For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

পরিবারে সুখ-শান্তি ফেরাতে মেনে চলতেই হবে বাস্তুশাস্ত্রের এই নিয়মগুলি!

কথায় আছে, "মনের বাস যেইখানে, বাড়িতো আসলে সেইখানেই!" কথাটা বাস্তবিকই সত্যি। ভালবাসার মানুষদের নিয়ে খুশি মনে যে চার দেওয়ালের মধ্যে থাকা হয় তাকেই তো বাড়ি বলে।

By Nayan
|

কথায় আছে, "মনের বাস যেইখানে, বাড়িতো আসলে সেইখানেই!" কথাটা বাস্তবিকই সত্যি। ভালবাসার মানুষদের নিয়ে খুশি মনে যে চার দেওয়ালের মধ্যে থাকা হয় তাকেই তো বাড়ি বলে। তাই তো এই চার দেওয়ালকে অটুট রাখাটা আমাদের সকলেরই দায়িত্ব। না হলে যে আমরা কেউ ভাল থাকতে পারবো না। এখন প্রশ্ন হল, বাড়ির অন্দরের পরিবেশ ঠিক রাখার উপায় কী? সেক্ষেত্রে এই প্রবন্ধের উপর ভরসা রাখতে পারেন। কারণ এই লেখায় সুখী গৃহকোণের চাবিকাঠির সন্ধান দেওয়া হল। পরিবেশন করা হল বাস্তুশাস্ত্রের এমন ১৪ টি নিয়ম, যা মেনে চললে বাড়িতে খুশি বর্ষা হবে, কমবে যে কোনও অঘটন ঘটার আশঙ্কা।

কী কী নিয়ম এক্ষেত্রে মেনে চলাটা জরুরি? চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।

১. জলের অবস্থান:

১. জলের অবস্থান:

অনেকেই বাড়ি ঘর সাজাতে ছোট ছোট ঝরনা ব্যবহার করে থাকেন। কেউ এমনটা করনে গার্ডেনে, তো কেউ লিভিং রুমে। কিন্তু জানা আছে কি বাড়ির কোন জায়গায় এমন ওয়াটার বডি রাখা ভাল? বাস্তু মতে ঘরের মধ্যে কোথায়ও জলের কিছু রাখতে হলে তা রাখতে হবে উত্তর-পশ্চিম দিকে। এমন কী অ্যাকুরিয়াম রাখার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মেনে চলতে হবে।

২. বাথরুম কোথায় বানাতে হবে:

২. বাথরুম কোথায় বানাতে হবে:

বাড়িতে সুখ শান্তি বজায় রাখতে বাথরুমের অবস্থান হতে হবে পূর্ব দিকে। এমনটা করলে পরিবারে খারাপ কিছু ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা কমবে। আসবে সমৃদ্ধি এবং খুশি।

৩. নুনের পাত্র:

৩. নুনের পাত্র:

প্রাচীন শাস্ত্রে এমনটা মনে করা হত নানাবিধ রোগের প্রকোপ কমানোর পাশাপাশি ঘরের অন্দরে যাতে কোনও ধরনের খারাপ শক্তি নিজের জায়গা করে নিতে পারে সেদিকেও নজর রাখে। সই কারণেই বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় রাখার জন্য ঘরের এক কোণায় একবাটি নুন রেখে দেওয়া উচিত।

৪. ওম এবং সোয়াস্তিকা চিহ্ন আঁকুন:

৪. ওম এবং সোয়াস্তিকা চিহ্ন আঁকুন:

এই দুটি চিহ্ন হল ধন এবং সমৃদ্ধির চিহ্ন। তাই তো ঘরের বাইরে ওম এবং সোয়াস্তিক চিহ্ন এঁকে রাখা একান্ত প্রয়োজন। এমনটা করলে পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও আর থাকে না।

৫. বেড রুমে আয়না থাকা চলবে না:

৫. বেড রুমে আয়না থাকা চলবে না:

বাস্তু মতে শোয়ার ঘরে আয়না থাকলে জটিল শরীর খারাপ এবং ঝগড়া-ঝাটি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই শোয়ার ঘর থেকে আয়নাকে দূরে রাখতে হবে। আর যদি এমনটা করা সম্ভব না হয়, তাহলে হয় আয়নাটা শোয়ার সময় ঢাকা দিয়ে দেবেন, নয়তো বিছানার থেকে বেশ খানিকটা দূরত্বে রাখবেন।

৬. লেবু সব ধরনের খারাপ কিছু দূর করে:

৬. লেবু সব ধরনের খারাপ কিছু দূর করে:

এক গ্লাস জলে একটা লেবু ফেলে ঘরের যে কোনও জয়গায় রেখে দিন। এমনটা করলে কারও নজর লাগবে না এবং কালো যাদুর প্রভাব কমে যাবে। প্রসঙ্গত, গ্লাসের জলটা প্রতি শনিবার বদলাতে ভুলবেন না।

৭. দেওয়ালের রং:

৭. দেওয়ালের রং:

