Just In
- 1 hr ago ইতিমধ্যেই বাংলায় জারি তাপপ্রবাহের সতর্কতা! নিরাপদ থাকার জন্য কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, দেখুন
- 4 hrs ago দিন দিন তাপমাত্রা উর্দ্ধমুখী, গরমে সুস্থ থাকতে কী করবেন, দেখুন
- 6 hrs ago দাম্পত্য জীবনে সুখ থাকবে কন্যা রাশির, আর্থিক লাভ ৫ রাশির, আজকের দিন কেমন যাবে? দেখুন রাশিফল
- 22 hrs ago গরমে নিয়মিত খাচ্ছেন শসা? এর মধ্যে রয়েছে অজানা উপকার, দেখুন
ভারতের ৫ আশ্চর্য মন্দির!
আমাদের দেশ হল ধর্মের দেশ। যেখানে বিশ্বাস এবং অবিশ্বাসের খেলা চলে প্রতিনিয়ত। সেই সঙ্গে ৩৩ কোটি দেবতাদের নিয়ে গল্পের তো শেষ নেই।
"মন্দির" কথাটা শুনলেই আমাদের মনের পর্দায় যে ছবিটা উঠে আসে, তার থেকে এই মন্দিরগুলি একেবারেই আলাদা। এখানে ভগবানের পুজো হয় একেবারে আশ্চর্য নিয়ম মেনে, যা বাস্তবিকই জগৎ ছাড়া। তাই কখন যদি এই মন্দিরগুলির কোনওটিতে পৌঁছেও যান, তাহলে সাবধান!
আমাদের দেশ হল ধর্মের দেশ। যেখানে বিশ্বাস এবং অবিশ্বাসের খেলা চলে প্রতিনিয়ত। সেই সঙ্গে ৩৩ কোটি দেবতাদের নিয়ে গল্পের তো শেষ নেই। আর সেই গল্পগুলিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এক একটা পিঠস্থানও বেজায় আশ্চর্য রকমের, যে সম্পর্কে হয়তো অনেকেই খোঁজ রাখেন না। তাই এই প্রবন্ধে আজ ভারতের এমন কিছু মন্দির সম্পর্কে আলোচনা করা হবে, যা পড়তে পড়তে আপনার গায়ের লোম খাড়া হয়ে যাবেই। আর আপনি যদি একজন ভ্রমণ পিপাষু হন, তাহলে তো কথাই নেই!
১. মাহেন্দিপুর বালাজি মন্দির:
রাজস্থানের একটা ছোট্ট গ্রামে অবস্থিত এই মন্দিরটি। আকারেও খুব একটা বড় নয়। নেই তেমন জাকজমকও। কিন্তু সমগ্র রাজস্থান জুড়েই মাহেন্দিপুর বালাজি মন্দির নিয়ে নানা গল্প শুনতে পাওয়া যায়। কারণ এই বিশ শতকেও এই মন্দিরে ভূত তাড়ানোর কাজ করেন পুরোহিতেরা। এখানে আসার পর দেওয়ালে মাথা ঠুকতে হয়, নয়তো চেন দিয়ে নিজেকে বেঁধে রেখে নিস্তার পেতে হয় ভুতেদের খপ্পর থেকে। অনেকে তো সিলিং-এর সঙ্গে নিজেকে ঝুলিয়েও দেন। কারণ এখানকার মানুষেরা এমনটা বিশ্বাস করেন যে নিজের পার্থিব শরীরের উপর অত্যাচার চালালে তবেই শরীরে ভর করে থাকা ভূতেরা দূরে পালায়। আরে দাঁড়ান দাঁড়ান এখনও গল্প বাকি আছে! এই মন্দিরে কোনও প্রসাদ বিতরণ করা হয় না। কারণ এই মন্দির যে আর পাঁচটা মন্দিরের মতো নয়। এখানে ভগবানের পুজো তো হয়, কিন্তু এই মন্দির আদতে ভূত তাড়ানোর মন্দির। যেখানে আমজনতার প্রবেশ মানা। প্রসঙ্গত, আরেকটি আজব নিয়ম মেনে চলা হয় এই মন্দিরে। কী সেই নিয়ম? একবার এই মন্দির থেকে বেরনোর পর পিছনে ফিরে দেখতে মানা করা হয়। কারণ এমনটা না করলে নাকি ভূতেরা পুনরায় শরীরে বাসা বাঁধার সুযোগ পেয়ে যায়। তাই কখনও যদি রাজস্থানের এই বালাজি মন্দিরে ঘুরতে যান, তাহলে ভুলেও কিন্তু পিছনে ফিরে তাকাবেন না।
২. দেবজি মাহারাজ মন্দির:
