Just In
- 4 hrs ago কোন ডাবে বেশি জল, বাইরে থেকে দেখে বুঝবেন কী ভাবে?
- 6 hrs ago গাধার দুধের আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা, জানলে চমকে উঠবেন আপনিও
- 8 hrs ago রুক্ষ-শুষ্ক চুল নিয়ে চিন্তা? জেনে নিন চুলের যত্নে গ্লিসারিনের অবিশ্বাস্য় ভূমিকা
- 10 hrs ago মেষ রাশিতে অস্ত যাবে বুধ, কাজে বাধা-অসাফল্য়, কোন কোন রাশির জন্য বিপদ?
জীবনে সফল হতে চান কী চান না? তাহেল কর্মক্ষেত্রে এই ৯ টা ভুল কাজ একেবারেই করবেন না!
সহজে কারও বশ্যতা স্বীকার করবেন না। যেখানে আপনি ভুল নয়, সেখানে তো নই-ই!
জীবনে সফল হতে গেলে কী করতে হয়? কার জানা আছে এই সহজ প্রশ্নের উত্তরটা? হয়তো সবাই জানে বা কেউ নয়! আসলে আমাদের সবার মধ্যে কর্মক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু কেউই ফিনিশিং লাইন পেরতে পারছে না। কেন? কারণটা নিয়েই তো এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
"প্রতিভা, পরিশ্রম এবং ভাগ্য, এই তিনটি গুণের জোরেই মেলে সাফল্য"- এই কথাটা সেই ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি। কথাটার মধ্যে যে কোনও ভুল আছে, এমনও নয়। তবে আমরা প্রতিদিন নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে যে ভুল কাজগুলি করে থাকি, তা নিয়ে কখনও ভাবি কি? শুনলে হয়তো অবাক হয়ে যাবেন, একাধিক সমীক্ষায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে উপরে আলোচিত তিনটি গুণ থাকার পরেও বেশিরভাগ মানুষ সফল হতে পারেন না। কেন জানেন? কারণ তারা এমন কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, যা তাদের পথের বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। যেমন...
১. সহজে হেরে যাওয়ার মানসিকতা:
মনে রাখবেন, পাহাড়কে পেরতে হিম্মত লাগে। কিন্তু শুকিয়ে যাওয়া নদী পেরতে কোনও কষ্টই করতে হয় না। কেন এমন কথা বলছি জানেন! কারণ আমাদের সবারই অফিসে এমন এক কী দুজন আছেন, যারা কাজে তো খুব ভাল কিন্তু লোকে সেভাবে গুরুত্ব দেন না। কারণ তারা সহজেই অন্যের কাছে বশ্যতা স্বীকার করে নেন। তাই তো গুণ থাকা সত্ত্বেও জীবনে সফল হতে পারেন না। তাই একটা কথা মাথায় রাখবেন, সহজে কারও বশ্যতা স্বীকার করবেন না। যেখানে আপনি ভুল নয়, সেখানে তো নই-ই! কিন্তু তাই বলে সরাসরি লড়াইয়েও যাবেন না। পরিবর্তে বুদ্ধি খাটিয়ে সবাইকে নিজের বসে নিয়ে আসবেন। তাহলেই দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে।
২. দেরি করে কাজ শেষ করবেন না:
দেখবেন যারা অঙ্কে খুব কাঁচা, তারা বাকি সব সাবজেক্ট নিয়ে পরিশ্রম করলেও অঙ্ক নিয়ে একেবারেই মাথা খাটাতে চান না। ফলে তারা সারা জীবনেও অঙ্কে ভাল হয়ে উঠতে পারে না। তেমনি কর্মজীবনেও যে কাজটা খুব শক্ত লাগে, সেটা আমাদের মধ্যে অনেকেই শেষে করবে বলে রেখে দেন, যা একেবারেই করা উচিত নয়। কারণ ভুলে গেলে চলবে না, যাকে একবার কালে ধরে, তাকে বাঁচানো বেজায় কঠিন। তাই তো কোনও কাজ কাল নয়, সব আজই শেষ করার চেষ্টা করুন। এমন মানসিকতা তৈরি করে নিতে পারলে দেখবেন সফলতা আপনার চির সঙ্গী হয়ে উঠবে। এক্ষেত্রে সন্ত কবিরের বলে যাওয়া একটা কথা ভুলে যাবেন না বন্ধুরা, "কাল কারে তো আজ কার, আজ কারে তো আভি!"
৩. সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবেন না যেন!
