Just In
চোখের তলায় কালি! সারাতে ঘরোয়া টোটকা
শরীর ক্লান্ত থাকলে, তার প্রভাব চোখে পড়বেই। কিন্তু ক্লান্ত চোখকে চাঙ্গাও করা যায়। হাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি সহজ রাস্তা।
চোখের যত্ন নিচ্ছেন। কিন্তু চোখের চারপাশের ত্বকের যত্ন নিচ্ছেন কি? জেনে রাখা দরকার, চোখের চারপাশ ঘিরে যে ত্বক রয়েছে, তা শরীরের সবচেয়ে পাতলা ত্বক। বাকি শরীরের ত্বক যতটা মোটা, চোখের চারপাসের ত্বক তার নয় ভাগের এক ভাগ মাত্র। তাই এই ত্বক সবচেয়ে সংবেদনশীল। সেই কারণেই বয়সের ছাপ সবার আগে পড়ে চোখের পাশে।
চামড়া কুঁচকে যায়। এছাড়াও মানসিক চাপ বা শারীরিক অসুস্থতার ছাপও এখানে পড়ে সবার আগে। তাই কালচে ছোপ পড়তে পারে চোকের পাশের এই অঞ্চলে। বাজারে নামীদামি কোম্পানির অ্যান্টিএজিং ক্রিম পাওয়া যায়। কিন্তু খুব সহজেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই সমস্যা দূর করা যায়। যেমন:
১। মধু
মধু চোখের পাশের ত্বকের জন্য খুব ভালো। এখানে মধু লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর হালকা উষ্ণ কাপড় দিয়ে মুছে পরিষ্কার করে ফেলুন এই মধু। এতে ত্বকের দারুণ উপকার হবে। ত্বক নমনীয় হবে। সপ্তাহে তিন-চার বারের বেশি করার দরকার নেই।
২। শসা
বিজ্ঞাপনে বা টিভির পর্দায় চোখে শসা দিতে দেকেছেন অনেকেই। এটি প্রকৃতই দারুণ উপকারী। শসা গোল করে কেটে ঠান্ডা করে নিন। তারপর চোখের ওপর রাখুন। চোখের তলায় কালি পড়া কমবে। জালের ব্যাগে অন্য সবজি ভরে, তাকে ঠান্ডা করে চোকের ওপর অল্প ক্ষণের জন্য রাখতে পারেন। উপকার পাবেন তাতেও।
৩। বেশি জল খান
আপনি কি জানেন, শরীর জলের পরিমাণ কমে গেলে চোখের নীচে কালি পড়তে পারে? কারণ তাতে ত্বক শুকাতে থাকে। এবং প্রথম প্রভাব পড়ে চোখের নীচে। সারাদিনে তিন থেক চার লিটার জল খেলে শরীর ঠিকভাবে হাইড্রেটেড থাকে। চোখের তলার ত্বক শুকায় না।
৪। ভালো ঘুমান
ঘুম কম হলে চোখের নীচে কালি পড়ে। এটা একেবারেই সত্যি কথা। ঠিকঠাক ঘুম না হলে চোকের তলার ত্বকর ক্ষতি হয়। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম দরকার প্রতিদিন। যদি ঘুমের সমস্যা হয়, তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
৫। টমেটো, হলুদ আর লেবু
একচামচ টমেটো কুচি নিন। তার সঙ্গে হাফ চামচ লেবুর রস মেশান। তাতে এক চিমটে হলুদ দিন। তৈরি হয়ে গেল আপনার চোখের ত্বকর অব্যর্থ দাওয়াই। চোকের নীচে এই মিশ্রণ লাগিয় দিন। যতক্ষণ না শুকিয়ে যায় রেখে দিন। শুকিয়ে গেল ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল এবং নমনীয় হবে।
৬। গোলাপ জল
আমাদের মায়েরাও বলে আসেন, চোখের তলার যত্ন নেওয়ার জন্য গোলাপ জলের তুলনা হয় না। একদমই সত্যি কথা। তুলো গোলাপ জলে ভিজিয়ে নিন। তারপর সেই তুলো চোখের তলায় লাগান। প্রতিদিনই এটি করতে পারেন। এতে চোখের দারুণ উপকার হবে।
৭। ঠান্ডা তুলো
বাড়িতে টমেটো নেই, লেবুর রস নেই, মধু নেই। এমনকী গোলাপ জলও পাচ্ছেন না হাতের কাছে। তাহলে কী করবেন? শুধু তুলো দিয়েও কাজ চালিয়ে নিতে পারেন। তুলো জলে ভিজিয়ে নিন। তারপর সেই ভেজা তুলো রেখে দিন ফ্রিজের মধ্যে। ঠান্ডা হয়ে গেলে তুলোর বল চোখের ওপর ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। চোখ ভালো হবে। চোকের তলার কালি দূর হবে।