ভূত এবং ইভিল স্পরিট নিয়ে যাদের বেজায় কৌতহল, তারা মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত এই মন্দিরটিতে একবার যেতেই পারেন। কারণ প্রতিবছর এই মন্দির প্রঙ্গনে আজব এক ধরনের মেলার আয়োজন করা হয়, যাকে এই অঞ্চলের মানুষেরা ভূত মেলা বলে ডেকে থাকেন। মানে! কী হয় এই মেলায়? আমাদের আশপাশে ঘোরাঘুরি করা অতৃপ্ত আত্মাদের শান্ত করতেই মূলত এই মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, ভূতেদের খপ্পর থেকে বাঁচতেও লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমান এই দেবস্থানে। কারণ স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন এই মন্দিরে এলে কোনও আত্মা ধারে কাছে ঘেঁষার সাহস পায় না।
৩. কদুঙ্গালুর ভাগবতি মন্দির:
কেরালার এই মন্দিরটিতে বছর একটি নির্দিষ্ট সময়ে সাত দিনেক জন্য এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যা ভারানি উৎসব নামে পরিচিত। এই উৎসবটি এত সব অজব নিয়ে মেনে পালিত হয় যে সাধারণ মানুষ এই সময় এখানে যেতে ভয় পান। কিন্তু কী এমন হয় এই মন্দিরে? উৎসবটি চলাকালীন মা ভদ্রকালীর ভক্তেরা মায়ের মতো সাজেন। শুধু তাই নয়, হাতে তলোয়ার নিয়ে নিজেদের আঘাত করতে করতে রক্তাত্ব অবস্থান মন্দিরে গিয়ে মায়ের পুজো দেন। এখানেই শেষ নয়, সাতদিন মায়ের পুজোও হয় আজব নিয়ম মেনে। পুজোর সময় মাকে যে প্রসাহ নিবেদন করা হয় তা ছুড়ে ছুড়ে ফেলা হয় মায়ের পায়ের কাছে। প্রসঙ্গত, এই সাত দিন মন্দির চত্ত্বর রক্তের নদিতে ভেসে যায়। তাই তো উৎসবের পরের সাতদিন পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয় মন্দির প্রাঙ্গন।
৪. স্তম্ভেশ্বর মহাদেব মন্দির, গুজরাট:
ভদদরার নিকটে, আরব সাগরের মাঝে অবস্থিত এই মন্দির সারা দিন ধরে কখনও জলের তলায় থাকে, তো কখনও জলের উপরে। তাই তো ভগবান শিবের এই মন্দিরে যাওয়া মোটেও সহজ কাজ নয়। এই কারণেই তো স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন কেউ যদি একবার এই মন্দিরে পৌঁছে যেতে পারেন তাহলে তার উপর দেবাদিদেবের আশীর্বাদ সারা জীবন থাকে। কী করে পৌঁছানো সম্ভব এই মন্দিরে? একমাত্র ভাটার সময়ই সম্ভব। কারণ এই সময়ই জল কমতে শুরু করে। আর তৎনই মন্দির চত্ত্বর জলের দেওয়াল ভেদ করে উপরে উঠে আসে। বাকি সময় মন্দিরের অধিকাংশ অংশই লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যায়।
৫. ব্রহ্মা মন্দির, পুষ্কর, রাজস্থান:
মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব যখন তক্তে ছিলেন তখন তিনি সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে থাকা একাদিক মন্দিরকে ধ্বংস করে দিয়েছিলন। সেই সময় তার ধ্বংসলিলার হাত থেকে একটি মন্দির রক্ষা পয়েছিল, আর সেটি হল পুষ্করের এই ব্রহ্মা মন্দির। তাই তো সারা দেশে এই মন্দিরের জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া। তবে আরেকটি কারণেও এই মন্দির বাকি মন্দিরগুলি থেকে একবারেই আলাদা। কী সেই কারণ? আসলে পুষ্কর ছাড়া সারা বিশ্বে আর একটাও ব্রহ্মা মন্দির নেই। তাই তো সারা দুনিয়া থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্ত প্রতিদিন এসে ভিড় জমান এই মন্দিরে।
এখানেই শেষ নয়। এমন আজব ধরনের আরও অনেক মন্দির এই ভূভারতের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে, যে সম্পর্কে না হয় আরেকদিন আলোচনা করা যাবে। তবে এই প্রবন্ধটি পড়ে যদি ভাল লেগে থাকে, তাহলে লিঙ্ক শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন!