Just In
- 5 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 6 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 9 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 11 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
চিন্তায় চিন্তায় কি রাতের ঘুম উড়েছে? তাহলে বন্ধু এই বাস্তু নিয়মগুলি মেনে চলতে ভুলবেন না যেন!
স্ট্রেস কমাতে প্রাণায়মের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে এই প্রবন্ধে আলোচিত বাস্তুনিয়মগুলি মেনে চললেও সমান উপকার পাওয়া যায়।
আজকের প্রতিযোগিতাময় জীবনে সিংহভাগ ভারতীয়ই স্ট্রেসের শিকার। সেই সঙ্গে মাসের ই এম আই, পরিবারের দায়িত্ব এবং আরও নানা কারণে অ্যাংজাইটিও লেজুড় হতে সময় লাগে না। ফলে কম বয়স থেকেই শরীর এবং মস্তিষ্ক ঝাঁঝরা হতে শুরু করে। বিশেষত একাধিক মারণ রোগ শরীরে এসে বাসা বাঁধতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রকাশিত বেশ কিছু সমীক্ষা অনুসারে গত কয়েক বছরে এদেশে যে যে রোগের প্রকোপ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তার বেশিরভাগেরই সঙ্গে স্ট্রেসের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই তো এমন পরিস্থিতিতে সুস্থভাবে বাঁচা যায় কীভাবে, সে সম্পর্কে জানতে চোখ রাখতেই হবে এই প্রবন্ধে। না হলে কিন্তু...
কেন এমন কথা বলছি তাই ভাবছেন নিশ্চয়? আসলে একথা তো সবারই জানা আছে যে স্ট্রেস কমাতে প্রাণায়মের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে এই প্রবন্ধে আলোচিত বাস্তুনিয়মগুলি মেনে চললেও সমান উপকার পাওয়া যায়। আসলে এই নিয়মগুলি মানলে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে তার প্রভাবে শরীর এবং মস্তিষ্ক চাঙ্গা হয়ে উঠতে সময় লাগে না। ফলে স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটির প্রকোপ কমে চোখে পরার মতো।
এখন প্রশ্ন হল মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তার মতো বিষকে দূরে রাখতে কী কী বাস্তু নিয়ম মেনে চলতে হবে?
১. বাড়ির প্রবেশ পথ:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে যে কোনও বাড়ির প্রবেশ পথ খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই তো বাড়ির মূল ফটকের ভিতর দিকের দেওয়াল সাদা রঙের হওয়া উচিত। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির এই অংশে সাদা রং করলে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব কমতে সময় লাগে না। ফলে দুশ্চিন্তাও কমে চোখের পলকে। তবে এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মাখায় রাখতে হবে, তা হল বাড়ির মূল ফটক যেন ভুলেও পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিকে না হয়। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে এমনটা হলে মানসিক অশান্তি তো কমেই না, উল্টে আরও বেড়ে যায়।
২. সন্ধক লবন:
শুনতে আজব লাগলেও বাস্তবিকই স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটি দূর করতে সন্ধক লবন দারুন কাজে আসে। এক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ লবন নিয়ে বাথরুমের প্রতিটি কোনায় ফেলে রাখতে হবে। আসলে এমনটা করলে বাড়ির অন্দরে উপস্থিত অশুভ শক্তি দূরে পালাতে শুরু করবে। ফলে যে শুধু চিন্তা কমবে, এমন নয়, সেই সঙ্গে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কাও হ্রাস পাবে। সেই সঙ্গে সন্ধক লবনের গুণে পরিবারের অন্দরে কোনও ধরনের কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনাও কমবে।
৩. উইন্ড চেমস:
বাস্তু শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে বাড়ির প্রবেশ পথে অথবা যে অংশে খুব হাওয়া চলে, সেখানে একটা উইন্ড চেমস ঝোলালে বাড়ির প্রতিটি কোনা বিশেষ এক ধরনের শব্দে ভরে ওঠে, যার প্রভাবে নেগেটিভিটি দূরে পালাতে সময় লাগে না। আর এমনটা যখন হয়, তখন কী কী উপকার পাওয়া যায়, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তা হল সুখে-শান্তিতে থাকতে ভুলেও শোওয়ার ঘরে মিউজিক সিস্টেম বা টিভি রাখবেন না যেন!
৪. রান্না ঘরের অবস্থান:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে রান্না ঘর তৈরি করলে দেহের ক্ষমতা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের উপরও নেগেটিভ শক্তির প্রভাব পরতে থাকে। ফলে স্ট্রেস এবং মানসিক অশান্তির মাত্রা বাড়তে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, আত্মবিশ্বাসও কমে চোখে পরার মতো। এখন প্রশ্ন হল, যারা ইতিমধ্যেই উত্তর-পূর্ব দিকে রান্না ঘর তৈরি করে ফেলেছেন তারা কী করবেন? সেক্ষেত্রে রান্না ঘরে গ্রিন স্টোন রাখতে হবে। আসলে এমনটা করলে গৃহস্থে প্রবেশ করা অশুভ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করবে। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা তো কমবেই। সেই সঙ্গে জীবনে হারিয়ে যাওয়া সুখ-শান্তিও ফিরে আসবে।
৫. বাড়ির অন্দরের রং:
স্ট্রেসমুক্ত জীবনযাপন যদি করতে চান, তাহলে উত্তর-পূর্ব দিকের দেওয়ালে লাল অথবা কমলা রং করবেন না। আর দক্ষিণ দিকের দেওযালের রং যেন ভুলেও নীল না হয়। কারণ এই নিয়মটি না মানলে আত্মবিশ্বাস বেজায় কমে যায়। সেই সঙ্গে মানসিক অশান্তি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে।