন, মাটি এবং আকাশ-এর মতো পাঁচটি এলিমেন্ট। তাই দেবের মূর্তি, স্কাল্পচার অথবা সোপিস বাড়িতে থাকলে তার সামনে একটি ছোট্ট মেটাল পাত্রে জল এবং নুড়ি পাথর নিয়ে তাতে কয়েকটি ফুল ফেলে দেবেন। সেই সঙ্গে বুদ্ধ দেবের সামনে সারাক্ষণ জ্বালিয়ে রাখবেন প্রদীপ। এমনটা করলে দেব বেজায় খুশি হবেন। ফলে ভক্তের মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে দেখবেন সময় লাগবে না।
৫. ধর্মচক্র:
খেয়াল করে দেখবেন বেশ কিছু সোপিস বা ছবিতে দেখা যায় বুদ্ধ দেবের ডান হাত রয়েছে তার হৃদপিন্ডের সমান্তরালে, আর ইনডেক্স ফিঙ্গার এমনভাবে ছিঁয়ে রয়েছে বুড়ো আঙুলকে, দেখে মনে হচ্ছে যেন একটা বৃত্ত তৈরি হয়েছে। বুদ্ধের এমন পোজকে ধর্মচক্র পোজ বলা হয়ে থাকে। এমন মূর্তি বাড়িতে বা অফিসে রাখলে আশেপাশের পরিবেশ শান্ত হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে মানসিক অশান্তি এবং স্ট্রেসও দূর হয়।
৬. উত্তরবোধি:
বুদ্ধ দেব হাত জোর করে রয়েছে, আর তাঁর দু হাতের ইনডেক্স ফিঙ্গার ছুঁয়ে রয়েছে একে অপরকে। এই মুদ্রাকে উত্তরবোধি মুদ্রা বলা হয়ে থাকে। এমন মূর্তি বাড়িতে রাখলে শরীর এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে দেবের আশীর্বাদে সারা বাড়িতে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে তার প্রভাবে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কোনও ধরনের কলহ বা অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনাও কমে।
৭. ধ্যান মুদ্রা:
দেব চোখ বন্ধ করে এক মনে ধ্যান করছেন, এমন মূর্তি বা ছবিই সাধারণত দেখা যায় আম বাঙালি বাড়িতে। বুদ্ধের এমন শরীরি ভাষাকে সমাধি মুদ্রাও বলা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, এমন মূর্তি বা ছবি বাড়ির পূর্ব দিকে অথবা উত্তর-পূর্ব দিকে রাখলে মনোযোগ ক্ষমতার বিকাশ ঘটতে সময় লাগে না, সেই সঙ্গে স্ট্রেস, মানসিক অবসাদ এবং অ্যাংজাইটির মতো সমস্যাও দূরে পালায়।
৮. বজ্রপ্রদ্মা মুদ্রা:
দেবের চোখ বন্ধ, পদ্মাসনে বসে আছেন তিনি। আর বুকের উপর রাখা বাঁহাতের তালুর উপর আলতো করে রাখা ডান হাতের তালু। বুদ্ধের এমন অবতারকে বজ্রপদ্মা অবতার বা মুদ্রা বলা হয়ে থাকে। এমন মূর্তি বাড়িতে রাখলে মনের জোড় বারে, সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের ভয়ও দূর হয়। আর মনের অন্দরে জমতে থাকা ভয়ের অন্ধকার যখন ধীরে ধীরে দূর হয়, তখন জীবন পথে চলতে চলতে সামনে আসা যে কোনও সমস্যার পাহাড় সরিয়ে আগে এগিয়ে যেতে যে সময় লাগে না, তা তো বলাই বাহুল্য!
৯. অঞ্জলি মুদ্রা:
বুদ্ধ দেব নমস্কারের ভঙ্গিতে হাত জোর করে বসে রয়েছেন, এমন রূপকে অঞ্জলি অবতার বলা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, বাস্তুশাস্ত্র মতে বাড়ির সদর দরজার সামনে, ডাইনিং রুমে নয়তো লিভিং রুমে এমন মূর্তি রাখলে পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। সেই সঙ্গে সামাজিক সম্মানও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।