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির গুরুত্বপূর্ণ দেওয়ালগুলির রং হতে হবে হলকা রঙের। এমনটা করলে স্ট্রেস কমবে। সেই সঙ্গে বাড়িতে শান্তি ফিরে আসবে। কারণ বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে গাড় রঙ করলে মনের উপর খারাপ প্রভাব পরে। ফলে মন-মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। আর খিটখিটে মেজাজ শান্তিকে ডেকে আনে না, আনে দুঃখকে। সেই কারণেই তো ডাইনিং রুম ছাড়া কোথাও লাল বা ঐ ধরনের ডিপ কালার করতে মানা করেন বাস্তু বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু রান্না ঘরে লাল রং করতে কেন বলা হয়? কারণ লাল হল এমন রং যা আমাদের ক্ষিদে বাড়িয়ে দেয়। এই কারণেই এমন পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

৮. গনেশ পুজো করতেই হবে:

৮. গনেশ পুজো করতেই হবে:

পরিবারে শান্তি বজায় রাখার জন্য প্রতি তিন বছর অন্তর অন্তর গনেশ এবং নবগ্রহ পুজো করা উচিত। এমনটা করলে যে কোনও ধরনের বাস্তু দোষ কেটে যায়। ফলে অঘটন ঘটার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

৯. উইন্ড চিমস লাগাতে পারেন:

৯. উইন্ড চিমস লাগাতে পারেন:

ঘরের যে জায়গায় খুব হাওয়া খেলে সেখানে এটি লাগাতে পারেন। উইন্ড চিমস যত আওয়াজ করবে, তত বাড়ি থেকে খারাপ শক্তি দূর পালাবে।

১০. রান্না ঘরে ওষুধ নৈব নৈব চ!

১০. রান্না ঘরে ওষুধ নৈব নৈব চ!

যে কোনও বাড়ির রান্না ঘর দেখে সেই পরিবারে ভাল-মন্দের সম্পর্কে অনেক কিছুই জেনে নেওয়া যায়। তাই তো রান্না ঘরে ওষুধ রাখতে মানা করেন বাস্তু বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে রান্না ঘরে ওষুধ রাখলে বাড়ির ভাল হয় না। তাই এমন কাজ ভুলেও করবেন না।

১১. সন্ধ্যা দিতে হবে:

১১. সন্ধ্যা দিতে হবে:

প্রতিদিন বেলা শেষে ঠাকুরকে ধুপ-ধূনো দেখিয়ে সন্ধ্য়া দিতে হবে। প্রদীপ জ্বালাতে হবে। এমনটা করলে বাড়িতে জায়গা করে নেওয়া নেগেটিভ এনার্জি কমতে শুরু করবে। ফলে নানাবিধ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

১২. গঙ্গা জল রাখাটা জরুরি:

১২. গঙ্গা জল রাখাটা জরুরি:

ঘরের যে অংশে কম আলো পৌঁছায় সেখানে এক বাটি গঙ্গা জল রেখে দেবেন। এমনটা করলে খারাপ কিছু হওয়ার আশঙ্কা কমবে। প্রসঙ্গত, এই জলটা সপ্তাহে সপ্তাহে কিন্তু পরিবর্তন করতে ভুলবেন না।

১৩. নেমপ্লেট থাকবে একেবারে বাড়ির বাইরে:

১৩. নেমপ্লেট থাকবে একেবারে বাড়ির বাইরে:

বাস্তুশাস্ত্র বলে নেমপ্লেট লাগাতে হবে বাড়ির মেন গেটের সামনে। এমনটা করলে বাড়ির মালিকের সব রকম দিক থেকে ভাল হবে। সেই সঙ্গে পরিবারে মধ্যে পজেটিভি বাড়বে, ভাল খবর আসবে এবং অবশ্যই নতুন নতুন সুযোগ পেতে থাকবেন বাড়ির সদস্য়রা।

১৪. রান্নাঘরের অবস্থান:

১৪. রান্নাঘরের অবস্থান:

বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বানাতে হবে রান্নঘর। আর যদি এমনটা করতে না পারেন তাহলে অবশ্যই রান্না ঘরের অবস্থান হতে হবে বাড়ির উত্তর-পশ্চিম দিকে। এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন গ্যাস ওভেন যদি দক্ষিণ-পূর্ব কোণে রেখে রান্না করা হয়, তাহলে নাকি পরিবারের মঙ্গল হয়।

Read more about: ধর্ম
English summary

"মনের বাস যেইখানে, বাড়িতো আসলে সেইখানেই!" কথাটা বাস্তবিকই সত্যি। ভালবাসার মানুষদের নিয়ে খুশি মনে যে চার দেওয়ালের মধ্যে থাকা হয় তাকেই তো বাড়ি বলে। তাই তো এই চার দেওয়ালকে অটুট রাখাটা আমাদের সকলেরই দায়িত্ব।

According to the vastu doctrine, the bathroom should be on the East, the kitchen in the Southeast or the Northwest side with the cook facing either, East or North. It’s generally better if fire or the heat generating elements are placed on the Southeast side.The master bedroom should preferably be in the South/Southwest direction with the dining room/eating area placed in the West.
Story first published: Saturday, January 20, 2018, 13:35 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion