For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

সাবধান: ভূতের খপ্পরে যদি পরতে না চান তাহলে সন্ধ্যার পর কলকাতা শহরের এই জায়গাগুলিতে যাবেন না যেন!

এদেশের পুরানো শহরগুলির মধ্যে অন্যতম হল কলকাতা। আর এ শহরে যেহেতু ব্রিটিশরা গেড়ে বসেছিল, তাই আজও সন্ধ্যার অন্ধকারে কলকাতার নানা জায়গায় ইংরেজ ভূতেদের দাপাদাপির কথা শুনতে পাওয়া যায়।

|

এদেশের পুরানো শহরগুলির মধ্যে অন্যতম হল কলকাতা। আর এ শহরে যেহেতু ব্রিটিশরা গেড়ে বসেছিল, তাই আজও সন্ধ্যার অন্ধকারে কলকাতার নানা জায়গায় ইংরেজ ভূতেদের দাপাদাপির কথা শুনতে পাওয়া যায়। নিশ্চয় ভাবছেন এসবই আজগুবি গল্প! কী তাই তো?

এমনটা ভাবার ভুল কাজটি করবেন না যেন। কারণ একাধিক প্রমাণ পাওয়া গেছে যে রাতের অন্ধকারে কলতাকার এই জায়গাগুলি ভূতেদের স্বর্গ রাজ্য হয়ে ওঠে। তাই এ সময়, এসব জায়গায় পা রাখা মানেই কিন্তু অক্কা যাওয়া। শুধু কী তাই! এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে খারাপ আত্মা যদি একবার আমাদের বাড়ির অন্দরে প্রবেশ করে যায়, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কারণ সেক্ষেত্রে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে নানা সমস্যা। তাই যতই সাহসী হন না কেন, ভুলেও অন্ধকারে ভূত দর্শনের ইচ্ছা নিয়ে এসব জায়গায় পৌঁচে যাবেন না যেন!

কলকাতা শহরের ইতিহাস নিয়ে যারা চর্চা করেন, তাদের অনেকের মতে এ শহরে ব্রিটিশদের অত্যাচার অনেক সময়ই মাত্রা ছাড়িয়েছিল। শুধু কি তাই, অসংখ্য নির্দোষকে ফাঁসি কাটে ঝোলাতেও পিছপা হয়নি ব্রিটিশ সরকার। আর এইসব অতৃপ্ত আত্মাদের বাস এখনও পরিলক্ষিত হয় সেই সব জায়গায়, যেখানে কোনও সময় তাদের প্রাণ কেরে নিয়েছিল ব্রিটিশ মহারানীর পেনের খোঁচা। আর সব থেকে ভয়ের বিষয় কি জানেন, তিলোত্তমার প্রাণ কেন্দ্রেই ছড়িয়ে রয়েছে এই সব জায়গাগুলি, কিছু তো টুরিস্ট ডেস্টিনেশনও। তাই তো দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর এইসব জায়গায় যেতে মানা করা হয় সাধারণ মানুষদের।

ভূতের খপ্পর থেকে প্রাণ বাঁচাতে সন্ধ্যা ৬ টার পর যে যে জায়গাগুলিতে ভুলেও যাওয়া চলবে না, সেগুলি হল...

১. ন্যাশনাল লাইব্রেরি, আলিপুর:

১. ন্যাশনাল লাইব্রেরি, আলিপুর:

কলকাতা শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত ব্রিটশ আমলের এই বিল্ডিংটি কলকাতা শহরের অন্যতম টুরিস্ট ডেস্টিনেশন। শুধু কি তাই! রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে আসেন বই পড়তে, গবেষণা করতে। কিন্তু কেউ ভুলেও সন্ধ্যার পর এখানে থাকেন না। কারণ...! কী মনে হয়? ভূতের জন্য! একেবারেই। কারণ অনেকেই এমনটা বলেছেন যে একা একা বসে বই পড়ার সময় মনে হয় যেন কেউ দূর থেকে তাকিয়ে রয়েছে। কোনও কোনও সময় কেউ একেবারে সামনে দাঁড়িয়ে শ্বাস নিচ্ছে এমনও মনে হয়েছে অনেকের। রাত্রে তো লোকেদের হাঁটাচলার আওয়াজও পাওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে কার মনে এত জোর আছে বলুন কি ঘটনার সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে সন্ধার পর ন্যাশনাল লাইব্রেরি থেকে থেকে যায়!

