Just In
- 2 hrs ago
আজকের রাশিফল : ২১ জানুয়ারি ২০২১
- 11 hrs ago
ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করুন কর্পূর ও মুলতানি মাটির ফেস প্যাক, দেখুন কীভাবে বানাবেন
- 14 hrs ago
খেলতে খেলতে চোট লেগেছে? এই পদ্ধতি প্রয়োগে নিমেষেই কমবে ব্যথা!
- 18 hrs ago
বুধ প্রবেশ করতে চলেছে কুম্ভ রাশিতে, জানুন এটি ১২টি রাশির উপর কেমন প্রভাব ফেলবে
Don't Miss
বাঙালীর বাংলা...
আমরা 'বাঙালী', আমাদের মাতৃভাষা 'বাংলা'। কিন্তু, বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে সত্যিই কি আমরা আমাদের ভাষাটাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছি? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ-এঁদেরকে বাঙালী হিসেবে পেয়ে বা বাংলা ভাষাকে উচ্চ স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা যতই গর্ববোধ করি না কেন, আদতেই কি আমরা তাঁদের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি? এইসব প্রশ্ন তো থেকেই যায়। বাংলা ভাষা নিয়ে যতই জ্ঞান প্রদান বা সাহিত্যচর্চা করি না কেন এটা আমরা ভালমতোই জানি, যে ভাষায় এখন আমরা বেশিরভাগ বাঙালী কথা বলি সেটা হল 'খিচুড়ি' ভাষার সমগোত্রীয়।
"আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলার গান গাই" বা "মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা..." - এইগুলো শুনে যতই আমরা বাংলায় ফেরার চেষ্টা করি না কেন, আদতে আমরা রয়ে যাই সেই 'খিচুড়ি'- র দেশেই। কিন্তু, আশ্চর্যের বিষয় হল আমাদের এই বাংলা ভাষা এমনই এক ঐতিহ্য বহন করে যা বৃহৎ এক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলকে আগলে রাখতে পারে নিজস্ব ক্ষমতায়।
পৃথিবীতে জনসংখ্যার নিরিখে প্রায় ২৩ কোটি মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। কবিতা, গল্প, গদ্য, প্রবন্ধ, গান, ইত্যাদিতে বাংলা ভাষা তার দাপট বরাবরই বজায় রেখেছে। কিন্তু, জায়গা অনুযায়ী বাংলা ভাষার কথ্য রূপের কিছু পার্থক্য থাকলেও এর লিখিত রূপই ব্যবহারকারীকে বাঙালি বলে পরিচয় দেয়।
আজ, ২১ ফেব্রুয়ারি 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস'। আজকের দিনটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি গৌরবজ্জ্বল দিন। এই দিনটি বাঙালি জনগণের ভাষা আন্দোলনের মর্মন্তুদ ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। বাংলাদেশে এটি 'শহিদ দিবস' বা 'মাতৃভাষা দিবস' হিসেবেও পালিত হয়। শত লড়াই, বিক্ষোভ, রক্ত ঝরার পর এই দিনটি খুশির জয় নিয়ে এসেছিল প্রত্যেক বাঙালির কাছে।
১৯৫২ সালের এই দিনে (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮) বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে কয়েকজন তরুণ শহীদ হন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো আব্দুস সামাদ, রফিক উদ্দিন আহমেদ, আবুল বরকত আব্দুল জব্বর এবং অহিউল্লাহ সহ অনেকেই। তাই এই দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। বাংলা ভাষার জন্য শহীদ হওয়া মানুষদের স্মরণে প্রতি বছর এই দিনটিকে বাংলাদেশ তুমুল রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্মরণ করা হয়। পরে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' পালন করা হয়।
বাংলাদেশে প্রতিবছর অত্যন্ত সম্মানের সহিত এই দিনটি অনেক বড়ো করে পালিত হয়, যা দেখলে স্বাধীনতা দিবসের থেকে কম কিছু মনে হবে না। তবে, দুই বাংলার ভাষা এক হওয়ার কারণে বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও এই দিনটি অত্যন্ত গর্বের সহিত পালিত হয়। নানা উৎসব, অনুষ্ঠান, সেমিনার, বক্তৃতার মাধ্যমে দিনটি পালিত হয়ে থাকে।