Just In
বাস্তু দোষের কারণে প্রিয়জনদের কোনও ক্ষতি হোক এমনটা চান নাকি? তাহলে কিন্তু...
এই লেখায় এমন কতগুলি বাস্তু নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা এতটাই আজব যে প্রথমটায় হয়তো বিশ্বাস করতে একটু কষ্ট হতে পারে। কিন্তু যদি মেনে চলতে পারেন, তাহলে সুফল পাবেনই পাবেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে যাদের গৃহস্থে দোষ থাকে, তাদের পরিবারে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে লেজুড় হয় অর্থনৈতিক সমস্যাও। আর সবথেকে ভয়ের বিষয় হল, কার বাড়িতে বাস্তু ঠিক আছে, আর কার বাড়িতে নেই, তা আগে থেকে বোঝা সম্ভাব নয়। তাই তো সুখ-শান্তিতে এবং নিশ্চিন্তে থাকতে সবারই এই প্রবন্ধটি পড়া মাস্ট!
আসলে এই লেখায় এমন কতগুলি বাস্তু নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা এতটাই আজব যে প্রথমটায় হয়তো বিশ্বাস করতে একটু কষ্ট হতে পারে। কিন্তু যদি মেনে চলতে পারেন, তাহলে যে সুফল পাবেনই পাবেন, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই! প্রসঙ্গত, বাস্তু দোষ কাটাতে যে যে বিষযগুলি মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন, সেগুলি হল...
১. গরুর মূর্তি:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির উত্তর-পশ্চিম কোণে যদি একটি রুপো দিয়ে তৈরি গরুর মূর্তি এনে রাখতে পারেন, তাহলে বাস্তু দোষ কেটে যেতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, এমনটা করলে গৃহস্তের অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ তো প্রশস্ত হয়ই, সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্র থেকে সামাজিক জীবন, সব ক্ষেত্রেই সম্মান বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, শ্রী কৃষ্ণ গরুর সঙ্গে দাড়িয়ে রয়েছেন এমন ছবি এনে রাখলেও কিন্তু সমান উপকার পাওয়া যায়।
২. কুকুরের মহিমা:
যাদের বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম কোনে সদর দরজা বা টয়লেট, তাদের বাড়িতে খারাপ শক্তির প্রবেশ ঘটতে কিন্তু সময় লাগে না। কারণ বাস্তু নিয়ন অনুসারে বাড়ির এই দিকে ভুলেও দরজা বা বাথরুম থাকা উচিত নয়। প্রসঙ্গত, খারাপ শক্তির প্রবেশ যখন ঘটে, তখন কিন্তু ব্যাড লাক পিছু নেয়। তাই এই বিষয়টি খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। এখন প্রশ্ন হল, যারা ইতিমধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম কোনে দরজা বানিয়ে ফেলেছেন তারা কী করবেন? এক্ষেত্রে বাস্তু দোষ কাটাতে বাড়িতে একটি কালো রঙের কুকুর এনে রাখতে পারেন। আর যদি এমনটা করা সম্ভব না হয়, তাহলে প্রতিদিন রাস্তার কুকুরদের খাবার খাওয়ানো শুরু করুন, দেখবেন বাস্তু দোষ কেটে যেতে সময় লাগবে না।
৩. টিয়া পাখি:
বাড়ির উত্তর কোনে যদি বাস্তু দোষ থাকে, তাহলে পরিবারের ছোট সদস্যদের জীবনে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বৈবাহিক জীবনে অশান্তি, অর্থ ক্ষয় এবং কর্মক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করে। এই কারণেই তো বাড়ির এই নির্দিষ্ট কোনে টিয়া পাখি এনে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। আর যদি এমনটা করতে না পারেন, তাহলে তামা দিয়ে তৈরি কচ্ছপের মূর্তি বা টিয়া পাখির ছবিও উত্তর কোনে রাখতে পারেন। কারণ এমনটা করলেও কিন্তু বেশ উপকার পাওয়া যায়।
৪. বিড়াল, খরগোশ এবং পাখি:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে পজেটিভ শক্তির বিকাশ ঘঠাতে এবং বাস্তু দোষের প্রভাব কমাতে বিড়াল, খরগোশ অথবা পাখি পোষা উচিত। আসলে এই নিয়মটি মানলে বাড়ির প্রতিটি কোনায় শুভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে বাস্তু দোষ কাটতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, যারা বাড়িতে এই সব প্রাণীদের পুষতে পারবেন না, তারা প্রতিদিন নিয়ম করে বিড়াল এবং পাখিদের খাবার খাওনো শুরু করুন! কারণ এমনটা করলেও কিন্তু দারুন উপকার মেলে।
৫. মহিষের মূর্তি:
হাজারো চেষ্টা করেও মনের মতো চাকরি পাচ্ছেন না? সঙ্গে লেজুড় হয়েছে টাকার সমস্যাও? তাহলে বন্ধু বাড়ির পশ্চিম দিকে একটা মহিষের মূর্তি এনে রাখতে ভুলবেন না যেন! কারণ বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে গৃহস্থের এই নির্দিষ্ট দিকটিতে যদি দোষ থাকে, তাহলেই মূলত এই ধরনের সমস্যাগুলি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, কর্মক্ষেত্রে দ্রুত উন্নতি লাভ করতেও চাইলেও কিন্তু এই নিয়মটি মেনে চলতে পারেন।
৬. লাল ঘোড়া:
বাড়ির উত্তর-পূর্ব অথবা দক্ষিণ দিকে লাল ঘোড়ার মূর্তি এনে রাখলে বাস্তু দোষ কেটে যেতে সময় লাগে না। ফলে সামাজিক সম্মান তো বাড়েই, সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করার পথও প্রশস্ত হয়। প্রসঙ্গত,বাড়ির সদর দরজার সামনে অথবা পূর্ব দিকে যদি ঘোড়ার ছবি বা মূর্তি রাখা যায়, তাহলেও কিন্তু দারুন উপকার মেলে। আসলে এই নিয়মটি মানলে গৃহস্তে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বেড়ে যায়। ফলে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জীবন সুন্দর হয়ে উঠতে সময় লাগে না।
৭. রাহু দোষ কাটাতে:
বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে মাটি দিয়ে তৈরি হাতি, দক্ষিণ দিকে লাল পাথর দিয়ে তৈরি হাতি এবং পশ্চিম দিকে মার্বেল দিয়ে তৈরি হাতির মূর্তি রাখলে বাস্তু দোষ তো কেটে যায়ই, সেই সঙ্গে রাহু দোষের প্রকোপও কমতে শুরু করে। এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় জেনে নেওয়া একান্ত প্রয়োজন। কী বিষয়? হাতির মূর্তি যদি রাখতে না পারেন, তাহলে ছবি রাখলেও চলবে। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে হাতির ছবি রাখলেও সমান উপকার পাওয়া যায়।