Just In
শকুন্তলা দেবীর রেকর্ড ভাঙলেন! বিশ্বের 'দ্রুত মানব ক্যালকুলেটর' ভারতের নীলকান্ত...
ছোট থেকেই তাঁর অসাধারণ স্মরণশক্তি। যেকোনও কিছু খুব সহজেই শিখে ফেলতে পারতেন। মুখে মুখে যোগ-বিয়োগ, গুণ-ভাগ বা কোনও কঠিন অঙ্কের সমাধান ছিল তাঁর বাঁয়ে হাত কা খেল। গোটা বিশ্বে যাঁর পরিচিতি 'হিউম্যান ক্যালকুলেটার' বা 'মানব কম্পিউটার' নামে। এই অসাধারণ গণন ক্ষমতার জন্য তাঁর নাম'গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড'-এও জ্বলজ্বল করছে। শকুন্তলা দেবী, যাঁর এই অসাধারণ প্রতিভা গোটা বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছিল।
তাই মানব কম্পিউটার বলতে সর্বপ্রথমে শকুন্তলা দেবী-এর নামই আমাদের মাথায় আসে। কিন্তু এবার তাঁকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন হায়দরাবাদের নীলকান্ত ভানু প্রকাশ। নতুন করে ইতিহাস গড়লেন বছর কুড়ির এই যুবক। সম্প্রতি লন্ডনের ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অ্যাট মাইন্ড স্পোর্টস অলিম্পিয়াডে স্বর্ণ পদক অর্জন করেছেন নীলকান্ত ভানু প্রকাশ। ভারতের হয়ে মেন্টাল ক্যালকুলেশন ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম সোনা জেতা এই তরুণকে বিশ্বের 'দ্রুত মানব ক্যালকুলেটর' আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
মেন্টাল ক্যালকুলেশন ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ বা মাইন্ড স্পোর্টস অলিম্পিয়াড হল বহিঃ বিভাগের একটি বার্ষিক প্রতিযোগিতা। যেটি সংখ্যাতত্ত্বের খেলা, যার মাধ্যমে মানসিক দক্ষতাকে বিচার করা হয়। ১৯৯৭ সালে এই প্রতিযোগিতার সূচনা হওয়ার পর তা প্রত্যেক বছরই অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, লেবানন, গ্রিস-সহ বিশ্বের ১৩টি দেশের ৩০ জন প্রতিযোগী এই চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছিলেন। সেই প্রতিযোগিতাতেই ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে ৬৫ পয়েন্ট পেয়ে সোনা জিতে নেন নীলকান্ত।
খুব ছোট থেকেই তাঁর গণিতের প্রতি আলাদা আকর্ষণ ছিল। দিল্লির সেন্ট স্টিফেন কলেজের গণিত নিয়ে পড়াশোনা করা এই পড়ুয়া ইতিমধ্যেই চারটি ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ও ৫০টি লিমকা রেকর্ডের অধিকারী। ক্যালকুলেটারের চেয়েও দ্রুতগতিতে গণনা করতে পারেন ভানু প্রকাশ। এর জেরেই এমএসওতে ভারতের হয়ে প্রথম গোল্ড মেডেল জিতেছেন তিনি।