Just In
- 8 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 10 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 13 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 15 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
যদি বাঁচতে চান তাহলে ভুলেও আমাদের দেশের এই ১০ টি জায়গায় একা যাবেন না!
ভারত হল এমন এক দেশ যার বুকে লুকিয়ে রয়েছে অনেক রহস্য। অনেক যড়যন্ত্র এবং বহু অজানা মৃত্যুর ইতিহাস। এই হারিয়ে যাওয়া মানুষেরা আজও সুক্ষ শরীরে নিজেদের অস্তিত্ব বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অজানা সব কিছই মানুষকে উৎসাহিত করে। তাই তো বিশ্বাস থাকুক বা না থাকুক আমরা অজানার পিছনে দৌড়াতে থাকি। কিন্তু এই জানার চক্করে যে অনেকের প্রাণ চলে যায় সে খবর কি আমরা রাখি? হয়তো নয়! তাই তো আপনাদের কাছে অনুরোধ, যতই আকর্ষণীয় গল্প শুনুন না কেন, ভুলেও ভারতের এই ৩৫ টি জায়গায় একা একা যাবেন না। রাতের বেলা তো একেবারেই নয়! কারণ লোকগাঁথা অনুযায়ী এই জায়গাগুলি হল ভূতেদের আস্তানা। তর্কের খাতিরে হয়তো বলবেন ভূতে বিশ্বাস করেন না। কিন্তু জানিয়ে রাখি, আত্মায় বিশ্বাস না রাখা বহু মানুষ এর আগে এইসব জায়গাগুলিতে গিয়েছিলেন। অনেকে ফিরে এসেছেন। বেশ কছু পারেননি। কেন পারেননি জানেন? সেই উত্তর কিন্তু আজও আজানা।
ভারত হল এমন এক দেশ যার বুকে লুকিয়ে রয়েছে অনেক রহস্য। অনেক যড়যন্ত্র এবং বহু অজানা মৃত্যুর ইতিহাস। এই হারিয়ে যাওয়া মানুষেরা আজও সুক্ষ শরীরে নিজেদের অস্তিত্ব বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই কারণেই তো সূর্যাস্তের পর এই প্রবন্ধে আলোচিত জায়গাগুলি হয়ে ওঠে অজানা শক্তির আশ্রয়স্থল, যেখানে সভ্য সমাজের প্রবেশ মানা।
১. ভানগড় ফোর্ট, আলোয়ার, রাজস্থান:
সারা ভারতবর্ষে ভানগড়ের থেকে ভূতুরে জায়গা আর একটাও আছে বলে তো মনে হয় না। তাই তো এই জায়গাটিকে নিয়ে গুজবেরও শেষ নেই। সঠিক কারণটা জানা না থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে সন্ধ্যার পর নিদির্ষ্ট ভানগড়ের কতগুলি নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া আর কোথাও যাওয়া চলবে না। এবার বুঝতে পারছেন তো এখানে এমন কিছু ঘটেছে যার জন্য আধুনিক মনস্ক মানুষেরাও ভয়ে সিঁটিয়ে গেছেন। আসলে এক সময় এই জয়গায় এক বিখ্যাত তান্ত্রিক বাস করতেন। তিনি রাজার মেয়েকে ভালবেসে ফেলেন। তান্ত্রিকের সঙ্গে রাজকুমারীর বিয়ে অসম্ভব জেনে একদিন সেই তান্ত্রিক ঠিক করেন রাজকুমারীকে মন্ত্রের সাহায্যে বস করে বিয়ে করে নেবেন। এদিকে তান্ত্রিকের সেই মতলবের কথা হাঠাৎই জেনে ফলেন রাজকুমারী এবং ঠিক করেন তান্ত্রিককে মেরে ফেলবেন। রাজকুমারী যখন তান্ত্রিককে মারছেন তখন দুঃখে সে একটি কাল যদুমন্ত্র পড়তে শুরু করেন। তার পর থেকেই নাকি ধীরে ধীরে ভানগড় হারাতে শুরু করে তার সৌন্দর্য। অনেকে বিশ্বাস করেন আজও অন্ধকার নামার পর সেই তান্ত্রিক নিজের জয়াগায় ফিরে আসেন এবং অপেক্ষায় থাকেন কারও ক্ষতি করার।