২. হাওড়া ব্রিজের নিচে:

২. হাওড়া ব্রিজের নিচে:

বিখ্যাত এই ব্রিজটির নিচেই রয়েছে মল্লিক ঘাটের ফুল মার্কেট। স্থানীয়দের দাবী অনেক সময়ই রাত্রে বেলা এ জায়গায় আত্মাদের দেখতে পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, মল্লিক ঘাটে বেশ কিছু কুস্তির আখড়াও রয়েছে। তারও বলেন রাত্রে কুস্তি খেলার সময় নাকি অনেকেই দেখছেন গঙ্গা ঘাটে আজব এক মূর্তিকে বসে থাকতে। এরা নাকি সেই সব মানুষেরা, যারা গঙ্গায় ঢুবে আত্মহত্যা করেছেন। তাই তো ভুলেও সন্ধ্যার পর মল্লিক ঘাটের আশেপাশে যাবেন না যেন!

৩. রাইটার্স বিল্ডিং:

৩. রাইটার্স বিল্ডিং:

এখন যদিও এই বিল্ডিংটির রেনোভেশন চলছে। কিন্তু যখন এখানে রাজ্য সরকারের উচ্চ পদস্থ আমলারা বসতেন। তখন নাকি অনেকেই এই বিল্ডিং এ ভূতেদের উপস্থিতি অনুভব করেছেন। বেশ কিছু মন্ত্রীও রয়েছেন, যারা একশো বছরেরও পুরনো এই বাড়িটিতে সন্ধ্যার পর আত্মাদের দেখতে পেয়েছেন। তাই তো সূর্যাস্তের পর কেউ এই বাড়িটিতে থাকতে চান না। বিকাল ৫-৫:৩০ মধ্যে খালি হয়ে যায় পুরো বিল্ডিং। প্রসঙ্গত, সরকারের এই সদর দফতরটিতে রাত্রে যারা পাহারা দেন, তারা অনকেই বলেছেন মধ্য রাত্রে নাকি বিপ্লবী বিনয়, বাদল এবং দিনেশকে এ চত্ত্বরে দেখা যায়। তাই আপনি যদি ভূতেদের সঙ্গে এক রাত কাটাতে চান, তাহলে একবার রাইটার্স বিল্ডিং-এ সন্ধ্যা ৭ টার পর ঢুঁ মারতে ভুলবেন না যেন!

৪. রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশন:

৪. রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশন:

পরিসংখ্যান অনুসারে কলকাতা শহরে ঘটা আত্মহত্যার ঘটনার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই হয় এ জায়গায়। তাই তো কলকাতা শহরের "হন্টেড" জায়গাগুলির মধ্যে একেবারে উপরের দিকে স্থান পেয়েছে রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টশন। অনেকেই বলেন রাতের শেষ মেট্রোতে নাকি এমন অনেক অবয়ব দেখতে পাওয়া যায়, যা মটেও মানুষের নয়। তাই যদি বাঁচতে চান, তাহলে ভুলেও রবীন্দ্র সরোবর স্টেশন থেকে রাত ৯:৩০ পর মেট্রো ধরবেন না যেন।

৫. হেস্টিং হাউজ:

৫. হেস্টিং হাউজ:

এক সময়ের হেস্টিং হাউজ আজকের মহিলা হস্টেল। কলকাতা ইউনির্ভাসিটির ছাত্রীরা এখানে থাকেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে রাত্রে নাকি অনেকেই হেস্টিং সাহেবের অবয়বকে দেখতে পেয়েছেন। এমনকি তার হাঁটাচলার শব্দও নাকি পাওয়া যায়। আসলে এই বাড়িতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগছ ফেলে গিয়েছিলেন ওয়ারেন হেস্টিং, যা তাঁর সম্মান বাঁচাতে পরতো ব্রিটেনে। তাই নাকি তিনি বারে বারে ফিরে আসেন তার প্রিয় হেস্টিং হাউজে সেই সব কাগজগুলির খোঁজে। তাই আপনি যদি নরম মনের মানুষ না হন, তাহলে এই ব্রিটিশ বড়কর্তার খোঁজে সন্ধার পর একবার হেস্টিং হাইজে ঢুঁ মারতেই পারেন।

picture courtesy

Read more about: বিশ্ব
English summary

the most haunted places in Kolkata- If you are brave enough, read the mysterious stories behind them and go ahead to feel the paranormal.

Kolkata is the cultural capital of the country, but as you look deep in it, you can discover the haunted secrets of the city. Kolkata is home to many ancient buildings and some of them are home to ghosts and spirits! The city is also considered to be a hub of tantra and black magic. Sounds interesting, right? Do you have a chill down your spine or do you get excited from the horror tales? Are you a horror movie buff? Are you among those who go to see every horror film in the theater just to get the extra thrill?If you are one of them, who finds adventure in spookiness, then you must surely visit these haunted places once you are in Kolkata.
Story first published: Wednesday, April 11, 2018, 12:47 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion