Just In
- 2 hrs ago প্রচণ্ড গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে খান সুপারফুড চিয়া সিড!
- 4 hrs ago কাঠফাটা গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করবে এই ফলগুলি!
- 6 hrs ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 22 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
Don't Miss
ব্যাড লাক পিছু নিক এমনটা চান নাকি? তাহলে ভুলেও এই ভুল কাজগুলি করবেন না যেন!
লাকে বিশ্বাস করেন? কেউ বলবেন করেন। কেউ বলবেন করেন না। কিন্তু একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে পরিশ্রমের সঙ্গে যদি গুড লাক সঙ্গ না দেয়, তাহলে কিন্তু সফলতা পেতে অনেক সময় লেগে যায়।
লাকে বিশ্বাস করেন? কেউ বলবেন করেন। কেউ বলবেন করেন না। কিন্তু একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে পরিশ্রমের সঙ্গে যদি গুড লাক সঙ্গ না দেয়, তাহলে কিন্তু সফলতা পেতে অনেক সময় লেগে যায়। তাই তো জীবনের প্রতিটি ধাপে গুড লাকের সঙ্গে থাকাটা একান্ত প্রয়োজেন। আর কীভাবে এমনটা সম্ভব?
মহান মানুষেরা বলে গেছেন, কী করে কোনও জিনিস পাওয়া সম্ভব, তার উত্তর খুঁজতে গেলে প্রথমে কী কী বিষয় সেই স্বপ্ন পূরণ করার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে, তা আগে জেনে নিতে হবে। কারণ একের পর এক বাঁধাকে সরাতে থাকলে আপনা থেকেই দেখবেন সেই স্বপ্ন পূরণ হয়ে গেছে। তাই গুড লাক কীভাবে রোজের সঙ্গী হয়ে উঠবে, তা জানতে গেলে ব্যাড লাককে কীভাবে এড়িয়ে চলা সম্ভব, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা একান্ত প্রয়োজন। তাই তো এই প্রবন্ধটি লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া। আসলে এই লেখায় এমন কতগুলি বদঅভ্যাস সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রবেশ ঘটায়। সেই সঙ্গে ব্যাড লাক পিছু পিছু ডেকে আনে। ফলে গুড লাকের কোনও জায়গা থাকে না। তাই যদি চান গুড লাক আপনার প্রীয় বন্ধু হয়ে উঠুক, তাহলে এই প্রবন্ধটি পড়তে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, যে যে ভুল কাজগুলি করার কারণে ব্যাড লাক আমাদের পিছু নিয়ে থাকে, সেগুলি হল...
১. বাথরুম অপরিষ্কার রাখা:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাথরুম অপরিষ্কার রাখলে গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রবেশ এত মাত্রায় ঘটে যে একের পর এক খারাপ ঘঠনা ঘটার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। তাই ভুলেও বাথরুমকে অপরিষ্কার করে রাখবেন না যেন! প্রসঙ্গত, বিশেষজ্ঞদের মতে বাথরুমে জল জমে থাকাটাও কিন্তু একেবারেই শুভ ঘটনা নয়। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখতেও ভুলবেন না যেন!
২. খাবার নষ্ট করা:
যতটা প্রয়োজন ঠিক ততটা খাবার প্লেটে নিন। চোখের খিদেতে বেশি খাবার ভুলেও নেবেন না যেন! কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে খাবার নষ্ট করা কিন্তু একেবারেই উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে ব্যাড লাক পিছু নেয়। শুধু তাই নয়, মা লক্ষ্মী এতটা রেগে যান যে কমর্ক্ষেত্রে উন্নতি লাভের সম্ভাবনা তো কমেই, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই যদি চান গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে উঠুক, তাহলে ভুলেও এবার থেকে খাবারের একটা দানাও নষ্ট করবেন না যেন!
৩. রান্না ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয়, যে বাড়ির রান্না ঘর অপরিষ্কার থাকে, সে বাড়ির প্রতিটি সদস্যের মঙ্গল দোষে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। আর যেমনটা সবারই জানা আছে যে মঙ্গল দোষ যাদের থাকে, তাদের জীবনের প্রতিটি পদে এত মাত্রায় বাঁধার সম্মুখিন হতে হয় যে সুখের জীবন যেন দূরের স্বপ্ন মনে হয়। তাই গুড লাককে যদি গৃহস্থের অন্দরে আমন্ত্রণ জানাতে চান, তাহলে ভুলেও রান্না ঘরকে অপরিষ্কার করে রাখবেন না যেন!
৪.এদিক-সেদিকে ছড়িয়ে থাকা জুতো:
বাস্তুশাস্ত্রে এমনটা বলা হয়েছে যে বাড়ির ইতি-উতি যদি জুতো ছড়ানো অবস্থায় থাকে, তাহলে সব দিক থেকে খারাপ শক্তির আক্রমণ বেড়ে যায়। ফলে কর্মক্ষেত্রে এবং সামাজিক জীবনে সম্মানহানীর আশঙ্কা যেমন বেড়ে যায়, তেমনি আরও নানাবিধ সমস্যার সম্মুখিন হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই তো সব সময় খেয়াল রাখবেন বাড়ির এখানে-সেখানে যেন জুতো ছড়ানো অবস্থায় না থাকে।
৫. বিছানা পরিষ্কার করে রাখতে হবে:
মারাত্মক খারাপ ঘটনা ঘটুক এমনটা যদি না চান, তাহলে ঘুম থেকে ওঠার পর নিয়ম করে বিছানা পরিষ্কার করবেন। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বেডরুম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে সেখানে মা লক্ষ্মীর প্রবেশ ঘটে। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি লাভের সম্ভাবনা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে গৃহস্থে সুখ-শান্তির পরিবেশ বজায় থাকে।
৬. জোরে কথা বলা উচিত নয়:
শাস্ত্রে বলে জোরে জোরে কথা বললে শনি দেব খুব রেগে যান। আর যেমনটা আপনাদের সবারই জানা আছে যে শনির কুদৃষ্টি যদি একবার আপনার উপর পরে যায়। তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কারণ সেক্ষেত্রে জীবন এতটাই কষ্টকর হয়ে ওঠে যে প্রতিটি দিন যেন এক একটা বছরের মতো মনে হয়। তাই এবার থেকে কথা বলার সময় এই বিষয়টি মাথায় রাখতে ভুলবেন না যেন!
৭. দেরি করে শুতে যাবেন না:
বিশেষজ্ঞদের মতে দেরি করে যারা শুতে যান, তাদের চন্দ্র দোষে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর একবার এমন ঘটনা ঘটে গেলে কিন্তু বিপদ! কারণ চন্দ্র দোষে আক্রান্ত হলে মানসিক চাপ বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে মন এত মাত্রায় খারাপ হয়ে যায় যে ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। তাই বন্ধু সুখ-শান্তিতে যদি বাঁচতে চান, তাহলে দয়াকরে দেরি করে ঘুমতে যাবেন না যেন!