২. কুলধারা, রাজস্থান:
১৮০০ শতকের পর থেকে কুলধারা গ্রামে মানুষের পা পরেনি। অনেকের ধারণা ১৮২৫ সালের এক রাত্রিরে ওই গ্রামের সব বাসিন্দারা হঠাৎই গায়েব হয়ে যান। যাদের দেখা তারপর থেকে আর পাওয়া যায়নি। এমনটা কী করে হল, এত সংখ্যক মানুষ গ্রাম ছেড়ে গেল, আর কারও তো চোখে পরল না, এমন কীভাবে হয়! কিন্তু বাস্তবিকই কেউ গ্রামের বাসিন্দাদের যেতে দেখেননি। তাহলে তারা গেল কোথায়? সেই উত্তর আজও অজানা। তারপর থেকে এই ধ্বংসস্তুপে কারও পা পরেনি। সাবাই এ জায়গায় যেতে ভয় পান। আপনি কোনও দিন যাবেন না যেন!
৩. ডি'সুজা চল, মাহিম, মুম্বাই:
বহু বছর আগে এই চলে বসা করা এক মহিলা জল তোলার সময় কুয়োয় পরে যান। তিনি সাঁতার জানতেন না। তাই চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে সাহায্য চাইছিলেন। কিন্তু কেউ সেদিন এগিয়ে আসেনি ওই দুর্ভাগাকে বাঁচাতে। তারপর থেকে অনেকে মাঝ রাতে সেই মহিলাকে কুয়োর আশেপাশে ঘুরে বেরতে দেখেছে। আজও মাঝে মধ্যে নকি দেখা যায় সেই মহিলাকে।
৪. শনিবারওয়াদা ফোর্ট, পুনা:
ইতিহাসবিদদের মতে বহু শতাব্দী আগে এক কম বয়সি রাজাকে খুব নির্মমভাবে মেরে ফেলা হয়েছিল এই দূর্গে। তারপর থকেই নাকি প্রতি রাতে আর্তনাদ শুনতে পাওয়া যায় শনিবারওয়াদা ফোর্ট থেকে। স্থানীয়রাও নাকি এই আওয়াজ বহু বছর ধরে শুনে আসছেন। এক সাক্ষাৎকারে কেয়কজন স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছিলেন, প্রতি রাতে নাকি কোনও বাচ্চা ছেলের কষ্টভরা কান্নার আওয়াজ শুনতে পান এরা। কে এই বাচ্চাটি? ওই মৃত যুবরাজ নয়তো? এইসব প্রশ্ন সেই কোন কাল থেকে ধোঁয়ার মতো ভেসে রয়েছে শনিবাওয়াদায়। কিন্তু কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
৫. দামাস সমুদ্র সৈকত, সুরাট, গুজরাট:
আরব সাগরের তিরের এই সুন্দর সমুদ্র সৈকতটিতে সারা দিন লোক জনের ভিড় থাকলেও সন্ধ্যার পর কাউকে দেখতে পাওয়া যায় না। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন অন্ধকার হওয়ার পর ওখানে গেলে এক মেয়ের গলার আওয়াজ শোনা যায়। কে এই মেয়ে? কেউ কি মজা করার জন্য এমন করে? এই উত্তর জানতে অনেকে রাতের বেলা গিয়েছিলেন সেই সমুদ্র সৈকতে। কেউই আর ফিরে আসেননি। সবার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল পরের দিন সেকালে। সেই কারণেই তো স্থানীয় প্রশাসন রাতের বেলা এখানে আসতে মানা করেছে। প্রসঙ্গত, এক সময় নাকি এই সমুদ্র সৈকতে মৃত দেহ পোড়ান হত। এখন যদিও হয় না। অনেকে বিশ্বাস করেন, এক সময় যাদের এখানে দাহ করা হয়েছিল তাদেরই আত্মাই নাকি এখনও এখানে ঘুরে বেরায়।
৬. সঞ্জয় বন, নিউ দিল্লি:
প্রায় ১০ কিলোমিটার জয়গা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই সবুজ বনানীর মধ্যে নাকি প্রায়শই এক মহিলাকে ঘুরে বরাতে দেখা যায়। সে ঘুরতে ঘুরতে নাকি পাশের শশ্মানে হঠাৎই হারিয়ে যায়। এমনটা হতে একজন নয়, একাধিক মানুষ দেখেছেন। তাহলে কি সেই মহিলা...