সফল মানুষেরা সিদ্ধান্ত নিতে একেবারেই সময় নেন না। সব ক্ষেত্রেই যে সিদ্ধান্ত ঠিক হয়, এমন নয় যদিও। কিন্তু, "এটা ঠিক না ওঠা", এই ভাবতে ভাবতে সময় নষ্ট করেন না তাঁরা। বরং বাস্তব বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে সে সময় যেটা ঠিক, সেটাই করে থাকেন। এবার থেকে আপনাকেও এমনটা করতে হবে। কারণ সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা সফলতার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই বলে প্রথমেই না বুঝে শুনে কোনও বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবেন না। বরং নেট প্র্যাকটিসের জন্য ছোট ছোট সিদ্ধান্ত কম সময়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। এমনটা করতে করতেই দেখবেন একটা সময় আসবে, যখন আপনি সহজেই জীবনের বড় সিদ্ধান্তগুলিও নিমেষে নিয়ে নিতে পারবেন।
৪. মনে রাগ চেপে রাখবেন না:
আপনি শোলে সনেমার ঠাকুর নন যে সারা জীবন গব্বর সিং তাড়া করে বেরাবেন। সহজ কথায়, বদলার মানসিকতা ছেড়ে কাজে মন দিন। সারা দিন ধরে যদি ভেবে যান আপনার ক্ষতি করা মানুষদের কীভাবে ক্ষতি করবেন, তাহলে কাজ করবেন কখন! এই করতে গিয়ে তো ফোকাসটাই চলে যাবে। ফলে কাজে পিছিয়ে পরতে থাকবেন। তাই তো যারা সমালোচনা করছে, তাদের করতে দিন। যারা আপনাকে দুঃখ দিয়েছে তাদের ক্ষমা করুন। আর সময়টাকে কাজে লাগান নিজেকে তৈরি করার জন্য। কারণ আপনি যত শক্তিশালী হয়ে উঠবেন, ততই দেখবেন আপনার সমালোচকরা পিছিয়ে পরেছে, আর আপনি সাফল্যের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বেশ এগিয়ে চলেছেন।
৫. নিজেকে সময় দিন:
ব্রেন কখন সবথেকে ভাল কাজ করে জানেন? যখন সে ফ্রি থাকে, দুঃশ্চিন্তা মুক্ত থাকে। তাই তো সারা দিন কাজ আর কাজ নিয়ে পরে না থেকে নিজের জন্যও একটু সময় বার করে নিন। বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে সুযোগ পেলেই সময় কাটান। এমনটা করলেই দেখবেন স্ট্রেস কমবে, বাড়বে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা। আর এমনটা যখনই হবে, তখন আপনাকে আটকায় এমন সাধ্য কার। সেই কারণেই তো চিকিৎসকেরা প্রতি ৩-৪ মাস অন্তর ছুটি নিয়ে কোথাও বেরিয়ে আসার পরামর্শ দেন। এমনটা করলে ব্রেন পাওয়া এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে সফলতা আর দূরের স্বপ্ন হয়ে থাকতেই পারে না।
৬. শরীরের খেয়াল রাখুন:
গাড়ির টায়ার ফেঁসে গিয়ে থাকলে ট্যাঙ্কে যতই তেল থাকুন না কেন, গাড়ি কি একটুও এগবে? না তো! তেমনি শরীর নামক গাড়িটিই যদি খারাপ হয়ে যায়, তাহলে ব্রেন নামক জ্বালানিটা যতই মজুত থাকুক না কেন, কোনও কাজে কী লাগবে! তাই তো শরীরের খেয়াল রাখুন। শরীর চাঙ্গা থাকলে তবেই কিন্তু আপনি রেসে জিততে পারবেন। ভুলে যাবেন না রেসের মাঠে খোঁড়া হয়ে যাওয়া ঘোড়াকে যেমন গুলি মেরে দেওয়া হয়, তেমনি কর্মক্ষেত্র নামক দৌড়েও কিন্তু দুর্বলের কোনও জায়গা নেই।
৭.সোসাল মিডিয়ায় বেশি "সোসাল" হবে না প্লিজ!
একাধিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, কাজ করতে করতে হোয়াটস অ্যাপ বা ফেসবুক করার প্রবণতা মনোসংযোগের বারোটা বাজিয়ে দেয়। ফলে কাজে যেমন ক্ষতি হয়, তেমনি কাজের মানও খারপ হতে শুরু করে। তাই তো ফেসবুক, টুইটার বা ইনস্টাগ্রামের সঙ্গে আপনার কাজের সরাসরি যোগ না থাকলে অফিস টাইমে এগুলিকে ভুলে যান। দেখবেন উপকার আপনি পাবেনই।
৮. আপনি কি ঝুঁকি নিতে ভয় পান?
ফেসবুকের আবিষ্কর্তা মার্ক জুকেনবার্গ একবার কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, "জীবনের সবথেকে বড় ঝঁকি হল কোনও ধরনের ঝুঁকি না নেওয়া। যেভাবে আমাদের চারপাশের দুনিয়ে দ্রুত বদলে যাচ্ছে তাতে সফলতা পেতে ঝুঁকি নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই!" তাই তো সফল হতে গেলে আপনাকেও নিরাপদ আস্তানা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। মনের অন্দরে জমে থাকা ভয়কে একে একে মেরে ফলে নতুন সিদ্ধান্ত নিতেই হবে, না হলে যে একদিন হারিয়ে যেতে হবে বন্ধু। কারণ ডারউইনের সেই তত্ত্ব মনে আছে তো, "বিবর্তনের সঙ্গে যারা বদলায় না, তারা একদিন এই পৃথিবী থেকে মুছে যায়।"