৭. ডাউ দিল, কার্শিয়াং, দার্জিলিং:
পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত এই টুরিস্ট ডেস্টিনেশটিকে ভারতের অন্যতম ভূতুরে জয়গা হিসেবে গণ্য করে থাকেন অনেক পর্যটক। তাদের মতো এই অঞ্চলে যে পাইন ফরেস্টটি রয়েছে সখানে নাকি বাস্তবিকই ভূতেরা বাস কর। কেন এমনটা বিশ্বাস করা হয়? অনেকে নাকি এখানে ঘুরতে এসে রাতের বেলা গলাকাটা এক ছেলেকে এদিক ওদিক ঘুরে বেরাতে দেখেছে। এমন দৃশ্য দেখে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এমন লোকের সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। প্রসঙ্গত, ইংরেজ আমলে এবং তার আগেও এই জঙ্গলে প্রচুর মানুষকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছিল। তাদের আত্মাই এখনও ঘুরে বেরায় বলে ধরণা স্থানীয়দের।
৮. মুকেশ মিল, মুম্বাই:
১৯৮০ সালে আগুন লেগে যাওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে যায় এই মিলটি। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত নানা আজব ঘটনা ঘটে চলেছে সেখানে। কিছু বছর আগে মুকেশ মিলে শুটিং করার সময় স্বয়ং বিপাশা বসু আজব ধরনের এক অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন। এইসব কারণেই তো আজ আর মুকেশ মিলে শুটিং করতে কেউ সাহস পান না।
৯. ন্যাশনাল লাইব্রেরি, কলকাতা:
আজও কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে নাইট শিফ্ট নিতে ভয় পান দারোয়ানরা। কারণ কারা নাকি রাতের বেলা লাইব্রেরির ভিতরে ঘুরে বেরায়। এরা যে সাধারণ কেউ নয়, তা দেখেই নাকি বোঝা যায়। বহু বছর আগে ন্যাশনাল লাইব্রেরির রেনোভেশন চলাকালীন ১২ জন শ্রমিক সহ কয়েকজন ছাত্র মারা গিয়েছিলেন। তাদের আত্মাই এখনও লাইব্রেরির অন্দরে ঘুরে বেরায় বলে ধরণা গার্ডদের।
১০. থ্রি কিং চার্চ, গোয়া:
এই চার্চের জমি কার? এই নিয়ে এক সময় তিন রাজার মধ্যে তুমুল যুদ্ধ লেগেছিল। যুদ্ধ করতে করতে এক সময় তিন রাজাই মারা যান। আজও নাকি এই তিন রাজাকে চার্চের আশেপাশে ঘুরে বেরাতে দেখা যায়। আর এমনটা হতে শুধু স্থানীয়রা নয়, ইন্ডিয়ান প্যারানরমাল সোসাইটির সদস্য়রাও দেখেছেন। তাই এবার গোয়া বেরাতে গেলে দিনের আলো থাকতে থাকতে একবার থ্রি কিং চার্চ ঘুরে আসতে ভুলবেন না।